‘বঙ্গবন্ধু পরিষদ’ নেতৃত্বে নুরুল হুদা, UIU শিক্ষার্থীদের অভিযোগ রাজনৈতিক প্রতিশোধের শিকার হচ্ছি

- প্রকাশঃ ১১:৫২:৫৩ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৫
- / 44
ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি (UIU)-তে শিক্ষার্থীদের উপর রাজনৈতিক প্রতিশোধের অভিযোগ উঠেছে। শিক্ষার্থীদের দাবি, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন এবং একাধিক প্রভাবশালী শিক্ষক শিক্ষার্থীদের ন্যায্য আন্দোলনের জবাবে প্রতিশোধমূলক আচরণ করছে।
বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় বঙ্গবন্ধু পরিষদের কমিটির সভাপতি হিসেবে রয়েছেন UIU-এর কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং (CSE) বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ নুরুল হুদা এবং সাধারণ সম্পাদক হিসেবে রয়েছেন ড. এ কে এম মুজাহিদুল ইসলাম। দুজনই UIU-এর গুরুত্বপূর্ণ প্রশাসনিক দায়িত্বে রয়েছেন। শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, এই রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতাই UIU-তে স্বৈরাচারী মনোভাব প্রতিষ্ঠায় ভূমিকা রাখছে।
ছবি: প্রজন্ম কথা
২০২৪ সালের ‘UIU Reform 1.0’ আন্দোলনের সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের নানা সমস্যার বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীরা ঐক্যবদ্ধ হয়ে আন্দোলনে নামে। আন্দোলনের চাপে ড. মুজাহিদুল ইসলামকে প্রশাসনিক দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়া হলেও, অধ্যাপক নুরুল হুদা বহাল তবিয়তে বিভাগের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
শিক্ষার্থীদের দাবি, আন্দোলনে অংশ নেওয়া অন্তত ১১ জন শিক্ষার্থীকে শাস্তি দেওয়া হয়েছে, যার মধ্যে একজনের সার্টিফিকেটও বাতিল করা হয়। অভিযুক্ত শিক্ষক ওই সময় শেখ হাসিনার পক্ষ থেকে আন্দোলন দমন চেয়েছিলেন বলেও অভিযোগ রয়েছে।
সম্প্রতি, একজন শিক্ষার্থী বাবার মৃত্যুর পরও পরীক্ষা দিতে পারেননি যদিও তিনি যথাযথ ডেথ সার্টিফিকেট জমা দিয়েছিলেন। অভিযোগ রয়েছে, অধ্যাপক নুরুল হুদা এই ঘটনাতেও মানবিক আচরণ না করে প্রশাসনিক কড়াকড়ির অজুহাতে সহায়তা থেকে বিরত থাকেন।
আরও পড়ুন
পিতার মৃত্যু সনদ নিয়েও পরীক্ষা দিতে পারলেন না UIU
এক ICU-ফেরত শিক্ষার্থীর অভিভাবকের সনদপত্রকেও ‘ভুয়া হতে পারে’ বলে মন্তব্য করেন বলে অভিযোগ উঠেছে। শিক্ষার্থীরা বলছেন, তিনি আমাদের শত্রু ভেবে প্রতিশোধ নিচ্ছেন। শিক্ষার্থীরা আরও অভিযোগ করেছেন UIU-তে দীর্ঘদিন ধরেই রয়েছে অনৈতিক ফি আদায়, অদক্ষ শিক্ষক নিয়োগ, মানহীন শিক্ষাব্যবস্থা, দুর্ব্যবহার, মানহীন খাবার, এবং কঠোর পরীক্ষানীতি। এসব বিষয়ে একাধিকবার অভিযোগ জানালেও প্রশাসনের পক্ষ থেকে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি।
বর্তমান উপাচার্য নিয়োগ প্রক্রিয়া নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন শিক্ষার্থীরা। তাদের দাবি, তিনি অনৈতিক উপায়ে দায়িত্বে আসার পর থেকেই শিক্ষার মান নিম্নগামী হচ্ছে।
UIU শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের প্রতি স্পষ্ট দাবি জানিয়েছেন- CSE বিভাগের প্রধানের পদত্যাগ, বর্তমান উপাচার্যের অপসারণ, প্রশাসনের রাজনৈতিক প্রভাব দূর করা, মানবিক ও ন্যায়ভিত্তিক শিক্ষানীতির বাস্তবায়ন তারা বলেন, এই বিশ্ববিদ্যালয় আমাদের ভবিষ্যৎ গড়ার স্থান, এখানে রাজনীতি বা প্রতিশোধের জায়গা নেই। প্রশাসনের দায়িত্ব হলো শিক্ষার্থীদের পাশে দাঁড়ানো শত্রু বানানো নয়।
বি. দ্র.: প্রতিবেদনটি শিক্ষার্থীদের বক্তব্য ও অভিযোগের ভিত্তিতে তৈরি। UIU প্রশাসনের পক্ষ থেকে বিষয়টি নিয়ে কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি।