ঢাকা ০৪:৩৫ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১১ অগাস্ট ২০২৫, ২৬ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সাবেক সচিবের অভিযোগ

উপদেষ্টাদের কেউ কেউ ‘সীমাহীন দুর্নীতির’ সঙ্গে জড়িত

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশঃ ০১:২১:২১ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১০ অগাস্ট ২০২৫
  • / 5

অলঙ্করণ: আনোয়ার সোহেল


অন্তর্বর্তী সরকারের কয়েকজন উপদেষ্টার বিরুদ্ধে ‘সীমাহীন দুর্নীতির’ অভিযোগ তুলেছেন সাবেক সচিব ও অফিসার্স ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক এ বি এম আব্দুস সাত্তার। তবে তিনি কোনো নাম প্রকাশ না করলেও প্রমাণ থাকার দাবি করেছেন।

শুক্রবার রাজধানীর বিয়াম মিলনায়তনে বাংলাদেশ অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশন আয়োজিত এক সেমিনারে অতিথি বক্তা হিসেবে তিনি বলেন, “অন্তত আটজন উপদেষ্টার বিরুদ্ধে প্রমাণসহ বলতে পারব তারা সীমাহীন দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত। কন্ট্রাক্ট ছাড়া গুরুত্বপূর্ণ পদে নিয়োগ বা বদলি হয় না।”

তিনি আরও দাবি করেন, এক উপদেষ্টার ব্যক্তিগত সহকারীর (এপিএস) অ্যাকাউন্টে ২০০ কোটি টাকা এবং আরেকজনের পারসোনাল অফিসারের অ্যাকাউন্টে ৪০০ কোটি টাকা পাওয়া গেছে, কিন্তু ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।

নির্দিষ্ট মন্ত্রণালয়ের প্রসঙ্গ টেনে তিনি প্রশ্ন তোলেন, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় কি নূরজাহান বেগম চালাতে পারেন? স্থানীয় সরকার ও যুব ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ে অনভিজ্ঞদের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।

ড. মুহাম্মদ ইউনূস এসব বিষয়ে অবগত থাকলেও ব্যবস্থা নিচ্ছেন না বলে মন্তব্য করেন সাত্তার। সাবেক সচিব বলেন, গত ১৫ বছরের দুর্নীতিকে ছাড়িয়ে যাওয়ার অভিযোগ আছে গত এক বছরে। দলবাজি ও দুর্নীতি সহনীয় পর্যায়ে না আনলে প্রশাসন ক্যাডারের অবস্থা বিপন্ন হবে।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন প্রধান উপদেষ্টার মুখ্য সচিব এম সিরাজ উদ্দিন মিয়া এবং মুখ্য আলোচক ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর নিয়াজ আহমেদ খান।

সর্বশেষ খবর পেতে অনুসরণ করুন- “প্রজন্ম কথা”

শেয়ার করুন

সাবেক সচিবের অভিযোগ

উপদেষ্টাদের কেউ কেউ ‘সীমাহীন দুর্নীতির’ সঙ্গে জড়িত

প্রকাশঃ ০১:২১:২১ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১০ অগাস্ট ২০২৫

অলঙ্করণ: আনোয়ার সোহেল


অন্তর্বর্তী সরকারের কয়েকজন উপদেষ্টার বিরুদ্ধে ‘সীমাহীন দুর্নীতির’ অভিযোগ তুলেছেন সাবেক সচিব ও অফিসার্স ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক এ বি এম আব্দুস সাত্তার। তবে তিনি কোনো নাম প্রকাশ না করলেও প্রমাণ থাকার দাবি করেছেন।

শুক্রবার রাজধানীর বিয়াম মিলনায়তনে বাংলাদেশ অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশন আয়োজিত এক সেমিনারে অতিথি বক্তা হিসেবে তিনি বলেন, “অন্তত আটজন উপদেষ্টার বিরুদ্ধে প্রমাণসহ বলতে পারব তারা সীমাহীন দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত। কন্ট্রাক্ট ছাড়া গুরুত্বপূর্ণ পদে নিয়োগ বা বদলি হয় না।”

তিনি আরও দাবি করেন, এক উপদেষ্টার ব্যক্তিগত সহকারীর (এপিএস) অ্যাকাউন্টে ২০০ কোটি টাকা এবং আরেকজনের পারসোনাল অফিসারের অ্যাকাউন্টে ৪০০ কোটি টাকা পাওয়া গেছে, কিন্তু ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।

নির্দিষ্ট মন্ত্রণালয়ের প্রসঙ্গ টেনে তিনি প্রশ্ন তোলেন, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় কি নূরজাহান বেগম চালাতে পারেন? স্থানীয় সরকার ও যুব ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ে অনভিজ্ঞদের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।

ড. মুহাম্মদ ইউনূস এসব বিষয়ে অবগত থাকলেও ব্যবস্থা নিচ্ছেন না বলে মন্তব্য করেন সাত্তার। সাবেক সচিব বলেন, গত ১৫ বছরের দুর্নীতিকে ছাড়িয়ে যাওয়ার অভিযোগ আছে গত এক বছরে। দলবাজি ও দুর্নীতি সহনীয় পর্যায়ে না আনলে প্রশাসন ক্যাডারের অবস্থা বিপন্ন হবে।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন প্রধান উপদেষ্টার মুখ্য সচিব এম সিরাজ উদ্দিন মিয়া এবং মুখ্য আলোচক ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর নিয়াজ আহমেদ খান।

সর্বশেষ খবর পেতে অনুসরণ করুন- “প্রজন্ম কথা”