বিচার ও তদন্তের দাবিতে
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের ৪২১ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে ছাত্রদলের স্মারকলিপি

- প্রকাশঃ ০৯:৪৫:০৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ২০ জুলাই ২০২৫
- / 5
সহিংসতা ও দমননীতির অভিযোগে উপাচার্য বরাবর স্মারকলিপি প্রদান, তদন্ত কমিটি গঠনের দাবি ছাত্রদলের | ছবি: প্রজন্ম কথা
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে (জবি) চলমান রাজনৈতিক অস্থিরতার মধ্যে ছাত্রলীগের ৪২১ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ তুলে ধরেছে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদল। সহিংসতা, নিরাপত্তাহীনতা ও রাজনৈতিক দমননীতির অভিযোগ এনে রোববার (২০ জুলাই) বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, ট্রেজারার, প্রক্টর ও রেজিস্টার বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করে সংগঠনটি।
ছাত্রদলের দাবি, গত ১৭ বছরে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে সৃষ্ট বিভিন্ন ধরনের বিশৃঙ্খলার জন্য ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের পাশাপাশি কিছু শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড দায়ী। স্মারকলিপিতে শহীদ সাজিদ ভবনের একতরফা ও তদন্তবিহীন বিচার প্রক্রিয়া প্রত্যাহার এবং প্রকৃত অপরাধীদের বিচারের আওতায় আনার দাবি জানানো হয়।
ছাত্রদলের আহ্বায়ক মেহেদি হাসান হিমেল বলেন, আমরা শুধুমাত্র তাদের বিচার চাই যারা বিরোধী মতের শিক্ষার্থীদের নির্যাতন করেছে। নিরপরাধ কেউ যেন হয়রানির শিকার না হয়, সেটিও আমাদের স্পষ্ট অবস্থান।
ছাত্রদলের সদস্য সচিব শামসুল আরেফিন বলেন, ছাত্রলীগের প্রশ্নে আমরা বিন্দুমাত্র আপোষ করবো না। আমরা চাই, নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের প্রতিটি সন্ত্রাসীর বিচার হোক।
স্মারকলিপিতে আরও বলা হয়, জুলাই-আগস্টের ছাত্র আন্দোলনে যারা শান্তিপূর্ণভাবে অংশগ্রহণ করেছে এবং কোনো ফৌজদারি অপরাধে জড়িত নয়, তাদের এই তালিকা থেকে বাদ দেওয়ার আহ্বান জানানো হয়।
স্মারকলিপি প্রদান অনুষ্ঠানে ছাত্রদলের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক জাফর আহমেদ, যুগ্ম আহ্বায়ক সুমন সরদার, মোস্তাফিজুর রহমান রুমি, শাহরিয়ার হোসেন, নাহিয়ান বিন অনিক, রাশেদসহ সংগঠনের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এখনো এ বিষয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো মন্তব্য করেনি। তবে ছাত্রদলের পক্ষ থেকে ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তে একটি নিরপেক্ষ তদন্ত কমিটি গঠনের দাবি জানানো হয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্রমবর্ধমান সহিংসতা ও দমনমূলক আচরণের প্রেক্ষিতে শিক্ষাবিদ ও বিশ্লেষকরা মনে করছেন, এ ধরনের উদ্যোগ শিক্ষার্থীদের অধিকার রক্ষা এবং শিক্ষাবান্ধব পরিবেশ বজায় রাখতে সহায়ক হতে পারে। তবে তারা আরও বলেন, পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে হলে প্রশাসনের ন্যায়সঙ্গত ও জবাবদিহিমূলক পদক্ষেপ জরুরি।