The Death of Empathy: যখন মানুষ মানুষকে ভুলে যায়

- প্রকাশঃ ০১:০৩:৩৮ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৯ অক্টোবর ২০২৫
- / 18
ছবি: এআই / প্রজন্ম কথা
আমরা এমন এক যুগে বেঁচে আছি, যেখানে সংযোগ বেড়েছে অগণিত, কিন্তু সম্পর্ক হারিয়ে গেছে নীরবে আর সেই নীরবতার মাঝেই নিঃশেষ হয়ে যাচ্ছে মানবতার উষ্ণতা।
একজন বাবা হৃদ্রোগে মারা যান।
কয়েক দিন পর, তাঁর শিশুটি বাবার নিথর দেহের পায়ের কাছে, ক্ষুধা আর পানিশূন্যতায় কাতর হয়ে, নিঃশব্দে প্রাণ হারায়।
কেউ জানল না। কেউ এল না।
এই গল্প শুধু এক পরিবারের করুণ পরিণতি নয় এটি আমাদের সময়ের এক নির্মম আয়না।
আমরা এখন ‘নিও-ফ্যামিলি’র যুগে বাস করি ছোট, কার্যকর, ব্যক্তিকেন্দ্রিক পরিবার। গোপনীয়তা এখন নতুন নীতি, আর উদাসীনতা এক নীরব মহামারি।
পরিবার পরিণত হয়েছে দ্বীপে আর সেই দ্বীপেই মানুষ এখন একা, নিঃসঙ্গ মৃত্যুবরণ করছে।
এটা কেবল সামাজিক পরিবর্তন নয়; এটা নৈতিক অবক্ষয়।
আমরা সমাজ নয়, যন্ত্র বানিয়েছি। সংযোগ আছে, কিন্তু সহানুভূতি নেই। তথ্য আছে, কিন্তু আন্তরিকতা হারিয়ে গেছে।
আমাদের চারপাশে যুদ্ধ আর মৃত্যু গাজা, ইয়েমেন, সুদান। কিন্তু মন কাঁপে না।
যে অনুভূতিহীনতা এক প্রতিবেশীর শিশুর মৃত্যু অদেখা রাখে, সেই একই অনুভূতিহীনতা রাষ্ট্রকে শিশুদের ওপর বোমা ফেলতেও দ্বিধাহীন করে তোলে।
যখন আমরা অনুভব করা বন্ধ করি, তখন ক্ষমতাবানরা ভয় পেতে বন্ধ করে।
‘নিও-ফ্যামিলি’ আমাদের স্বাধীনতা দিয়েছিল কিন্তু সহানুভূতি ছাড়া সেই স্বাধীনতা কেবল নিঃসঙ্গতা তৈরি করেছে। আর নিঃসঙ্গতা জন্ম দিয়েছে নিষ্ঠুরতার।
বাবা আর শিশুটি একা মারা যায়নি; তারা ছিল আমাদের বিচ্ছিন্নতার শিকার।
মানবিক থাকতে হলে আমাদের আবার শিখতে হবে কেবল নিজেদের জন্য নয়, অন্যদের জন্যও অনুভব করা, যত্ন নেওয়া।
কারণ, সহানুভূতি যখন মরে যায়, মানবতাও তার সঙ্গে নিঃশেষ হয়ে যায়।
হৃদ্রোগে মারা যাওয়া বাবা আর ক্ষুধায় মৃত্যুবরণ করা শিশুর গল্পটি কেবল একটি শোকগাথা নয় — এটি আমাদের আধুনিক সমাজে মানবিক সংযোগের ভাঙনের এক গভীর রূপক।
এটি প্রশ্ন তোলে—আমরা কি এখনো মানুষ, নাকি নিঃস্পন্দ যন্ত্রে পরিণত হয়েছি?