নড়াইলে এনজিও জালিয়াতি: মাঠকর্মীর বিরুদ্ধে অভিযোগে নিরপেক্ষ তদন্ত দাবি

- প্রকাশঃ ০৯:১৮:৫৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৫
- / 7
সংবাদ সম্মেলনে দিতি খানম | ছবি: প্রজন্ম কথা
নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলার নলদীতে ক্ষুদ্রঋণ প্রদানকারী সংস্থা আদ্-দ্বীন ওয়েলফেয়ার সেন্টারের বিরুদ্ধে গ্রাহকদের সঙ্গে জালিয়াতির অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় মাঠকর্মী দিতি খানমকে দায়ী করা হলেও তিনি নিজের নির্দোষিতা দাবি করে নিরপেক্ষ তদন্তের আহ্বান জানিয়েছেন।
বুধবার (১০ সেপ্টেম্বর) দুপুরে নড়াইল শহরের কুড়িগ্রাম এলাকায় নিজ বাসভবনে সংবাদ সম্মেলন করে দিতি খানম এ দাবি জানান। তাঁর পরিবারের সদস্য ও কয়েকজন গ্রাহকও এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
দিতি খানম বলেন, ২০১৯ সাল থেকে তিনি নলদী শাখায় মাঠকর্মী হিসেবে কর্মরত। সম্প্রতি কর্তৃপক্ষ তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেছে যে, তিনি নকল সদস্য সাজিয়ে ঋণ উত্তোলন এবং গ্রাহকদের কাছ থেকে সঞ্চয় আদায় করে অফিসে জমা না দিয়ে ৩৬ লাখ টাকার বেশি অর্থ আত্মসাৎ করেছেন। এ অভিযোগে তাঁকে আইনি নোটিশও দেওয়া হয়েছে। তবে দিতির দাবি, “আমি শুধু ঋণ প্রস্তাব করি, চূড়ান্ত যাচাই-বাছাই ও ঋণ বিতরণ করেন আঞ্চলিক ও শাখা ব্যবস্থাপক এবং হিসাবরক্ষক। এ প্রক্রিয়ায় মাঠকর্মীর জালিয়াতির সুযোগ নেই।”
তিনি আরও অভিযোগ করেন, প্রকৃতপক্ষে আঞ্চলিক ব্যবস্থাপক হারুন অর রশীদ, সাবেক শাখা ব্যবস্থাপক এ এইচ এম কামাল ও হিসাবরক্ষক উম্মে হাবীবা গ্রাহকদের অজান্তে টাকা উত্তোলন ও কিস্তি পরিচালনা করেছেন। বিষয়টি প্রকাশ পেলে শাখা ব্যবস্থাপক ও হিসাবরক্ষককে সাময়িকভাবে বহিষ্কার করা হলেও পরে আবারও নিয়োগ দেওয়া হয়। “নিজেদের অপকর্ম ঢাকতেই আমাকে অপরাধী বানানোর ষড়যন্ত্র চলছে,” দাবি করেন দিতি।
তাঁর দাবি, “আমার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগগুলো আঞ্চলিক ব্যবস্থাপকের প্ররোচনায় সাজানো। আমি চাই নিরপেক্ষ তদন্ত হোক। অন্যায়ভাবে শাস্তি দেওয়া হলে আমি আইনি পদক্ষেপ নেব।”
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে আঞ্চলিক ব্যবস্থাপক হারুন অর-রশীদ বলেন, দিতির অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা। তিনি জানান, শাখা ব্যবস্থাপক অবসরে গেছেন এবং হিসাবরক্ষক স্বেচ্ছায় চাকরি ছেড়েছেন। “আমরা কখনো গ্রাহকের অজান্তে ঋণ নিইনি। বরং দিতির দেওয়া প্রস্তাব ও কাগজপত্রের ভিত্তিতেই ঋণ অনুমোদিত হয়েছে। অনেক ছোট ঋণ দ্রুত অনুমোদনের কারণে সবসময় বাড়ি গিয়ে যাচাই সম্ভব হয়নি। এই সুযোগে দিতি জালিয়াতি করেছে,” বলেন তিনি।