রিপন মিয়ার ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে বিতর্কিত অনুসন্ধানী প্রতিবেদনে এটিএন নিউজের ভূমিকা

- প্রকাশঃ ০৫:৫৭:৩৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৪ অক্টোবর ২০২৫
- / 18
ছবি: সংগৃহীত
দেশের জনপ্রিয় কন্টেন্ট ক্রিয়েটর রিপন মিয়া, যাকে সবাই ‘রিপন ভিডিও’ নামে চেনে, সম্প্রতি পারিবারিক বিষয় নিয়ে বিতর্কের কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছেন। ছোট ছোট ভিডিও তৈরির কাজ শুরু করার পর তার জনপ্রিয়তা তুঙ্গে ওঠে, বিজ্ঞাপন, সিনেমার প্রচারণাসহ বিভিন্ন কাজে যুক্ত হয়েছেন তিনি।
তবে, সাম্প্রতিক একটি অনুসন্ধানী প্রতিবেদনে তার ব্যক্তিগত ও পারিবারিক জীবন একপাক্ষিকভাবে তুলে ধরা হয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, তিনি তার বাবা-মায়ের ভরণপোষণ দেন না এবং স্ত্রী-সন্তানকে স্বীকৃতি দিচ্ছেন না।
রিপনের মা এটিএন নিউজকে জানান, খুব কষ্ট করে মানুষ করছি। কিন্তু এখন পরিচয় দেয় না। আমরা গরিব। পরিচয় দিলে যদি ওর মান-সম্মান কমে। ও বাড়ি করেছে।
রিপনের মা অভিযোগ করেন, রিপন তার পরিবারকে প্রকাশ্যে পরিচয় দিতে লজ্জা পান। তিনি জানান, পুরনো ভাঙা বাড়ি ছেড়ে আলাদা পাকা বাড়ি নির্মাণ করে স্ত্রী ও সন্তান নিয়ে থাকেন রিপন।
রিপন মিয়া সম্প্রতি তার ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে দাবি করেছেন, সাংবাদিকরা অনুমতি ছাড়া তার পরিবারের সদস্যদের ভিডিও করেছেন। এছাড়া তিনি স্ত্রী-সন্তানের কথা অস্বীকার করেছেন এবং জানান, যাকে তার স্ত্রী বলা হচ্ছে, তিনি আসলে তার বড় ভাইয়ের স্ত্রী।
সম্প্রতি এটিএন নিউজে প্রচারিত প্রতিবেদনটি একপাক্ষিক ও অতিরঞ্জিতভাবে উপস্থাপিত হয়েছে। প্রতিবেদনে কোনো প্রমাণ বা আইনি অভিযোগ নেই যে রিপন তার পারিবারিক দায়িত্ব এড়াচ্ছেন। এটি মূলত একটি ব্যক্তিগত ও পারিবারিক বিষয়, যা যথাযথ প্রমাণ ও উভয় পক্ষের বক্তব্য ছাড়া প্রকাশ করা হয়েছে।
বিশ্লেষকরা মনে করছেন, এই ধরনের সাংবাদিকতা শুধু ব্যক্তিগত মর্যাদা ক্ষুণ্ণ করে না, বরং জনসাধারণের কাছে ভুল বার্তা পৌঁছে দেয় এবং সাংবাদিকতার উপর আস্থা কমিয়ে দেয়।
রিপনের সামাজিক ও ব্যক্তিগত মর্যাদা ক্ষুণ্ণ হওয়ায় তিনি আইনি অধিকার প্রয়োগ করতে পারেন। এতে মানহানির মামলা করা এবং মিডিয়া প্রতিষ্ঠানের কাছে জবাবদিহি দাবি করা অন্তর্ভুক্ত।