ঢাকা ০৯:১৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ০৩ অগাস্ট ২০২৫, ১৯ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বগুড়ায় রায় পেয়েও জমি পাচ্ছেন না মাইদুল

  • প্রকাশঃ ০৬:৪৫:৫৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ৩ অগাস্ট ২০২৫
  • / 2

বগুড়া সদর উপজেলার মাটিডালি বাজার এলাকায় আদালতের রায় সত্ত্বেও নিজস্ব জমি বুঝে নিতে গিয়ে অপপ্রচারের শিকার হচ্ছেন বিএনপি নেতা ও সদর উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান মাইদুল ইসলাম গফুর।

তিনি অভিযোগ করেছেন, দীর্ঘ আইনি লড়াইয়ের পর আদালতের রায় নিজের পক্ষে আসলেও জমি বুঝে নিতে গেলে একটি পক্ষ উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে তার বিরুদ্ধে মিথ্যা প্রচার চালাচ্ছে।

জানা গেছে, প্রায় এক যুগ আগে মাটিডালি বাজার এলাকায় ৫০ শতক জমি ক্রয় করেন মাইদুল ইসলাম গফুর। জমিটি স্থানীয়ভাবে মধু ও মোফার ছ’মিল এবং খয়রাতের গোডাউন হিসেবে পরিচিত। ক্রয়ের পরও জমিটি দীর্ঘদিন ধরে কাগজপত্রবিহীনভাবে ভোগদখল করে আসছিল একটি পক্ষ। ২০১৩ সালের ৩ মার্চ একটি অপ্রত্যাহারযোগ্য আমমোক্তারনামা দলিল এবং পরবর্তীতে কোবলা দলিল অনুযায়ী জমির মালিকানা দাবি করেন মাইদুল গফুর।

এই সম্পত্তিকে কেন্দ্র করে তার বিরুদ্ধে দুটি সিভিল মামলা দায়ের করা হয়। দীর্ঘ ১২ বছরের আইনি প্রক্রিয়া শেষে আদালত প্রথম মামলাটি খারিজ করে দেন। পরবর্তী মামলার রায়ও মাইদুল গফুরের পক্ষে আসে।

বিএনপি নেতা মাইদুল ইসলাম গফুর বলেন, “আমি আদালতের রায় পাওয়ার পর আইনানুগভাবে জমি বুঝে নিতে গেলে একটি মহল অপপ্রচার শুরু করে। উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে আমাকে হেয়প্রতিপন্ন করতে সামাজিকভাবে বিভ্রান্তি ছড়ানো হচ্ছে।”

তিনি আরও জানান, বিতর্কিত এই সম্পত্তি তিনি ইতিমধ্যেই অন্যত্র হস্তান্তর করেছেন। তার কাছ থেকে জমি কিনে নেওয়া নতুন মালিকও জমি বিক্রির জন্য বায়না গ্রহণ করেছেন। কিন্তু জমি হস্তান্তরের পরও একটি পক্ষ দখলদারিত্ব বজায় রেখে প্রশাসনের কাছে বিভ্রান্তিমূলক অভিযোগ করছে।

“আমি একজন ক্রয়কৃত ও বৈধ কাগজপত্রভিত্তিক মালিক হয়েও জায়গা বুঝে নিতে গিয়ে যে হয়রানির শিকার হচ্ছি, তা মোটেও কাম্য নয়,” বলেন তিনি।

এ বিষয়ে স্থানীয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোনো প্রতিক্রিয়া জানা যায়নি।

সর্বশেষ খবর পেতে অনুসরণ করুন- “প্রজন্ম কথা”

শেয়ার করুন

বগুড়ায় রায় পেয়েও জমি পাচ্ছেন না মাইদুল

প্রকাশঃ ০৬:৪৫:৫৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ৩ অগাস্ট ২০২৫

বগুড়া সদর উপজেলার মাটিডালি বাজার এলাকায় আদালতের রায় সত্ত্বেও নিজস্ব জমি বুঝে নিতে গিয়ে অপপ্রচারের শিকার হচ্ছেন বিএনপি নেতা ও সদর উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান মাইদুল ইসলাম গফুর।

তিনি অভিযোগ করেছেন, দীর্ঘ আইনি লড়াইয়ের পর আদালতের রায় নিজের পক্ষে আসলেও জমি বুঝে নিতে গেলে একটি পক্ষ উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে তার বিরুদ্ধে মিথ্যা প্রচার চালাচ্ছে।

জানা গেছে, প্রায় এক যুগ আগে মাটিডালি বাজার এলাকায় ৫০ শতক জমি ক্রয় করেন মাইদুল ইসলাম গফুর। জমিটি স্থানীয়ভাবে মধু ও মোফার ছ’মিল এবং খয়রাতের গোডাউন হিসেবে পরিচিত। ক্রয়ের পরও জমিটি দীর্ঘদিন ধরে কাগজপত্রবিহীনভাবে ভোগদখল করে আসছিল একটি পক্ষ। ২০১৩ সালের ৩ মার্চ একটি অপ্রত্যাহারযোগ্য আমমোক্তারনামা দলিল এবং পরবর্তীতে কোবলা দলিল অনুযায়ী জমির মালিকানা দাবি করেন মাইদুল গফুর।

এই সম্পত্তিকে কেন্দ্র করে তার বিরুদ্ধে দুটি সিভিল মামলা দায়ের করা হয়। দীর্ঘ ১২ বছরের আইনি প্রক্রিয়া শেষে আদালত প্রথম মামলাটি খারিজ করে দেন। পরবর্তী মামলার রায়ও মাইদুল গফুরের পক্ষে আসে।

বিএনপি নেতা মাইদুল ইসলাম গফুর বলেন, “আমি আদালতের রায় পাওয়ার পর আইনানুগভাবে জমি বুঝে নিতে গেলে একটি মহল অপপ্রচার শুরু করে। উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে আমাকে হেয়প্রতিপন্ন করতে সামাজিকভাবে বিভ্রান্তি ছড়ানো হচ্ছে।”

তিনি আরও জানান, বিতর্কিত এই সম্পত্তি তিনি ইতিমধ্যেই অন্যত্র হস্তান্তর করেছেন। তার কাছ থেকে জমি কিনে নেওয়া নতুন মালিকও জমি বিক্রির জন্য বায়না গ্রহণ করেছেন। কিন্তু জমি হস্তান্তরের পরও একটি পক্ষ দখলদারিত্ব বজায় রেখে প্রশাসনের কাছে বিভ্রান্তিমূলক অভিযোগ করছে।

“আমি একজন ক্রয়কৃত ও বৈধ কাগজপত্রভিত্তিক মালিক হয়েও জায়গা বুঝে নিতে গিয়ে যে হয়রানির শিকার হচ্ছি, তা মোটেও কাম্য নয়,” বলেন তিনি।

এ বিষয়ে স্থানীয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোনো প্রতিক্রিয়া জানা যায়নি।

সর্বশেষ খবর পেতে অনুসরণ করুন- “প্রজন্ম কথা”