ঢাকা ০৩:০৮ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৮ জুলাই ২০২৫, ২ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

গোপালগঞ্জে এনসিপির সমাবেশ ঘিরে সংঘর্ষ: হামলা-ভাঙচুর, সেনা অভিযান ও ১৪৪ ধারা জারি

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশঃ ০৫:১৩:১২ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৬ জুলাই ২০২৫
  • / 9

জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) ঘোষিত কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে রণক্ষেত্রে পরিণত হয়েছে গোপালগঞ্জ। সকাল থেকেই স্থানীয় ছাত্রলীগ, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ ও আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা শহরের বিভিন্ন স্থানে ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ ও হামলার ঘটনা ঘটিয়েছেন। এক পর্যায়ে এনসিপির সমাবেশস্থলেও হামলা হয়।

জানা গেছে, সমাবেশ শেষে ফিরে যাওয়ার পথে কেন্দ্রীয় নেতাকর্মীদের গাড়িবহরে হামলা চালানো হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে বিকেল ৪টা ৪৯ মিনিটের দিকে গোপালগঞ্জে সেনাবাহিনী অভিযান শুরু করে। হামলা-ভাঙচুরের মধ্যে জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে আশ্রয় নিয়েছেন এনসিপির শীর্ষ নেতারা নাহিদ ইসলাম, সারজিস আলম ও হাসনাত আবদুল্লাহ।

এ ঘটনায় গোপালগঞ্জ জেলা জুড়ে ১৪৪ ধারা জারি করেছেন জেলা প্রশাসক মো. কামরুজ্জামান। শহরের বিভিন্ন এলাকায় সেনাবাহিনী-পুলিশ যৌথভাবে অভিযান চালাচ্ছে।

সমাবেশে উপস্থিত হয়ে এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘গোপালগঞ্জের নাম বদলাতে আমরা আসিনি। হামলার বিচার না হলে আমরা আবার আসবো, নিজ হাতে মুজিববাদ মুক্ত করবো।’

সমাবেশে হামলার ঘটনায় মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এক বিবৃতিতে বলেন, ‘আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির চরম অবনতিতে আওয়ামী দোসররা দেশে অরাজকতা সৃষ্টির অপচেষ্টা করছে। এসব দুষ্কৃতিকারীদের কঠোর হস্তে দমন ছাড়া বিকল্প নেই।’

ঘটনার সময় হামলাকারীরা সমাবেশস্থলের মঞ্চের চেয়ার ভাঙচুর ও ব্যানার ছিঁড়ে ফেলে। পুলিশের গাড়িতেও হামলা ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে। এ সময় পুলিশের তিন সদস্য আহত হন। পরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার গাড়িতেও হামলা চালানো হয়।

এ ঘটনার পর জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান ফেসবুকে লিখেছেন, ‘গোপালগঞ্জ বাংলাদেশেরই অংশ। রাজনৈতিক কর্মসূচি পালনের অধিকার সবার আছে। দ্রুত সরকারকে সঠিক পদক্ষেপ নিতে হবে, অন্যথায় ইতিহাসের দায় সরকারের ওপরই বর্তাবে।’

শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত সেনাবাহিনী ও পুলিশ যৌথভাবে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করছে। শহরের গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টগুলোতে অতিরিক্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে।

শেয়ার করুন

গোপালগঞ্জে এনসিপির সমাবেশ ঘিরে সংঘর্ষ: হামলা-ভাঙচুর, সেনা অভিযান ও ১৪৪ ধারা জারি

প্রকাশঃ ০৫:১৩:১২ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৬ জুলাই ২০২৫

জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) ঘোষিত কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে রণক্ষেত্রে পরিণত হয়েছে গোপালগঞ্জ। সকাল থেকেই স্থানীয় ছাত্রলীগ, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ ও আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা শহরের বিভিন্ন স্থানে ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ ও হামলার ঘটনা ঘটিয়েছেন। এক পর্যায়ে এনসিপির সমাবেশস্থলেও হামলা হয়।

জানা গেছে, সমাবেশ শেষে ফিরে যাওয়ার পথে কেন্দ্রীয় নেতাকর্মীদের গাড়িবহরে হামলা চালানো হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে বিকেল ৪টা ৪৯ মিনিটের দিকে গোপালগঞ্জে সেনাবাহিনী অভিযান শুরু করে। হামলা-ভাঙচুরের মধ্যে জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে আশ্রয় নিয়েছেন এনসিপির শীর্ষ নেতারা নাহিদ ইসলাম, সারজিস আলম ও হাসনাত আবদুল্লাহ।

এ ঘটনায় গোপালগঞ্জ জেলা জুড়ে ১৪৪ ধারা জারি করেছেন জেলা প্রশাসক মো. কামরুজ্জামান। শহরের বিভিন্ন এলাকায় সেনাবাহিনী-পুলিশ যৌথভাবে অভিযান চালাচ্ছে।

সমাবেশে উপস্থিত হয়ে এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘গোপালগঞ্জের নাম বদলাতে আমরা আসিনি। হামলার বিচার না হলে আমরা আবার আসবো, নিজ হাতে মুজিববাদ মুক্ত করবো।’

সমাবেশে হামলার ঘটনায় মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এক বিবৃতিতে বলেন, ‘আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির চরম অবনতিতে আওয়ামী দোসররা দেশে অরাজকতা সৃষ্টির অপচেষ্টা করছে। এসব দুষ্কৃতিকারীদের কঠোর হস্তে দমন ছাড়া বিকল্প নেই।’

ঘটনার সময় হামলাকারীরা সমাবেশস্থলের মঞ্চের চেয়ার ভাঙচুর ও ব্যানার ছিঁড়ে ফেলে। পুলিশের গাড়িতেও হামলা ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে। এ সময় পুলিশের তিন সদস্য আহত হন। পরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার গাড়িতেও হামলা চালানো হয়।

এ ঘটনার পর জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান ফেসবুকে লিখেছেন, ‘গোপালগঞ্জ বাংলাদেশেরই অংশ। রাজনৈতিক কর্মসূচি পালনের অধিকার সবার আছে। দ্রুত সরকারকে সঠিক পদক্ষেপ নিতে হবে, অন্যথায় ইতিহাসের দায় সরকারের ওপরই বর্তাবে।’

শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত সেনাবাহিনী ও পুলিশ যৌথভাবে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করছে। শহরের গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টগুলোতে অতিরিক্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে।