ঢাকা ১১:৫৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ০৪ নভেম্বর ২০২৫, ২০ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বিশ্বের প্রথম দেশ হিসেবে ‘ধূমপানমুক্ত প্রজন্ম’ গড়ছে মালদ্বীপ

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশঃ ০৩:৩৮:৩৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩ নভেম্বর ২০২৫
  • / 5

বিশ্বে প্রথমবারের মতো প্রজন্মভিত্তিক ধূমপান নিষেধাজ্ঞা কার্যকর করেছে দক্ষিণ এশিয়ার দ্বীপদেশ মালদ্বীপ। নতুন আইনের আওতায়, ২০০৭ সালের ১ জানুয়ারি বা তার পর জন্ম নেওয়া কেউ ধূমপান, তামাক কেনা বা বিক্রি—কোনোটিই করতে পারবেন না।

শনিবার (১ নভেম্বর) থেকে কার্যকর হওয়া এই আইনকে দেশটির সরকার বলছে, “একটি তামাকমুক্ত প্রজন্ম গঠনের ঐতিহাসিক পদক্ষেপ।”

মালদ্বীপের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, এই নিষেধাজ্ঞা দেশটিকে বিশ্বের প্রথম রাষ্ট্র হিসেবে জাতীয় পর্যায়ে ‘প্রজন্মভিত্তিক তামাক নিষেধাজ্ঞা’ কার্যকরের মর্যাদা দিয়েছে। মন্ত্রণালয়ের ভাষায়, “এটি জনস্বাস্থ্য সুরক্ষা ও ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে নেশার অভিশাপ থেকে মুক্ত রাখার এক যুগান্তকারী সিদ্ধান্ত।”

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (WHO) তথ্য অনুযায়ী, প্রতি বছর ধূমপানের কারণে বিশ্বে ৭০ লাখেরও বেশি মানুষ মারা যায়। ২০২১ সালের এক জরিপে দেখা গেছে, মালদ্বীপে ১৫ থেকে ৬৯ বছর বয়সী প্রাপ্তবয়স্কদের এক-চতুর্থাংশের বেশি তামাক ব্যবহার করেন, আর ১৩ থেকে ১৫ বছর বয়সী কিশোর–কিশোরীদের মধ্যে তামাক ব্যবহারের হার প্রায় দ্বিগুণ।

তুলনামূলকভাবে, যুক্তরাষ্ট্রে ২০২২ সালে প্রায় ২০% প্রাপ্তবয়স্ক তামাক ব্যবহার করতেন, যুক্তরাজ্যে ২০২৩ সালে এ হার ছিল প্রায় ১২%।

তবে মালদ্বীপ একমাত্র দেশ নয়, যে এমন উদ্যোগ নিয়েছিল। ২০২২ সালে নিউজিল্যান্ডও একই ধরনের আইন পাস করেছিল, যাতে ২০০৯ সালের ১ জানুয়ারির পরে জন্ম নেওয়া কারও কাছে তামাক বিক্রি নিষিদ্ধ করার কথা ছিল। তবে নতুন সরকার কর রাজস্ব বাড়ানোর অজুহাতে ২০২4 সালে আইনটি বাতিল করে দেয়, যা নিয়ে বিশ্বজুড়ে জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মধ্যে ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে।

বিশেষজ্ঞদের মতে, মালদ্বীপের এই পদক্ষেপ কেবল ছোট একটি দ্বীপদেশের নীতিগত সাফল্য নয়, বরং এটি ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে নেশামুক্ত রাখার বৈশ্বিক উদাহরণ হয়ে থাকবে।

সর্বশেষ খবর পেতে অনুসরণ করুন- “প্রজন্ম কথা”

প্রাসঙ্গিক

শেয়ার করুন

বিশ্বের প্রথম দেশ হিসেবে ‘ধূমপানমুক্ত প্রজন্ম’ গড়ছে মালদ্বীপ

প্রকাশঃ ০৩:৩৮:৩৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩ নভেম্বর ২০২৫

বিশ্বে প্রথমবারের মতো প্রজন্মভিত্তিক ধূমপান নিষেধাজ্ঞা কার্যকর করেছে দক্ষিণ এশিয়ার দ্বীপদেশ মালদ্বীপ। নতুন আইনের আওতায়, ২০০৭ সালের ১ জানুয়ারি বা তার পর জন্ম নেওয়া কেউ ধূমপান, তামাক কেনা বা বিক্রি—কোনোটিই করতে পারবেন না।

শনিবার (১ নভেম্বর) থেকে কার্যকর হওয়া এই আইনকে দেশটির সরকার বলছে, “একটি তামাকমুক্ত প্রজন্ম গঠনের ঐতিহাসিক পদক্ষেপ।”

মালদ্বীপের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, এই নিষেধাজ্ঞা দেশটিকে বিশ্বের প্রথম রাষ্ট্র হিসেবে জাতীয় পর্যায়ে ‘প্রজন্মভিত্তিক তামাক নিষেধাজ্ঞা’ কার্যকরের মর্যাদা দিয়েছে। মন্ত্রণালয়ের ভাষায়, “এটি জনস্বাস্থ্য সুরক্ষা ও ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে নেশার অভিশাপ থেকে মুক্ত রাখার এক যুগান্তকারী সিদ্ধান্ত।”

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (WHO) তথ্য অনুযায়ী, প্রতি বছর ধূমপানের কারণে বিশ্বে ৭০ লাখেরও বেশি মানুষ মারা যায়। ২০২১ সালের এক জরিপে দেখা গেছে, মালদ্বীপে ১৫ থেকে ৬৯ বছর বয়সী প্রাপ্তবয়স্কদের এক-চতুর্থাংশের বেশি তামাক ব্যবহার করেন, আর ১৩ থেকে ১৫ বছর বয়সী কিশোর–কিশোরীদের মধ্যে তামাক ব্যবহারের হার প্রায় দ্বিগুণ।

তুলনামূলকভাবে, যুক্তরাষ্ট্রে ২০২২ সালে প্রায় ২০% প্রাপ্তবয়স্ক তামাক ব্যবহার করতেন, যুক্তরাজ্যে ২০২৩ সালে এ হার ছিল প্রায় ১২%।

তবে মালদ্বীপ একমাত্র দেশ নয়, যে এমন উদ্যোগ নিয়েছিল। ২০২২ সালে নিউজিল্যান্ডও একই ধরনের আইন পাস করেছিল, যাতে ২০০৯ সালের ১ জানুয়ারির পরে জন্ম নেওয়া কারও কাছে তামাক বিক্রি নিষিদ্ধ করার কথা ছিল। তবে নতুন সরকার কর রাজস্ব বাড়ানোর অজুহাতে ২০২4 সালে আইনটি বাতিল করে দেয়, যা নিয়ে বিশ্বজুড়ে জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মধ্যে ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে।

বিশেষজ্ঞদের মতে, মালদ্বীপের এই পদক্ষেপ কেবল ছোট একটি দ্বীপদেশের নীতিগত সাফল্য নয়, বরং এটি ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে নেশামুক্ত রাখার বৈশ্বিক উদাহরণ হয়ে থাকবে।

সর্বশেষ খবর পেতে অনুসরণ করুন- “প্রজন্ম কথা”