ঢাকা ০৩:৩৪ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ০৭ জুলাই ২০২৫, ২২ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

নিহত আবু সাঈদের পরিবারের পাশে দাঁড়ালেন শিশির মনির

তুর্য দাস । জেলা প্রতিনিধি
  • প্রকাশঃ ১০:০৩:৪২ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৬ জুলাই ২০২৫
  • / 10

সুনামগঞ্জের দিরাইয়ে যৌথ বাহিনী ও সন্ত্রাসীদের গোলাগুলিতে নিহত ইলেকট্রিক মিস্ত্রি আবু সাঈদ (৩৩) ও আহত শ্রমিক আলী আকবরের পরিবারের পাশে দাঁড়িয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির।

গতকাল শুক্রবার বিকেলে তিনি দিরাই উপজেলার কুলঞ্জ ইউনিয়নের তারাপাশা গ্রামে গিয়ে নিহত আবু সাঈদের পরিবারের সঙ্গে দেখা করেন এবং সমবেদনা জানান। এ সময় তিনি নিহতের পরিবারের হাতে নগদ ৫০ হাজার টাকা সহায়তা দেন। একইসঙ্গে আহত আলী আকবরের পরিবারকেও আর্থিক সহায়তা প্রদান করেন।

শিশির মনির বলেন, গত ২২ জুন যৌথ বাহিনী ও সন্ত্রাসীদের মধ্যে গোলাগুলির সময় আবু সাঈদ নিহত হন, আরেকজন আহত হন। আবু সাঈদ কোনো পক্ষের লোক ছিলেন না, পরিবারের জন্য দিনমজুরের মতো কাজ করতেন। এভাবে একটি নিরীহ প্রাণের মৃত্যু খুবই বেদনাদায়ক।

তিনি আরও বলেন, এখনো গ্রামের পর গ্রামে প্রকাশ্যে গোলাগুলি চলছে এটা লজ্জার। সন্ত্রাস ছড়িয়ে পড়লে কোনো দল পরিচয় কাজে আসে না। সন্ত্রাসী মানেই সন্ত্রাসী—যেই হোক না কেন, কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া জরুরি।

শিশির মনির জানান, নিহত আবু সাঈদের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ, পুনর্বাসন ও বিচার বিভাগীয় তদন্তের দাবিতে তিনি সরকারের সংশ্লিষ্ট দপ্তরে আইনি নোটিশ পাঠিয়েছেন। তিনি বলেন, জগন্নাথপুর থানায় অজ্ঞাতনামা মামলা হয়েছে শুনেছি। কেন অজ্ঞাতনামা , প্রকৃত দোষীদের নাম মামলা এফআইআরে থাকতে হবে। ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার স্বার্থে প্রয়োজনে একাই লড়ব।

তিনি প্রশাসনের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, আবু সাঈদের পরিবার যেন দ্রুত সহায়তা ও সুবিচার পায়, এটা নিশ্চিত করতে হবে।

প্রসঙ্গত, গত ২২ জুন দিরাই উপজেলার হাতিয়া গ্রামে যৌথ বাহিনী অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারে অভিযান চালায়। অভিযানে সন্ত্রাসীরা পালিয়ে গিয়ে জগন্নাথপুর উপজেলার গাদিয়ালা গ্রামে আশ্রয় নেয়। সেখানে সেনাবাহিনীর সঙ্গে গোলাগুলিতে গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান তারাপাশা গ্রামের বাসিন্দা আবু সাঈদ। একই ঘটনায় আহত হন শ্রমিক আলী আকবর।

পরে সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে জানানো হয়, স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ও যুবলীগ নেতা একরার হোসেনের সমর্থিত সন্ত্রাসী বাহিনীর গুলিতে এ ঘটনা ঘটে।

সর্বশেষ খবর পেতে অনুসরণ করুন- “প্রজন্ম কথা”

শেয়ার করুন

নিহত আবু সাঈদের পরিবারের পাশে দাঁড়ালেন শিশির মনির

প্রকাশঃ ১০:০৩:৪২ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৬ জুলাই ২০২৫

সুনামগঞ্জের দিরাইয়ে যৌথ বাহিনী ও সন্ত্রাসীদের গোলাগুলিতে নিহত ইলেকট্রিক মিস্ত্রি আবু সাঈদ (৩৩) ও আহত শ্রমিক আলী আকবরের পরিবারের পাশে দাঁড়িয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির।

গতকাল শুক্রবার বিকেলে তিনি দিরাই উপজেলার কুলঞ্জ ইউনিয়নের তারাপাশা গ্রামে গিয়ে নিহত আবু সাঈদের পরিবারের সঙ্গে দেখা করেন এবং সমবেদনা জানান। এ সময় তিনি নিহতের পরিবারের হাতে নগদ ৫০ হাজার টাকা সহায়তা দেন। একইসঙ্গে আহত আলী আকবরের পরিবারকেও আর্থিক সহায়তা প্রদান করেন।

শিশির মনির বলেন, গত ২২ জুন যৌথ বাহিনী ও সন্ত্রাসীদের মধ্যে গোলাগুলির সময় আবু সাঈদ নিহত হন, আরেকজন আহত হন। আবু সাঈদ কোনো পক্ষের লোক ছিলেন না, পরিবারের জন্য দিনমজুরের মতো কাজ করতেন। এভাবে একটি নিরীহ প্রাণের মৃত্যু খুবই বেদনাদায়ক।

তিনি আরও বলেন, এখনো গ্রামের পর গ্রামে প্রকাশ্যে গোলাগুলি চলছে এটা লজ্জার। সন্ত্রাস ছড়িয়ে পড়লে কোনো দল পরিচয় কাজে আসে না। সন্ত্রাসী মানেই সন্ত্রাসী—যেই হোক না কেন, কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া জরুরি।

শিশির মনির জানান, নিহত আবু সাঈদের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ, পুনর্বাসন ও বিচার বিভাগীয় তদন্তের দাবিতে তিনি সরকারের সংশ্লিষ্ট দপ্তরে আইনি নোটিশ পাঠিয়েছেন। তিনি বলেন, জগন্নাথপুর থানায় অজ্ঞাতনামা মামলা হয়েছে শুনেছি। কেন অজ্ঞাতনামা , প্রকৃত দোষীদের নাম মামলা এফআইআরে থাকতে হবে। ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার স্বার্থে প্রয়োজনে একাই লড়ব।

তিনি প্রশাসনের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, আবু সাঈদের পরিবার যেন দ্রুত সহায়তা ও সুবিচার পায়, এটা নিশ্চিত করতে হবে।

প্রসঙ্গত, গত ২২ জুন দিরাই উপজেলার হাতিয়া গ্রামে যৌথ বাহিনী অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারে অভিযান চালায়। অভিযানে সন্ত্রাসীরা পালিয়ে গিয়ে জগন্নাথপুর উপজেলার গাদিয়ালা গ্রামে আশ্রয় নেয়। সেখানে সেনাবাহিনীর সঙ্গে গোলাগুলিতে গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান তারাপাশা গ্রামের বাসিন্দা আবু সাঈদ। একই ঘটনায় আহত হন শ্রমিক আলী আকবর।

পরে সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে জানানো হয়, স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ও যুবলীগ নেতা একরার হোসেনের সমর্থিত সন্ত্রাসী বাহিনীর গুলিতে এ ঘটনা ঘটে।

সর্বশেষ খবর পেতে অনুসরণ করুন- “প্রজন্ম কথা”