গৌরীপুরে ৫৫টি পূজা মণ্ডপে দুর্গোৎসবের প্রস্তুতি, সর্বত্র জোরদার নিরাপত্তা

- প্রকাশঃ ০৬:০৫:৫২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫
- / 38
৫৫টি পূজা মণ্ডপে সাজসজ্জা শেষ, প্রতিমা তৈরির কাজের সঙ্গে জোরদার নিরাপত্তা ব্যবস্থা | ছবি: প্রজন্ম কথা
ময়মনসিংহের গৌরীপুর উপজেলায় হিন্দু সম্প্রদায়ের সর্ববৃহৎ ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গোৎসবকে ঘিরে গ্রাম থেকে শহর পর্যন্ত সাজসজ্জার রঙে রঙিন হয়ে উঠেছে। উপজেলার ৫৫টি স্থায়ী ও অস্থায়ী পূজা মণ্ডপে পূজা উদযাপনের প্রস্তুতি প্রায় শেষ পর্যায়ে পৌঁছেছে। মৃৎশিল্পীরা দিন-রাত এক করে প্রতিমা তৈরির কাজ শেষ করে এখন রঙ তুলির ছোঁয়ায় প্রাণ সঞ্চারের অপেক্ষায়।
বাংলাদেশ পূজা উদযাপন ফ্রন্টের সভাপতি কমল সরকার জানান, ২১ সেপ্টেম্বর (রবিবার) মহালয়ার মধ্যমে পূজা অনুষ্ঠিত হবে। গত বছরের তুলনায় এবার গৌরীপুরে ৬টি পূজা মণ্ডপ বেড়েছে। পৌর এলাকায় ১৭টি পূজাসহ উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে মোট ৫৫টি পূজা অনুষ্ঠিত হবে। এর মধ্যে- মইলাকান্দা ইউনিয়ন: ৮টি, শ্যামগঞ্জ বাজার: ৭টি, ২নং গৌরীপুর: ৫টি, অনন্তপুর: ৫টি, মাওহায়: ২টি, সহনাটিতে: ১টি, বোকাইনগর: ৩টি, রামগোপালপুর: ২টি, ডৌহাখলা: ১০টি, ভাংনামুরি ও সিধলা: একটি করে।
পৌর এলাকার মাস্টারপাড়া, বাগানবাড়ী, কালিখলা, ষ্টেশন রোড, মধ্যবাজার, হরিজন পল্লী, বালুয়াঘাট ঋষিপাড়া, দুর্গাবাড়ি, কালীবাড়ি, পাছেরকান্দা, ঘোষপাড়া, কৃষ্ণপুর রাজবাড়ি, কচিকাঁচা পূজা মন্দিরসহ বিভিন্ন স্থানে পূজামণ্ডপগুলো সুন্দর প্যান্ডেল, তোরণ ও আলোকসজ্জায় সাজানো হচ্ছে।
৬০ বছর বয়সী মৃৎশিল্পী সুকেশ পাল জানান, তিনি পারিবারিক ঐতিহ্য ধরে ৩৬ বছর ধরে প্রতিমা তৈরির কাজ করছেন। তিনি সারাবছরই এই পেশায় যুক্ত থেকে জীবিকা নির্বাহ করেন।
কালীখলা বাজার কালীমন্দিরের সাধারণ সম্পাদক শংকর ঘোষ পিলু বলেন, “প্রশাসনসহ সবার সহযোগিতায় শান্তিপূর্ণ পরিবেশে পূজার প্রস্তুতি এগিয়ে চলছে।”
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আফিয়া আমিন পাপ্পা জানান, প্রতিটি পূজা মণ্ডপে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। ইতোমধ্যেই আইন-শৃঙ্খলা বিষয়ক বিশেষ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। প্রতিমা তৈরির সময় থেকে পূজা শেষ হওয়া পর্যন্ত নিরাপত্তার জন্য বিশেষ ভিজিল্যান্স টিম ও সিসি ক্যামেরা স্থাপন করা হয়েছে।
পৌর প্রশাসক ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) সুনন্দা সরকার প্রমা সভাপতিত্বে সম্প্রতি এক মতবিনিময় সভায় পূজা মণ্ডপের প্রতিনিধি, প্রশাসন ও আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
গৌরীপুর থানার অফিসার ইনচার্জ দিদারুল ইসলাম বলেন, পুলিশ টহল ইতোমধ্যেই শুরু হয়েছে। পূজা চলাকালীন প্রতিটি মণ্ডপে পুলিশ, সেনাবাহিনী, র্যাব ও গোয়েন্দা সংস্থার টহলসহ পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত করা হবে।
উল্লেখ্য, ২১ সেপ্টেম্বর মহালয়ার মধ্য দিয়ে দেবীপক্ষের সূচনা হবে। মূল পূজা শুরু হবে ২৮ সেপ্টেম্বর (ষষ্ঠী) থেকে এবং ২ অক্টোবর বিজয়া দশমীতে সমাপ্তি ঘটবে।