গাজীপুরে শিশু ধর্ষণের অভিযোগে জয় কুমার দাস ও লোকনাথ চন্দ্র দাস গ্রেপ্তার

- প্রকাশঃ ০১:২২:৪২ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৭ অক্টোবর ২০২৫
- / 15
প্রতীকি ছবি
কালিয়াকৈর উপজেলায় ১৩ বছর বয়সী কন্যাশিশুর ওপর যৌন নির্যাতনের অভিযোগে পুলিশ অভিযুক্ত জয় কুমার দাস ও লোকনাথ চন্দ্র দাসকে গ্রেপ্তার করেছে।
গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলায় ১৩ বছর বয়সী এক কন্যাশিশুর ওপর দীর্ঘ তিন দিনের যৌন নির্যাতনের ঘটনার মূল অভিযুক্ত জয় কুমার দাস ও লোকনাথ চন্দ্র দাসকে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে। মামলার অন্যান্য আসামি এখনও পলাতক।
ভিকটিম কিশোরীর নাম জানা গেছে আশা মনি। তার পরিবারের গ্রামের ঠিকানা কুড়িগ্রাম। তার মা-বাবা গাজীপুরের মৌচাকে গার্মেন্টসে চাকরির সুবাদে ভাড়া থাকতেন। পাশের ঘরে ভাড়া থাকতো হিন্দু সঞ্জিত বর্মনের পরিবার। সঞ্জিতের বাড়ি টাঙ্গাইলে। সঞ্জিতের শ্যালক লোকনাথ চন্দ্র দাস এবং তার ভাগিনা জয় কুমার দাস কিশোরীকে টার্গেট করে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, জয় কিশোরীকে লুডু খেলার নাম করে ঘরে নিয়ে যেত এবং চকলেট ইত্যাদি দিয়ে ঘনিষ্ঠতা গড়ে তুলত। অভিযোগ রয়েছে, সঞ্জিত ও তার স্ত্রীও এই ঘটনার বিষয়ে অবহিত ছিলেন। একপর্যায়ে তারা মেয়েটিকে অপহরণ করে লোকনাথের ভাড়া বাসায় নিয়ে গিয়ে তিন দিন ধরে নির্যাতন চালায়।
ভিকটিমের মা-বাবা মেয়েটিকে খুঁজে না পেয়ে কালিয়াকৈর থানায় জিডি করেন। এ ঘটনার দুই মাস পার হলেও বিভিন্ন হুমকির কারণে তারা মামলা করতে সাহস পাননি। পরে স্থানীয় আলেম মাওলানা আনিসুর রহমান পরিবারকে সহযোগিতা করার পর তারা মামলা দায়ের করেন।
কালিয়াকৈর থানার ওসি আব্দুল মান্নান জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে অভিযুক্তরা তাদের অপরাধ স্বীকার করেছে। পলাতক অন্য আসামিদের খুঁজে বের করার চেষ্টা চলছে।
ভিকটিম বর্তমানে গুরুতর অসুস্থ। স্থানীয়রা অভিযোগ করেছেন, এই ধরনের গুরুতর ঘটনা যথাযথভাবে মিডিয়ায় আলোচিত হয়নি। আজ যদি কোন হিন্দু মেয়ের সাথে এমন কিছু ঘটতো তাহলে এটি হতো জাতীয় ইস্যু।
মাওলানা আনিসুর রহমান বলেন হিন্দু ছেলের সাথে সম্পর্কের কারণে মেয়েটির প্রতি মনে মনে আমার রাগ থাকলেও কালিয়াকৈর থানায় মেয়েটিকে দেখে আমি অনেকটা আবেগ তাড়িত হয়ে যাই। মেয়েটি একেবারেই ছোট। দুনিয়ার বাস্তবতা বোঝার বয়স হয়নি। এইটুকু শরীরের উপর দিয়ে এতটাই জুলুম করা হয়েছে। ঘটনার দুমাস হয়ে গেলেও এখনো মেয়েটি গুরুতর অসুস্থ। আমাদের দেখে শোয়া থেকে উঠে বসতে গেলে একা একা বসতে পারছিল না।
পুলিশ নিশ্চিত করেছেন, মামলা তদন্তের মাধ্যমে আইনের সর্বোচ্চ ব্যবস্থার আওতায় অভিযুক্তদের শাস্তি নিশ্চিত করা হবে।