নাইজেরিয়ায় খ্রিস্টানদের ‘হত্যাযজ্ঞ’: ট্রাম্পের সামরিক হুমকি ও পেন্টাগনের প্রস্তুতি
- প্রকাশঃ ১০:০৮:০৫ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২ নভেম্বর ২০২৫
- / 15
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প নাইজেরিয়ায় (Nigeria) খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের ওপর চলন্ত সহিংসতার অভিযোগ তুলে প্রতিরক্ষা দফতর (Pentagon)কে সম্ভাব্য সামরিক পদক্ষেপের জন্য প্রস্তুত থাকার নির্দেশ দিয়েছেন। ট্রাম্প সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশিত এক দীর্ঘ পোস্টে অভিযোগ করেছেন যে নাইজেরিয়ায় “বৃহৎ হত্যাযজ্ঞ” চলছে এবং যুক্তরাষ্ট্র অবিলম্বে দেশটিকে প্রদত্ত সব ধরনের সাহায্য স্থগিত করে কঠোর পদক্ষেপ নিতে পারে।
ট্রাম্পের ভাষ্য ছিল—যদি যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক উদ্যোগ নেওয়া হয় তা হবে “দ্রুত, কঠোর এবং কার্যকর” — এবং তিনি দাবি করেছেন যে যুক্তরাষ্ট্র তাদের নাগরিকদের এবং “প্রিয় খ্রিস্টানদের” রক্ষা করবে। প্রতিরক্ষা মন্ত্রী পিট হেগসেথও সামাজিক মাধ্যমে ট্রাম্পের বক্তব্যের স্ক্রিনশট শেয়ার করে যুক্তি দিয়েছেন যে নিরীহ খ্রিস্টানদের হত্যা পৃথিবীর কোনো অংশেই মেনে নেওয়া হবে না এবং যুদ্ধ বিভাগ পরিস্থিতির জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে।
তবে নাইজেরিয়া সরকার বারবার এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছে। দেশীয় প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, উত্তরের প্রধানত মুসলিম অধ্যুষিত কয়েকটি এলাকায় যে সহিংসতা ঘটছে সেখানে নিহতদের মধ্যে অনেকেই মুসলিম সম্প্রদায়ের সদস্য। বিশ্লেষকরা বলছেন এই সহিংসতার পেছনে কেবল ধর্মীয় উগ্রবাদ নয়—জমি-জমার, কৃষক বনাম পশুপালক বিরোধ, জাতিগত সন্ত্রাস ও স্থানীয় সম্পদ-সংক্রান্ত দ্বন্দ্বগুলোও বড় ভূমিকা রাখে। ফলে ভুক্তভোগীদের সাম্প্রতিক হিসাব-নিকাশ করলে আশঙ্কা করা হচ্ছে কখনও কখনও মুসলিম সম্প্রদায়ই বেশি প্রভাবিত হচ্ছে।
স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে প্রকাশিত তথ্যের ভিত্তিতে বিশেষজ্ঞদের মন্তব্য থেকে স্পষ্ট যে নাইজেরিয়ার সহিংসতা একটি জটিল সামাজিক-অর্থনৈতিক ও নিরাপত্তাগত সমস্যা — যেখানে সশস্ত্র চক্র, সশস্ত্র গৃহযুদ্ধে জড়িত গোষ্ঠী এবং দক্ষতার অভাবে সরকারি সেবার ঘাটতি মিলিয়ে পরিস্থিতি তীব্র হয়েছে। এই প্রেক্ষাপটে একপক্ষীয় সামরিক হস্তক্ষেপের সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে আন্তর্জাতিক আইন, সার্বভৌমত্ব এবং সম্ভাব্য মানবিক প্রভাব বিবেচনা করা প্রয়োজন বলে বিশ্লেষকরা মনে করেন।
ট্রাম্পের এই ঘোষণাকে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে উদ্বেগের সঙ্গে দেখা হচ্ছে। অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা ও কূটনৈতিক সূত্রে প্রশ্ন তুলেছেন—যুক্তরাষ্ট্র কীভাবে, কোন মিশনে এবং কী পরিধিতে হস্তক্ষেপ করবে; এবং এমন কোনও পদক্ষেপের ফলে স্থানীয় নাগরিকদের ওপর নিরাপত্তা ঝুঁকি কতটা বেড়ে যাবে। একই সঙ্গে নাইজেরিয়ান কর্তৃপক্ষকে জাতীয় নিরাপত্তা বজায় রাখতে দ্রুত কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য চাপ সৃষ্টি হয়েছে।























