ছাতক সিমেন্ট কোম্পানির স্ক্যাপ বিক্রির দরপত্রে জালিয়াতি

- প্রকাশঃ ০১:৪২:৫৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৮ মে ২০২৫
- / 26
সুনামগঞ্জের ছাতক উপজেলার সিমেন্ট কোম্পানি লিমিটেডের পুরনো (স্ক্যাপ) মালামাল বিক্রির পুনঃদরপত্রে ঘষামাজা করে ৬০০ টাকার পে-অর্ডারকে ৬ কোটি টাকার হিসেবে দাখিল করার অভিযোগ উঠেছে। ‘বিল্লাল এন্টারপ্রাইজ’ নামে একটি প্রতিষ্ঠান এমন চাঞ্চল্যকর জালিয়াতির দরদাতা হয়ে উঠে আসে। এ ঘটনায় পুরো জেলায় তোলপাড় শুরু হয়েছে।
জানা গেছে, সিমেন্টের পুরাতন ওয়েট প্রসেস কারখানার অব্যবহৃত স্থাপনা ও স্ক্যাপ মাল এক লটে বিক্রির জন্য। দ্বিতীয় দফায় দরপত্র আহ্বান করা হয়। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে ৫৭টি দরপত্র বিক্রি ও ৮টি প্রতিষ্ঠানের দরপত্র দাখিল করা হয়। গত রবিবার ছিল দরপত্র জমা দেওয়ার শেষ দিন।
খোলা দরপত্রে দেখা যায়, বিল্লাল এন্টারপ্রাইজ ৭৫ কোটি ৫ লাখ ৫০ হাজার টাকায় উল্লেখ্য করে সর্বোচ্চ দরদাতা হিসেবে উঠে আসে। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ দর ছিল বিছমিল্লাহ-সোনালী চেলা ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের ৭১ কোটি ১ লাখ টাকা, তৃতীয় মেসার্স রাকিব হাসানের ৬৯ কোটি ৯০ লাখ এবং চতুর্থ কর্ণফুলী রিভার্স ট্রান্সপোর্টের ৬৩ কোটি ১৬ লাখ ৫৫৫ টাকা।
তবে বিল্লাল এন্টারপ্রাইজের পে-অর্ডারে ঘষামাজা থাকার কারণে সন্দেহ দেখা দেয়। এনআরবিসি ব্যাংকের ৬০০ টাকার একটি পে-অর্ডার ঘষে ৬ কোটি টাকার বানিয়ে দাখিল করা হয় বলে অভিযোগ ওঠে। বিছমিল্লাহ-সোনালী চেলা ইঞ্জিনিয়ারিং দরপত্র কমিটির কাছে এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগও দেয়।
এনআরবিসি ব্যাংকের ব্যবস্থাপক মো. শাখায়াত হোসেন জানান, ২১ মে আমির আলী নামে এক ব্যক্তি ৬০০ টাকার পে-অর্ডার নেন। তা ৬ কোটি টাকার কিভাবে হলো, তা জানা নেই। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।
বিল্লাল এন্টারপ্রাইজের প্রতিনিধির সঙ্গে একাধিক বার ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি।
স্থানীয়রা জানান, ঘটনার পর থেকে গা ঢাকা দিয়েছেন।
ছাতক সিমেন্ট কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী আব্দুর রহমান বলেন, “ঘষামাজা করা পে-অর্ডারটি ভুয়া বলেই ধারণা করছি। দরপত্র বাতিল ও আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”