শিক্ষার্থীদের শত প্রতীক্ষা শেষে সোনারগাঁও বিশ্ববিদ্যালয়ের পার্মানেন্ট ক্যাম্পাস: উদ্বোধনী অনুষ্ঠান কাল
প্রকাশঃ
১২:৪৭:১৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২ মে ২০২৫
/ 37
দীর্ঘ প্রতীক্ষার অবসান ঘটিয়ে সোনারগাঁও বিশ্ববিদ্যালয় (এসইউ) আনুষ্ঠানিকভাবে যাত্রা শুরু করতে যাচ্ছে তাদের বহুল কাঙ্ক্ষিত স্থায়ী ক্যাম্পাসে। এ উপলক্ষে আগামী ৩ মে ২০২৫, শনিবার আয়োজিত হচ্ছে এক বিশেষ উদ্বোধনী অনুষ্ঠান। রাজধানীর খিলগাঁওয়ের ৭৫ নং ওয়ার্ড, দাসেরকান্দিতে অবস্থিত এই স্থায়ী ক্যাম্পাসের উদ্বোধনী আয়োজনে উপস্থিত থাকবেন বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের (ইউজিসি) সম্মানিত প্রতিনিধি, এসইউ বোর্ড অব ট্রাস্টিজের সদস্যবৃন্দ, উপদেষ্টামণ্ডলী, মাননীয় উপাচার্য, উপ-উপাচার্য (ভারপ্রাপ্ত), ট্রেজারারসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যান্য শিক্ষক-কর্মকর্তা ও স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।
সোনারগাঁও ইউনিভার্সিটি স্থায়ী ক্যাম্পাস
বিশ্ববিদ্যালয়ের এক অফিসিয়াল বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীদের যাতায়াতের সুবিধার্থে ৩ মে সকাল ৭:৩০ মিনিটে গ্রীন রোড ক্যাম্পাস প্রাঙ্গণ থেকে বাস ছেড়ে যাবে স্থায়ী ক্যাম্পাসের উদ্দেশে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের অফিসিয়াল বিজ্ঞপ্তি
বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে বিভাগভিত্তিক প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করেছে। ব্যবসায় প্রশাসন, আইন ও বাংলা প্রতিটি বিভাগ থেকে ৪০ জন করে শিক্ষার্থী এবং জার্নালিজম বিভাগ থেকে ৩০ জন শিক্ষার্থী উপস্থিত থাকার বিষয়টি বিভাগীয় প্রধান বা কো-অর্ডিনেটরগণ নিশ্চিত করবেন। অন্যদিকে, এসইউ-এর অন্যান্য বিভাগের ৪০ জন শিক্ষার্থীর উপস্থিতি নিশ্চিত করবেন অতিরিক্ত রেজিস্ট্রার জনাব মোঃ আবু হানিফ।
জার্নালিজম বিভাগের ১ম বর্ষের শিক্ষার্থী নুসরাত জাহান বলেন, স্থায়ী ক্যাম্পাসে যাওয়ার খবর আমাদের জন্য খুবই রোমাঞ্চকর। শহরের কোলাহল থেকে দূরে, প্রকৃতির মাঝখানে পড়াশোনা করার সুযোগ পেয়ে আমরা খুবই উচ্ছ্বসিত।
সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের এক সিনিয়র শিক্ষার্থী হাসিবুল হাসান জানান, আমরা অনেকদিন ধরে এই দিনের জন্য অপেক্ষা করেছি। স্থায়ী ক্যাম্পাসে ক্লাস, ল্যাব ও অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা আমাদের শিক্ষা ও ক্যারিয়ার গঠনে বড় অবদান রাখবে।
অন্যদিকে, সিএসসি বিভাগের সদ্য স্নাতক হওয়া এক শিক্ষার্থী আবেগঘন কণ্ঠে বলেন, এইতো কিছুদিন আগে সেমিস্টার ফাইনাল দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় জীবন শেষ করলাম। এই দিনের জন্য অনেক প্রতীক্ষা করেছিলাম। কিন্তু স্থায়ী ক্যাম্পাস উদ্বোধনের মুহূর্তে শিক্ষার্থী হয়ে উপস্থিত থাকতে পারছি না—এটা কষ্টদায়ক। তবে নতুন প্রজন্ম এই সুযোগ পেয়েছে, তারা বিশ্ববিদ্যালয়কে বাংলাদেশের অন্যতম মর্যাদাপূর্ণ প্রতিষ্ঠানে পরিণত করবে, এই প্রত্যাশা রাখি।