ছাত্রদলের হামলার প্রতিবাদে ৩ দাবিতে জবি বিভাগ বন্ধ, ২৪ ঘণ্টার আল্টিমেটাম

- প্রকাশঃ ১১:০১:৩১ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৩ জুলাই ২০২৫
- / 5
ম্যানেজমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষার্থীর ওপর হামলার ঘটনায় বিক্ষোভ । ছবি: প্রজন্ম কথা
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) ম্যানেজমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের দুই শিক্ষক ও তিন শিক্ষার্থীর ওপর শাখা জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের হামলার প্রতিবাদে তিন দফা দাবি পেশ করে বিভাগ বন্ধ ঘোষণা করেছেন শিক্ষার্থীরা। একইসঙ্গে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে দাবি পূরণের আল্টিমেটাম দিয়েছেন তারা।
রোববার (১৩ জুলাই) দুপুর ১২টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি ভবনের সামনে বিক্ষোভ মিছিল শেষে এক সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষার্থীরা এ আল্টিমেটাম দেন।
সংবাদ সম্মেলনে ম্যানেজমেন্ট বিভাগের ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী বাঁধন আহমেদ মারুফ বলেন, “বিভাগে গিয়ে ছাত্রদল কর্তৃক হামলার ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন সম্পূর্ণ নীরব। এমনকি শিক্ষক সমিতিও কোনো বিবৃতি দেয়নি। শিক্ষকদের লাঞ্ছিত করার এমন ঘটনা ছাত্রলীগের আমলেও হয়নি। তাহলে ৫ আগস্টের পর তারা এমন সাহস পেল কোথায়? এখন এসব বললে আমাকেই ছাত্রলীগ ট্যাগ দেওয়া হবে দিক! ছাত্রলীগের সময়ও শিবির ট্যাগ খেয়েছি।”
দাবিগুলো তুলে ধরেন বিভাগের ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী ইরফান হোসেন। তিনি বলেন, এই ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত বিভাগের সকল ক্লাস-পরীক্ষা বন্ধ থাকবে।
আজ ১৩ জুলাইয়ের মধ্যেই ঘটনার তদন্ত শেষ করে প্রশাসনকে যথাযথ ব্যবস্থা নিতে হবে, হামলায় সরাসরি জড়িত সকল বর্তমান শিক্ষার্থীকে বহিষ্কার করে বিচারের আওতায় আনতে হবে, সাবেক শিক্ষার্থীদের রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে ক্যাম্পাসে প্রবেশ নিষিদ্ধ করতে হবে এবং ঘটনায় জড়িত সাবেকদের বিরুদ্ধেও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে ব্যবস্থা নিতে হবে।
এর আগে সকাল ১১টায় বিভাগের সকল ক্লাস-পরীক্ষা স্থগিত রেখে শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেন। গত বৃহস্পতিবার (১০ জুলাই) বিকেল সাড়ে চারটায় শহীদ সাজিদ একাডেমিক ভবনের নিচে বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী রফিক বিন সাদেকের ছাত্রলীগ সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ তুলে তার ওপর হামলা চালায় শাখা ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা। এসময় বিভাগের শিক্ষক ও ছাত্রকল্যাণ উপদেষ্টা ড. এ কে এম রিফাত হাসান এবং সহকারী প্রক্টর শফিকুল ইসলাম এগিয়ে গেলে তাদেরও গালিগালাজ ও শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করা হয়।
একইসাথে শাখা বাগছাস সভাপতি, মুখ্য সংগঠক ও যুগ্ম আহ্বায়ক যথাক্রমে মো. ফয়সাল মুরাদ, ফেরদৌস হাসান ও ফারুককে ছাত্রলীগ ট্যাগ দিয়ে তাদেরও হামলার শিকার করা হয়।