ঢাকা ১০:২৯ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ০৬ অগাস্ট ২০২৫, ২২ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

যুক্তরাষ্ট্রে কাতারের বিলাসবহুল বোয়িং ৭৪৭ গ্রহণ: ট্রাম্পের ব্যবহারে বিতর্কের মুখে হোয়াইট হাউস

  • প্রকাশঃ ০৬:০১:০৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ২১ মে ২০২৫
  • / 32

 

যুক্তরাষ্ট্র সরকার আনুষ্ঠানিকভাবে কাতার থেকে একটি বিলাসবহুল বোয়িং ৭৪৭ উড়োজাহাজ গ্রহণ করেছে, যা সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ব্যবহারের জন্য নির্ধারিত। এই সিদ্ধান্তকে কেন্দ্র করে দেশজুড়ে শুরু হয়েছে তীব্র বিতর্ক সংবিধান, নিরাপত্তা এবং নৈতিকতার প্রশ্নে উঠে এসেছে নানা উদ্বেগ।

চারশো মিলিয়ন ডলারের বেশি মূল্যমানের এই উড়োজাহাজটি ভিআইপি রূপে রূপান্তরিত করা হয়েছে। প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় নিশ্চিত করেছে যে বিমানটি ইতোমধ্যে টেক্সাসের স্যান অ্যান্তোনিওতে অবস্থান করছে এবং এটি গ্রহণ ফেডারেল নিয়ম মেনেই হয়েছে। কাতারের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের দেওয়া এই বিমানটি ২০১২ সাল থেকে সপ্তাহে গড়ে মাত্র দুই ঘণ্টা উড়েছে, যা কাতারের পক্ষ থেকে অপ্রয়োজনীয় সম্পদ হস্তান্তরের ইঙ্গিত দেয়। একই সঙ্গে এটি একটি কৌশলগত কূটনৈতিক পদক্ষেপ হিসেবেও বিবেচিত হচ্ছে।

তবে প্রেসিডেন্টের ব্যবহার উপযোগী করতে এয়ারক্র্যাফটটিতে পরমাণু বিস্ফোরণ প্রতিরোধী প্রযুক্তি ও ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা সংযোজনসহ নানা উচ্চমানের নিরাপত্তা সংযোজন প্রয়োজন হবে। বিশেষজ্ঞদের মতে, এ কাজ শেষ হতে বহু বছর লাগবে এবং ব্যয় ছাড়িয়ে যেতে পারে ১ বিলিয়ন ডলারেরও বেশি।

এত বড় মূল্যের একটি উপহার বিদেশি সরকার থেকে গ্রহণ করা যুক্তরাষ্ট্রের সংবিধানের দুর্নীতি-বিরোধী ধারা লঙ্ঘনের অভিযোগ তুলেছে অনেকের মধ্যে। সিনেটের ডেমোক্রেট নেতা চাক শুমার ইতোমধ্যে “Presidential Airlift Security Act” নামে একটি বিল উত্থাপন করেছেন, যেখানে বিদেশি উড়োজাহাজ রাষ্ট্রপতির পরিবহনে ব্যবহারের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের প্রস্তাব রয়েছে। তবে কংগ্রেসে রিপাবলিকানদের সংখ্যাগরিষ্ঠতার কারণে বিলটির পাস হওয়া কঠিন হতে পারে।

এদিকে বোয়িং-এর সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের পূর্ববর্তী ৩.৯ বিলিয়ন ডলারের নতুন দুইটি এয়ার ফোর্স ওয়ান উড়োজাহাজ নির্মাণ প্রকল্পে বিলম্ব হচ্ছে। এমন পরিস্থিতিতে কাতার থেকে উপহার হিসেবে বিমান গ্রহণের সিদ্ধান্ত আর্থিক বিবেচনায় কতটা যুক্তিসংগত এবং নিরাপত্তার দিক থেকে কতটা ঝুঁকিপূর্ণ, সে প্রশ্ন তুলছেন অনেক আইনপ্রণেতা।

এ মুহূর্তে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় বিমানটির নিরাপত্তা ও উপযোগিতা যাচাই করছে। তবে অনেকেই এটিকে “রাষ্ট্রীয় পর্যায়ের ঘুষ” বলেও আখ্যায়িত করেছেন। বিষয়টি নিয়ে এখনও তদন্ত চলছে এবং পরিস্থিতির অগ্রগতি সবার দৃষ্টি আকর্ষণ করছে।

প্রতিবেদক: আলী আজগর ইসতিয়াক

সর্বশেষ খবর পেতে অনুসরণ করুন-“প্রজন্ম কথা

শেয়ার করুন

যুক্তরাষ্ট্রে কাতারের বিলাসবহুল বোয়িং ৭৪৭ গ্রহণ: ট্রাম্পের ব্যবহারে বিতর্কের মুখে হোয়াইট হাউস

প্রকাশঃ ০৬:০১:০৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ২১ মে ২০২৫

 

যুক্তরাষ্ট্র সরকার আনুষ্ঠানিকভাবে কাতার থেকে একটি বিলাসবহুল বোয়িং ৭৪৭ উড়োজাহাজ গ্রহণ করেছে, যা সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ব্যবহারের জন্য নির্ধারিত। এই সিদ্ধান্তকে কেন্দ্র করে দেশজুড়ে শুরু হয়েছে তীব্র বিতর্ক সংবিধান, নিরাপত্তা এবং নৈতিকতার প্রশ্নে উঠে এসেছে নানা উদ্বেগ।

চারশো মিলিয়ন ডলারের বেশি মূল্যমানের এই উড়োজাহাজটি ভিআইপি রূপে রূপান্তরিত করা হয়েছে। প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় নিশ্চিত করেছে যে বিমানটি ইতোমধ্যে টেক্সাসের স্যান অ্যান্তোনিওতে অবস্থান করছে এবং এটি গ্রহণ ফেডারেল নিয়ম মেনেই হয়েছে। কাতারের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের দেওয়া এই বিমানটি ২০১২ সাল থেকে সপ্তাহে গড়ে মাত্র দুই ঘণ্টা উড়েছে, যা কাতারের পক্ষ থেকে অপ্রয়োজনীয় সম্পদ হস্তান্তরের ইঙ্গিত দেয়। একই সঙ্গে এটি একটি কৌশলগত কূটনৈতিক পদক্ষেপ হিসেবেও বিবেচিত হচ্ছে।

তবে প্রেসিডেন্টের ব্যবহার উপযোগী করতে এয়ারক্র্যাফটটিতে পরমাণু বিস্ফোরণ প্রতিরোধী প্রযুক্তি ও ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা সংযোজনসহ নানা উচ্চমানের নিরাপত্তা সংযোজন প্রয়োজন হবে। বিশেষজ্ঞদের মতে, এ কাজ শেষ হতে বহু বছর লাগবে এবং ব্যয় ছাড়িয়ে যেতে পারে ১ বিলিয়ন ডলারেরও বেশি।

এত বড় মূল্যের একটি উপহার বিদেশি সরকার থেকে গ্রহণ করা যুক্তরাষ্ট্রের সংবিধানের দুর্নীতি-বিরোধী ধারা লঙ্ঘনের অভিযোগ তুলেছে অনেকের মধ্যে। সিনেটের ডেমোক্রেট নেতা চাক শুমার ইতোমধ্যে “Presidential Airlift Security Act” নামে একটি বিল উত্থাপন করেছেন, যেখানে বিদেশি উড়োজাহাজ রাষ্ট্রপতির পরিবহনে ব্যবহারের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের প্রস্তাব রয়েছে। তবে কংগ্রেসে রিপাবলিকানদের সংখ্যাগরিষ্ঠতার কারণে বিলটির পাস হওয়া কঠিন হতে পারে।

এদিকে বোয়িং-এর সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের পূর্ববর্তী ৩.৯ বিলিয়ন ডলারের নতুন দুইটি এয়ার ফোর্স ওয়ান উড়োজাহাজ নির্মাণ প্রকল্পে বিলম্ব হচ্ছে। এমন পরিস্থিতিতে কাতার থেকে উপহার হিসেবে বিমান গ্রহণের সিদ্ধান্ত আর্থিক বিবেচনায় কতটা যুক্তিসংগত এবং নিরাপত্তার দিক থেকে কতটা ঝুঁকিপূর্ণ, সে প্রশ্ন তুলছেন অনেক আইনপ্রণেতা।

এ মুহূর্তে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় বিমানটির নিরাপত্তা ও উপযোগিতা যাচাই করছে। তবে অনেকেই এটিকে “রাষ্ট্রীয় পর্যায়ের ঘুষ” বলেও আখ্যায়িত করেছেন। বিষয়টি নিয়ে এখনও তদন্ত চলছে এবং পরিস্থিতির অগ্রগতি সবার দৃষ্টি আকর্ষণ করছে।

প্রতিবেদক: আলী আজগর ইসতিয়াক

সর্বশেষ খবর পেতে অনুসরণ করুন-“প্রজন্ম কথা