ঢাকা ০১:৫২ অপরাহ্ন, সোমবার, ২০ অক্টোবর ২০২৫, ৫ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

জ্ঞান নয়, সুশিক্ষাই গড়ে আদর্শ জাতি

আরাফাত বিন শাহ আলম
  • প্রকাশঃ ১২:৪০:১৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ৬ অক্টোবর ২০২৫
  • / 25

ছবি: এআই / প্রজন্ম কথা


জাতি গঠনের মূল ভিত্তি হলো শিক্ষা। ইতিহাসে এমন কোনো জাতি নেই যারা জ্ঞানের আলো ছাড়া উন্নতির শিখরে পৌঁছাতে পেরেছে। আর তাই বলা হয়—সুশিক্ষা কেবল ব্যক্তিজীবন নয়, জাতির ভাগ্যও বদলে দেয়।

রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম শিক্ষার মাধ্যমেই আরবের তৎকালীন বিভক্ত, অনগ্রসর ও যুদ্ধবিদ্ধস্ত সমাজকে ন্যায়, মানবতা ও নীতির পথে ফিরিয়ে এনেছিলেন। যেই জাতি ক্ষুদ্র ও তুচ্ছ কারণে রক্তপাত করত, সেই জাতিই সুশিক্ষার আলোয় আলোকিত হয়ে বিশ্বের অন্যতম সভ্য জাতিতে পরিণত হয়েছিল। এই ইতিহাসই প্রমাণ করে—শিক্ষা শুধু জ্ঞানার্জনের নয়, আত্মার পরিশুদ্ধি ও সমাজ পরিবর্তনের শক্তি।

কোনো জাতির পতনের কারণ অনুসন্ধান করলে দেখা যায়, সেখানে সুশিক্ষার অভাব প্রকট। শিক্ষা যখন কেবল পেশাগত দক্ষতার মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকে, নৈতিকতা ও মানবিকতা থেকে বিচ্ছিন্ন হয়, তখন সমাজে জন্ম নেয় অন্যায়, দুর্নীতি ও অবক্ষয়। পক্ষান্তরে, সুশিক্ষা যখন চরিত্র গঠনের উপকরণ হয়, তখনই জাতি এগিয়ে যায় আলোকিত ভবিষ্যতের পথে।

আজকের তরুণ প্রজন্মই আগামীর রাষ্ট্রনায়ক, নীতিনির্ধারক ও সমাজগঠনকারী। তাঁদের মধ্যে যদি সুশিক্ষা, নৈতিকতা ও দেশপ্রেমের বীজ রোপিত হয়, তবে জাতি হবে দক্ষ ও আদর্শ। কিন্তু যদি শিক্ষা শুধুই পরীক্ষার ফলাফলে সীমাবদ্ধ থাকে, তবে সেটি কেবল ডিগ্রিধারী বেকার তৈরি করবে, জাতি নয়।

অতএব, আমাদের এখনই শিক্ষার প্রকৃত উদ্দেশ্য অনুধাবন করতে হবে। শিক্ষা যেন কেবল তথ্য অর্জনের মাধ্যম না হয়ে, হয় মানুষের আত্মবিকাশ, চরিত্র গঠন ও মানবতার চর্চার ক্ষেত্র। কারণ, সুশিক্ষাই একমাত্র পথ যা মানুষকে মানুষ করে তোলে, আর মানুষই গড়ে তোলে আদর্শ জাতি।

সর্বশেষ খবর পেতে অনুসরণ করুন- “প্রজন্ম কথা”

শেয়ার করুন

জ্ঞান নয়, সুশিক্ষাই গড়ে আদর্শ জাতি

প্রকাশঃ ১২:৪০:১৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ৬ অক্টোবর ২০২৫

ছবি: এআই / প্রজন্ম কথা


জাতি গঠনের মূল ভিত্তি হলো শিক্ষা। ইতিহাসে এমন কোনো জাতি নেই যারা জ্ঞানের আলো ছাড়া উন্নতির শিখরে পৌঁছাতে পেরেছে। আর তাই বলা হয়—সুশিক্ষা কেবল ব্যক্তিজীবন নয়, জাতির ভাগ্যও বদলে দেয়।

রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম শিক্ষার মাধ্যমেই আরবের তৎকালীন বিভক্ত, অনগ্রসর ও যুদ্ধবিদ্ধস্ত সমাজকে ন্যায়, মানবতা ও নীতির পথে ফিরিয়ে এনেছিলেন। যেই জাতি ক্ষুদ্র ও তুচ্ছ কারণে রক্তপাত করত, সেই জাতিই সুশিক্ষার আলোয় আলোকিত হয়ে বিশ্বের অন্যতম সভ্য জাতিতে পরিণত হয়েছিল। এই ইতিহাসই প্রমাণ করে—শিক্ষা শুধু জ্ঞানার্জনের নয়, আত্মার পরিশুদ্ধি ও সমাজ পরিবর্তনের শক্তি।

কোনো জাতির পতনের কারণ অনুসন্ধান করলে দেখা যায়, সেখানে সুশিক্ষার অভাব প্রকট। শিক্ষা যখন কেবল পেশাগত দক্ষতার মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকে, নৈতিকতা ও মানবিকতা থেকে বিচ্ছিন্ন হয়, তখন সমাজে জন্ম নেয় অন্যায়, দুর্নীতি ও অবক্ষয়। পক্ষান্তরে, সুশিক্ষা যখন চরিত্র গঠনের উপকরণ হয়, তখনই জাতি এগিয়ে যায় আলোকিত ভবিষ্যতের পথে।

আজকের তরুণ প্রজন্মই আগামীর রাষ্ট্রনায়ক, নীতিনির্ধারক ও সমাজগঠনকারী। তাঁদের মধ্যে যদি সুশিক্ষা, নৈতিকতা ও দেশপ্রেমের বীজ রোপিত হয়, তবে জাতি হবে দক্ষ ও আদর্শ। কিন্তু যদি শিক্ষা শুধুই পরীক্ষার ফলাফলে সীমাবদ্ধ থাকে, তবে সেটি কেবল ডিগ্রিধারী বেকার তৈরি করবে, জাতি নয়।

অতএব, আমাদের এখনই শিক্ষার প্রকৃত উদ্দেশ্য অনুধাবন করতে হবে। শিক্ষা যেন কেবল তথ্য অর্জনের মাধ্যম না হয়ে, হয় মানুষের আত্মবিকাশ, চরিত্র গঠন ও মানবতার চর্চার ক্ষেত্র। কারণ, সুশিক্ষাই একমাত্র পথ যা মানুষকে মানুষ করে তোলে, আর মানুষই গড়ে তোলে আদর্শ জাতি।

সর্বশেষ খবর পেতে অনুসরণ করুন- “প্রজন্ম কথা”