ঢাকা ১২:০২ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ০৫ নভেম্বর ২০২৫, ২০ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ঢাকা বিভাগে সবচেয়ে বেশি বেকার, স্নাতক ডিগ্রিধারীরা শীর্ষে

প্রজন্ম কথা ডেস্ক
  • প্রকাশঃ ১০:৫৮:৫৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  • / 42

প্রতীকী ছবি


বাংলাদেশে সর্বাধিক বেকার মানুষের বসবাস ঢাকায়। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) প্রকাশিত শ্রমশক্তি জরিপ ২০২৪–এর চূড়ান্ত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ঢাকা বিভাগে বেকারের সংখ্যা ৬ লাখ ৮৭ হাজার। এর পরেই রয়েছে চট্টগ্রাম বিভাগে ৫ লাখ ৮৪ হাজার এবং রাজশাহী বিভাগে ৩ লাখ ৫৭ হাজার বেকার।

প্রতিবেদনে জানানো হয়, বিভাগওয়ারি হিসাবে খুলনায় ৩ লাখ ৩১ হাজার, সিলেটে ২ লাখ ১৬ হাজার, রংপুরে ২ লাখ ৬ হাজার, বরিশালে ১ লাখ ৩৯ হাজার এবং ময়মনসিংহ বিভাগে ১ লাখ ৪ হাজার বেকার রয়েছে।

আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার (আইএলও) মানদণ্ড অনুযায়ী, এক মাস ধরে কাজপ্রত্যাশী এবং সর্বশেষ এক সপ্তাহে এক ঘণ্টার বেশি মজুরিভিত্তিক কাজ না পাওয়া ব্যক্তিদের বেকার ধরা হয়। এই সংজ্ঞা অনুসারে দেশে মোট বেকারের সংখ্যা ২৬ লাখ ২৪ হাজার। তবে বাস্তবতায় সপ্তাহে এক ঘণ্টা কাজ করে জীবনধারণ অসম্ভব। তাই প্রায় এক কোটি মানুষকে ‘ছদ্ম বেকার’ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।

বিবিএসের প্রতিবেদনে বলা হয়, দেশে যত বেকার আছে, তাঁদের মধ্যে সাড়ে ১৩ শতাংশ স্নাতক ডিগ্রিধারী এবং ৭ দশমিক ১৩ শতাংশ উচ্চমাধ্যমিক পাস। অর্থাৎ প্রতি পাঁচজন বেকারের একজন স্নাতক বা এইচএসসি পাস। আনুষ্ঠানিক শিক্ষা নেই এমন ব্যক্তিদের বেকারত্বের হার সবচেয়ে কম—মাত্র সোয়া ১ শতাংশ।

১৫ থেকে ২৯ বছর বয়সী তরুণদের মধ্যে বেকারসংখ্যা প্রায় ২০ লাখ, যা মোট বেকারের ৭৬ শতাংশ। এ বয়সী তরুণদের মধ্যে বেকারত্বের হার ৮ শতাংশের বেশি। তরুণ বেকারদের মধ্যে প্রায় ২৯ শতাংশ স্নাতক ডিগ্রিধারী।

জরিপে দেখা গেছে, প্রায় ৩৬ শতাংশ চাকরিপ্রত্যাশী আত্মীয়-স্বজন ও বন্ধুদের সহায়তায় চাকরি খুঁজেছেন। সংবাদপত্রের বিজ্ঞাপন দেখে আবেদন করেছেন ২৬ শতাংশ, আর সরাসরি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে গিয়ে চাকরি চেয়েছেন প্রায় ১২ শতাংশ চাকরিপ্রত্যাশী।

প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, দেশে বেকারত্ব প্রধানত তিন ধরনের— সামঞ্জস্যহীনতাজনিত বেকারত্ব: শ্রমবাজারে চাহিদা ও সরবরাহের ঘাটতি থেকে সৃষ্টি হয়। বাণিজ্য চক্রজনিত বেকারত্ব: অর্থনীতির উত্থান-পতন বা সংকটকালীন সময়ে বেকারত্ব বেড়ে যায়। কাঠামোগত বেকারত্ব: প্রযুক্তিগত পরিবর্তন ও নতুন দক্ষতার ঘাটতির কারণে ঘটে।

সর্বশেষ খবর পেতে অনুসরণ করুন- “প্রজন্ম কথা”

শেয়ার করুন

ঢাকা বিভাগে সবচেয়ে বেশি বেকার, স্নাতক ডিগ্রিধারীরা শীর্ষে

প্রকাশঃ ১০:৫৮:৫৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৫

প্রতীকী ছবি


বাংলাদেশে সর্বাধিক বেকার মানুষের বসবাস ঢাকায়। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) প্রকাশিত শ্রমশক্তি জরিপ ২০২৪–এর চূড়ান্ত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ঢাকা বিভাগে বেকারের সংখ্যা ৬ লাখ ৮৭ হাজার। এর পরেই রয়েছে চট্টগ্রাম বিভাগে ৫ লাখ ৮৪ হাজার এবং রাজশাহী বিভাগে ৩ লাখ ৫৭ হাজার বেকার।

প্রতিবেদনে জানানো হয়, বিভাগওয়ারি হিসাবে খুলনায় ৩ লাখ ৩১ হাজার, সিলেটে ২ লাখ ১৬ হাজার, রংপুরে ২ লাখ ৬ হাজার, বরিশালে ১ লাখ ৩৯ হাজার এবং ময়মনসিংহ বিভাগে ১ লাখ ৪ হাজার বেকার রয়েছে।

আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার (আইএলও) মানদণ্ড অনুযায়ী, এক মাস ধরে কাজপ্রত্যাশী এবং সর্বশেষ এক সপ্তাহে এক ঘণ্টার বেশি মজুরিভিত্তিক কাজ না পাওয়া ব্যক্তিদের বেকার ধরা হয়। এই সংজ্ঞা অনুসারে দেশে মোট বেকারের সংখ্যা ২৬ লাখ ২৪ হাজার। তবে বাস্তবতায় সপ্তাহে এক ঘণ্টা কাজ করে জীবনধারণ অসম্ভব। তাই প্রায় এক কোটি মানুষকে ‘ছদ্ম বেকার’ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।

বিবিএসের প্রতিবেদনে বলা হয়, দেশে যত বেকার আছে, তাঁদের মধ্যে সাড়ে ১৩ শতাংশ স্নাতক ডিগ্রিধারী এবং ৭ দশমিক ১৩ শতাংশ উচ্চমাধ্যমিক পাস। অর্থাৎ প্রতি পাঁচজন বেকারের একজন স্নাতক বা এইচএসসি পাস। আনুষ্ঠানিক শিক্ষা নেই এমন ব্যক্তিদের বেকারত্বের হার সবচেয়ে কম—মাত্র সোয়া ১ শতাংশ।

১৫ থেকে ২৯ বছর বয়সী তরুণদের মধ্যে বেকারসংখ্যা প্রায় ২০ লাখ, যা মোট বেকারের ৭৬ শতাংশ। এ বয়সী তরুণদের মধ্যে বেকারত্বের হার ৮ শতাংশের বেশি। তরুণ বেকারদের মধ্যে প্রায় ২৯ শতাংশ স্নাতক ডিগ্রিধারী।

জরিপে দেখা গেছে, প্রায় ৩৬ শতাংশ চাকরিপ্রত্যাশী আত্মীয়-স্বজন ও বন্ধুদের সহায়তায় চাকরি খুঁজেছেন। সংবাদপত্রের বিজ্ঞাপন দেখে আবেদন করেছেন ২৬ শতাংশ, আর সরাসরি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে গিয়ে চাকরি চেয়েছেন প্রায় ১২ শতাংশ চাকরিপ্রত্যাশী।

প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, দেশে বেকারত্ব প্রধানত তিন ধরনের— সামঞ্জস্যহীনতাজনিত বেকারত্ব: শ্রমবাজারে চাহিদা ও সরবরাহের ঘাটতি থেকে সৃষ্টি হয়। বাণিজ্য চক্রজনিত বেকারত্ব: অর্থনীতির উত্থান-পতন বা সংকটকালীন সময়ে বেকারত্ব বেড়ে যায়। কাঠামোগত বেকারত্ব: প্রযুক্তিগত পরিবর্তন ও নতুন দক্ষতার ঘাটতির কারণে ঘটে।

সর্বশেষ খবর পেতে অনুসরণ করুন- “প্রজন্ম কথা”