সুদানে ‘গণহত্যা’: বাঁচার আশায় মাইলের পর মাইল হাঁটছে মানুষ, নেই পানি-খাবার
- প্রকাশঃ ১২:৩৬:০৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ২ নভেম্বর ২০২৫
- / 10
যুদ্ধবিধ্বস্ত সুদানের এল-ফাশার শহর থেকে পালিয়ে আসা হাজার হাজার ক্ষুধার্ত ও তৃষ্ণার্ত মানুষ, যাদের একমাত্র ভরসা অজানা পথের দিকে এগিয়ে চলা । ছবি: সংগৃহীত
পশ্চিম দারফুরের এল-ফাশার শহরে আধাসামরিক বাহিনী র্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সেস (আরএসএফ)-এর আক্রমণের পর ‘গণহত্যা’র অভিযোগ উঠেছে, যার ফলে হাজার হাজার বেসামরিক মানুষ খাদ্য ও পানীয়ের তীব্র সংকটের মধ্যে নিরাপদ আশ্রয়ের সন্ধানে মাইলের পর মাইল পথ হাঁটতে বাধ্য হচ্ছে।
গণহত্যা ও বাস্তুচ্যুতি: সুদানের সামরিক বাহিনী এবং আরএসএফের মধ্যে ২০২৩ সালের এপ্রিল থেকে শুরু হওয়া গৃহযুদ্ধে পশ্চিম দারফুরের এল-ফাশার শহরে আরএসএফ-এর হামলার পর পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। সম্প্রতি শহরটি দখলের সময় আরএসএফের বিরুদ্ধে গণহত্যা চালানোর অভিযোগ উঠেছে, যেখানে কয়েক হাজার মানুষ নিহত হয়েছে বলে জানা গেছে।
খাদ্য ও পানির তীব্র সংকট: সহিংসতা থেকে বাঁচতে পালিয়ে আসা পরিবারগুলো খাদ্য ও পানীয় ছাড়াই দীর্ঘ পথ পাড়ি দিচ্ছে। ইউনিসেফ জানিয়েছে, বাস্তুচ্যুত নারী ও শিশুরা, যাদের অনেকেই অপুষ্টিতে ভুগছে, তারা এল-ফাশার ও তাওইলা শহরের মধ্যে প্রায় ৬০ কিলোমিটারেরও বেশি পথ হেঁটেছে। পথে তাদের মারধর করা হচ্ছে এবং দিনের পর দিন খাবার বা পানি ছাড়াই কাটাতে হচ্ছে।
বিশ্বের বৃহত্তম মানবিক সংকট: জাতিসংঘের পক্ষ থেকে সুদানের এই পরিস্থিতিকে বিশ্বের বৃহত্তম মানবিক সংকট হিসেবে অভিহিত করা হয়েছে। সংঘাতের ফলে এ পর্যন্ত প্রায় ১ কোটি ২০ লাখের বেশি মানুষ নিজেদের ঘরবাড়ি ছেড়ে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়েছে এবং দেড় লাখের বেশি মানুষ নিহত হয়েছে।
চিকিৎসা সরঞ্জামের অভাব: এল-ফাশারের হাসপাতালগুলোতে চিকিৎসা সরঞ্জামের চরম অভাব থাকায় বহু রোগী মারা যাচ্ছে বলে জানা গেছে।
ফ্যামিলি ও অপুষ্টি: সংঘাত ও মানবিক সহায়তায় বাধার কারণে দেশের অনেক অঞ্চলে, বিশেষ করে দারফুর এবং কর্দোফানে দুর্ভিক্ষ বা দুর্ভিক্ষের ঝুঁকি তৈরি হয়েছে। লক্ষ লক্ষ শিশু মারাত্মক অপুষ্টিতে ভুগছে, যার জরুরি চিকিৎসা না হলে হাজার হাজার শিশুর মৃত্যু হতে পারে।
আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় এই গণহত্যার ঝুঁকি নিয়ে সতর্ক করার পরও সেভাবে সাড়া না পাওয়ায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন সুদান বিশেষজ্ঞরা। দ্রুত যুদ্ধবিরতি এবং মানবিক সহায়তার জন্য অবাধ প্রবেশের অনুমতি দেওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে।























