গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলার ৪৭ নৌযানের মধ্যে ৪০ ইসরায়েলি সেনাদের নিয়ন্ত্রণে

- প্রকাশঃ ০৪:০১:১৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২ অক্টোবর ২০২৫
- / 22
ফ্লোটিলার জাহাজ “ফ্লোরিডায়” ইসরায়েলি সেনা | ছবি: রয়টার্স
ফিলিস্তিনের গাজায় ত্রাণ নিয়ে যাওয়া আন্তর্জাতিক নৌবহর ‘গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলা’র বেশিরভাগ জাহাজ এখন ইসরায়েলি সেনাদের নিয়ন্ত্রণে। ইসরায়েলি সেনাদের দাবি, বহরে থাকা ৪৭টি নৌযানের মধ্যে ৪০টি দখলে নেওয়া হয়েছে। বাকি কয়েকটি জাহাজের পেছনে তাদের নৌবাহিনী ধাওয়া করছে। খবর টাইমস অব ইসরায়েল-এর।
গত রাত থেকে আন্তর্জাতিক সমুদ্রসীমায় অবস্থানরত ফ্লোটিলার জাহাজগুলোর ওপর অভিযান চালায় ইসরায়েলি নৌবাহিনী। রাতভর অভিযান শেষে বৃহস্পতিবার সকাল পর্যন্তও তা অব্যাহত ছিল। আটক হওয়া জাহাজগুলোর আরোহীদের আশদোদ বন্দরে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। সেখান থেকে তাঁদের নিজ নিজ দেশে ফেরত পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে।
ইসরায়েলি সেনাদের দাবি, আরও চারটি জাহাজ কারিগরি ত্রুটির কারণে সাগরে আটকে আছে। ওই জাহাজগুলোর মানবাধিকারকর্মীদেরও গ্রেপ্তারের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। বাকি তিন জাহাজও শিগগির নিয়ন্ত্রণে আসবে বলে জানানো হয়।
তবে ফ্লোটিলার অফিসিয়াল ট্র্যাকার ভিন্ন চিত্র দেখাচ্ছে। সেখানে বলা হয়েছে, বহরে শুরুতে ৪৪টি জাহাজ ছিল। এর মধ্যে ম্যারিনেট, মিকেনো, শিরিন ও সামারটাইম জং নামের চারটি জাহাজ এখনো গাজার দিকে অগ্রসর হচ্ছে। এর আগে মিকেনো নামের একটি জাহাজ গাজার আঞ্চলিক জলসীমায় প্রবেশ করেছে বলেও জানা যায়।
ইসরায়েলের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, “ফ্লোটিলার আরোহীরা নিরাপদ ও সুস্থ আছেন।” সেনাদের দাবি, কোনো নৌযান যাতে নজর এড়িয়ে গাজায় পৌঁছাতে না পারে, তা নিশ্চিত করতে পুরো অঞ্চল সার্বক্ষণিক রাডার পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে।
গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলা ৪৪টি দেশের প্রায় ৫০০ কর্মী নিয়ে গাজায় ত্রাণ পৌঁছে দেওয়ার এই প্রতীকী অভিযানে অংশ নেয়। বহরে রয়েছেন সংসদ সদস্য, আইনজীবী, মানবাধিকারকর্মী, চিকিৎসক, সাংবাদিকসহ সুইডিশ জলবায়ু আন্দোলনকর্মী গ্রেটা থুনবার্গ ও নেলসন ম্যান্ডেলার নাতি মান্ডলা ম্যান্ডেলা।