ঢাকা ০২:৪০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ০৫ অগাস্ট ২০২৫, ২১ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

১৮ বছরের অপেক্ষার অবসান: আইপিএল এ প্রথমবারের মতো শিরোপা জয় কোহলির রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর

  • প্রকাশঃ ০৭:০৪:৩১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩ জুন ২০২৫
  • / 62

আহমেদাবাদে ইতিহাস গড়লো রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু। আইপিএলের ১৮ বছরের পথচলায় বহুবার স্বপ্নভঙ্গের পর এবার প্রথমবারের মতো শিরোপা ঘরে তুললো কোহলির দল। মঙ্গলবার রাতে (৩ জুন) অনুষ্ঠিত রুদ্ধশ্বাস ফাইনালে তারা ৬ রানে পরাজিত করলো পাঞ্জাব কিংসকে।

নরেন্দ্র মোদী স্টেডিয়ামে আয়োজিত এই ম্যাচে আরসিবি ২০ ওভারে ১৯০ রান তোলে। জবাবে পাঞ্জাব থেমে যায় ১৮৪/৭ রানে। দলের পক্ষে শশাঙ্ক সিং অপরাজিত ৬১ রান করলেও জয় বঞ্চিত থাকতে হয় পাঞ্জাবকে।

ছবি: সংগৃহীত

২৯ মে কোয়ালিফায়ার-১ এ মুল্লানপুরে মুখোমুখি হয় আরসিবি ও পাঞ্জাব। পাতিদারের নেতৃত্বে আরসিবি ৮ উইকেটের জয়ে সরাসরি ফাইনালে জায়গা করে নেয়। পাঞ্জাব ১০১ রানে গুটিয়ে গেলে ফিল সল্টের ৫৬ রানে মাত্র ১০ ওভারে জয় নিশ্চিত করে বেঙ্গালুরু। টস জিতে ফিল্ডিং নেয় পাঞ্জাব। আরসিবির পক্ষে বিরাট কোহলি ৩৫ বলে ৪৩, পাতিদার ২৬ ও জিতেশ ২৪ রান করেন। শেষদিকে শেফার্ডের ১৭ রানে স্কোর দাঁড়ায় ১৯০/৬। জবাবে ক্রুনাল পান্ডিয়ার নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে (২ উইকেট) ও সুয়াশ শর্মা ও হ্যাজলউডের চাপ সৃষ্টিকারী স্পেলে পাঞ্জাব থেমে যায় ১৮৪ রানে।

ম্যাচ শেষে কোহলি বলেন, এই জয় আমার ক্যারিয়ারের সবচেয়ে মূল্যবান মুহূর্ত। ১৮ বছর ধরে এই দলের জন্য খেলেছি। এই ট্রফি সেই ভক্তদের জন্য যারা কখনও আমাদের ছেড়ে যাননি। টুর্নামেন্টজুড়ে কোহলি ৬১৪ রান করেন, ছিলেন অরেঞ্জ ক্যাপ তালিকায় পাঁচ নম্বরে।

ফাইনালে পাঞ্জাবের একাদশে অভিজ্ঞতার অভাব চোখে পড়ে। যদিও কোচ রিকি পন্টিং ও অধিনায়ক শ্রেয়াস আইয়ারের নেতৃত্বে তারা ২০১৪ সালের পর প্রথম ফাইনালে ওঠে, তবুও শেষ ধাপে ব্যর্থতা পিছু ছাড়েনি।

শ্রেয়াস বলেন, আমরা লড়েছি, কিন্তু অভিজ্ঞতার অভাব অনুভব করেছি। এই অভিজ্ঞতা ভবিষ্যতে কাজে দেবে। বেঙ্গালুরুর রাস্তায় ভক্তদের উল্লাস, পতাকা মিছিল, সামাজিক মাধ্যমে “ঈ সালা কাপ নামদে” স্লোগানের ঝড় সব মিলিয়ে আরসিবির জয় যেন এক জনতার উৎসবে পরিণত হয়েছে।

সর্বশেষ খবর পেতে অনুসরণ করুন-“প্রজন্ম কথা

শেয়ার করুন

১৮ বছরের অপেক্ষার অবসান: আইপিএল এ প্রথমবারের মতো শিরোপা জয় কোহলির রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর

প্রকাশঃ ০৭:০৪:৩১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩ জুন ২০২৫

আহমেদাবাদে ইতিহাস গড়লো রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু। আইপিএলের ১৮ বছরের পথচলায় বহুবার স্বপ্নভঙ্গের পর এবার প্রথমবারের মতো শিরোপা ঘরে তুললো কোহলির দল। মঙ্গলবার রাতে (৩ জুন) অনুষ্ঠিত রুদ্ধশ্বাস ফাইনালে তারা ৬ রানে পরাজিত করলো পাঞ্জাব কিংসকে।

নরেন্দ্র মোদী স্টেডিয়ামে আয়োজিত এই ম্যাচে আরসিবি ২০ ওভারে ১৯০ রান তোলে। জবাবে পাঞ্জাব থেমে যায় ১৮৪/৭ রানে। দলের পক্ষে শশাঙ্ক সিং অপরাজিত ৬১ রান করলেও জয় বঞ্চিত থাকতে হয় পাঞ্জাবকে।

ছবি: সংগৃহীত

২৯ মে কোয়ালিফায়ার-১ এ মুল্লানপুরে মুখোমুখি হয় আরসিবি ও পাঞ্জাব। পাতিদারের নেতৃত্বে আরসিবি ৮ উইকেটের জয়ে সরাসরি ফাইনালে জায়গা করে নেয়। পাঞ্জাব ১০১ রানে গুটিয়ে গেলে ফিল সল্টের ৫৬ রানে মাত্র ১০ ওভারে জয় নিশ্চিত করে বেঙ্গালুরু। টস জিতে ফিল্ডিং নেয় পাঞ্জাব। আরসিবির পক্ষে বিরাট কোহলি ৩৫ বলে ৪৩, পাতিদার ২৬ ও জিতেশ ২৪ রান করেন। শেষদিকে শেফার্ডের ১৭ রানে স্কোর দাঁড়ায় ১৯০/৬। জবাবে ক্রুনাল পান্ডিয়ার নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে (২ উইকেট) ও সুয়াশ শর্মা ও হ্যাজলউডের চাপ সৃষ্টিকারী স্পেলে পাঞ্জাব থেমে যায় ১৮৪ রানে।

ম্যাচ শেষে কোহলি বলেন, এই জয় আমার ক্যারিয়ারের সবচেয়ে মূল্যবান মুহূর্ত। ১৮ বছর ধরে এই দলের জন্য খেলেছি। এই ট্রফি সেই ভক্তদের জন্য যারা কখনও আমাদের ছেড়ে যাননি। টুর্নামেন্টজুড়ে কোহলি ৬১৪ রান করেন, ছিলেন অরেঞ্জ ক্যাপ তালিকায় পাঁচ নম্বরে।

ফাইনালে পাঞ্জাবের একাদশে অভিজ্ঞতার অভাব চোখে পড়ে। যদিও কোচ রিকি পন্টিং ও অধিনায়ক শ্রেয়াস আইয়ারের নেতৃত্বে তারা ২০১৪ সালের পর প্রথম ফাইনালে ওঠে, তবুও শেষ ধাপে ব্যর্থতা পিছু ছাড়েনি।

শ্রেয়াস বলেন, আমরা লড়েছি, কিন্তু অভিজ্ঞতার অভাব অনুভব করেছি। এই অভিজ্ঞতা ভবিষ্যতে কাজে দেবে। বেঙ্গালুরুর রাস্তায় ভক্তদের উল্লাস, পতাকা মিছিল, সামাজিক মাধ্যমে “ঈ সালা কাপ নামদে” স্লোগানের ঝড় সব মিলিয়ে আরসিবির জয় যেন এক জনতার উৎসবে পরিণত হয়েছে।

সর্বশেষ খবর পেতে অনুসরণ করুন-“প্রজন্ম কথা