ঢাকা ০৮:৪৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ০৩ অগাস্ট ২০২৫, ১৯ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

“রবীন্দ্রনাথ শুধুমাত্র কবি নন, তিনি শিল্পের সকল শাখায় পারদর্শী এক বিরল প্রতিভা”– ইসলামী বিশ্ববিদ্যাল উপাচার্য

  • প্রকাশঃ ১১:৩০:৪৫ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৮ মে ২০২৫
  • / 18

 

কুষ্টিয়ার শিলাইদহ কুঠিবাড়িতে বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ১৬৪তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে তিনদিনব্যাপী জাতীয় উৎসবের শুভসূচনা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৮ মে) সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সহযোগিতায় কুষ্টিয়া জেলা প্রশাসনের আয়োজনে শুরু হয় এই বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠান।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি প্রধান অতিথি হিসেবে যুক্ত ছিলেন খ্যাতিমান চলচ্চিত্র নির্মাতা ও মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী। সভাপতিত্ব করেন সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মফিদুর রহমান। এছড়াও বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ, ভাষাবিজ্ঞানী অধ্যাপক মনসুর মুসা এবং অতিরিক্ত সচিব ফরহাদ সিদ্দিক।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে মোস্তফা সরয়ার ফরুকী বলেন, “বাংলাদেশের মানুষের আত্মপ্রকাশের অন্যতম মাধ্যম গান। এই গানের মধ্যেই আছে কবিতা, দর্শন ও গভীর চিন্তাধারা। রবীন্দ্রনাথ যেমন জাতীয়ভাবে উদযাপিত হন, তেমনি লালন ফকির ও হাসন রাজাকেও জাতীয়ভাবে সম্মান জানানো উচিত।”

রবীন্দ্রনাথের শিলাইদহে বসবাস ও সাহিত্যচর্চার ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট তুলে ধরে তিনি বলেন, “জমিদারির সূত্রে এখানে আসলেও এই অঞ্চলের মানুষের সঙ্গে রবীন্দ্রনাথের সম্পর্ক ছিল ভাবগভীর। বিশেষত গগন হরকরার মতো ভাবুকদের প্রভাব তাঁর সৃষ্টিশীলতায় পরিলক্ষিত হয়েছে।”

উপাচার্য ড. নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ বলেন, “রবীন্দ্রনাথ বাংলা সাহিত্যে এক অনন্য উচ্চতায় পৌঁছেছেন। তাঁর সাহিত্য যেমন মিলনের, তেমনি আত্মার বিস্তারেরও এক রূপ।” তিনি আরও বলেন, “রবীন্দ্রনাথ শুধুমাত্র কবি নন, তিনি ছিলেন শিল্পের সকল শাখায় পারদর্শী এক বিরল প্রতিভা।”

আলোচনা শেষে অনুষ্ঠিত হয় রবীন্দ্র সংগীত, কবিতা আবৃত্তি, দলীয় নৃত্য এবং রবীন্দ্রনাথের লেখা নাটকের পরিবেশনা। এতে জাতীয় পর্যায়ের শিল্পীদের পাশাপাশি কুষ্টিয়ার স্থানীয় শিল্পীরাও অংশ নেন। অনুষ্ঠানের শুরুতে পরিবেশিত হয় জাতীয় সংগীত ও রবীন্দ্র সংগীত।

প্রতিদিনই মূল মঞ্চে আলোচনা সভার পাশাপাশি নানা সাংস্কৃতিক আয়োজন চলবে। পাশাপাশি কুঠিবাড়ি চত্বরে বসেছে বর্ণিল গ্রামীণ মেলা, যা দর্শনার্থীদের বাড়তি আনন্দ দিচ্ছে।

উল্লেখ্য, ১৮৯১ সালে জমিদারির কাজে প্রথম শিলাইদহে আসেন রবীন্দ্রনাথ। এখানেই রচিত হয় তাঁর নোবেলজয়ী ‘গীতাঞ্জলি’সহ বহু কালজয়ী সাহিত্যকর্ম। এখনো সংরক্ষিত আছে তাঁর ব্যবহৃত আসবাবপত্র, পাণ্ডুলিপি ও ছবি, যা ইতিহাসের সাক্ষী হয়ে দাঁড়িয়ে আছে কুঠিবাড়ির প্রতিটি কোণে।

ইবি প্রতিনিধি

সর্বশেষ খবর পেতে অনুসরণ করুন-“প্রজন্ম কথা”

শেয়ার করুন

“রবীন্দ্রনাথ শুধুমাত্র কবি নন, তিনি শিল্পের সকল শাখায় পারদর্শী এক বিরল প্রতিভা”– ইসলামী বিশ্ববিদ্যাল উপাচার্য

প্রকাশঃ ১১:৩০:৪৫ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৮ মে ২০২৫

 

কুষ্টিয়ার শিলাইদহ কুঠিবাড়িতে বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ১৬৪তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে তিনদিনব্যাপী জাতীয় উৎসবের শুভসূচনা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৮ মে) সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সহযোগিতায় কুষ্টিয়া জেলা প্রশাসনের আয়োজনে শুরু হয় এই বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠান।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি প্রধান অতিথি হিসেবে যুক্ত ছিলেন খ্যাতিমান চলচ্চিত্র নির্মাতা ও মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী। সভাপতিত্ব করেন সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মফিদুর রহমান। এছড়াও বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ, ভাষাবিজ্ঞানী অধ্যাপক মনসুর মুসা এবং অতিরিক্ত সচিব ফরহাদ সিদ্দিক।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে মোস্তফা সরয়ার ফরুকী বলেন, “বাংলাদেশের মানুষের আত্মপ্রকাশের অন্যতম মাধ্যম গান। এই গানের মধ্যেই আছে কবিতা, দর্শন ও গভীর চিন্তাধারা। রবীন্দ্রনাথ যেমন জাতীয়ভাবে উদযাপিত হন, তেমনি লালন ফকির ও হাসন রাজাকেও জাতীয়ভাবে সম্মান জানানো উচিত।”

রবীন্দ্রনাথের শিলাইদহে বসবাস ও সাহিত্যচর্চার ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট তুলে ধরে তিনি বলেন, “জমিদারির সূত্রে এখানে আসলেও এই অঞ্চলের মানুষের সঙ্গে রবীন্দ্রনাথের সম্পর্ক ছিল ভাবগভীর। বিশেষত গগন হরকরার মতো ভাবুকদের প্রভাব তাঁর সৃষ্টিশীলতায় পরিলক্ষিত হয়েছে।”

উপাচার্য ড. নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ বলেন, “রবীন্দ্রনাথ বাংলা সাহিত্যে এক অনন্য উচ্চতায় পৌঁছেছেন। তাঁর সাহিত্য যেমন মিলনের, তেমনি আত্মার বিস্তারেরও এক রূপ।” তিনি আরও বলেন, “রবীন্দ্রনাথ শুধুমাত্র কবি নন, তিনি ছিলেন শিল্পের সকল শাখায় পারদর্শী এক বিরল প্রতিভা।”

আলোচনা শেষে অনুষ্ঠিত হয় রবীন্দ্র সংগীত, কবিতা আবৃত্তি, দলীয় নৃত্য এবং রবীন্দ্রনাথের লেখা নাটকের পরিবেশনা। এতে জাতীয় পর্যায়ের শিল্পীদের পাশাপাশি কুষ্টিয়ার স্থানীয় শিল্পীরাও অংশ নেন। অনুষ্ঠানের শুরুতে পরিবেশিত হয় জাতীয় সংগীত ও রবীন্দ্র সংগীত।

প্রতিদিনই মূল মঞ্চে আলোচনা সভার পাশাপাশি নানা সাংস্কৃতিক আয়োজন চলবে। পাশাপাশি কুঠিবাড়ি চত্বরে বসেছে বর্ণিল গ্রামীণ মেলা, যা দর্শনার্থীদের বাড়তি আনন্দ দিচ্ছে।

উল্লেখ্য, ১৮৯১ সালে জমিদারির কাজে প্রথম শিলাইদহে আসেন রবীন্দ্রনাথ। এখানেই রচিত হয় তাঁর নোবেলজয়ী ‘গীতাঞ্জলি’সহ বহু কালজয়ী সাহিত্যকর্ম। এখনো সংরক্ষিত আছে তাঁর ব্যবহৃত আসবাবপত্র, পাণ্ডুলিপি ও ছবি, যা ইতিহাসের সাক্ষী হয়ে দাঁড়িয়ে আছে কুঠিবাড়ির প্রতিটি কোণে।

ইবি প্রতিনিধি

সর্বশেষ খবর পেতে অনুসরণ করুন-“প্রজন্ম কথা”