ঢাকা ১০:৫৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ০৪ নভেম্বর ২০২৫, ২০ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সুনামগঞ্জে ব্র্যাক ব্যাংকের কর্মকর্তার উপর হামলা, ভল্টের চাবি ছিনতাই

তুর্য দাস। সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি
  • প্রকাশঃ ০৯:০৯:০৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৪ নভেম্বর ২০২৫
  • / 4

সুনামগঞ্জ শহরের স্টেশন রোডে অবস্থিত ব্র্যাক ব্যাংকের প্রধান শাখায় হামলার ঘটনার পর কার্যক্রম স্থগিত থাকে তিন ঘণ্টারও বেশি সময়। পরে বিকল্প ভল্টের চাবি এনে পুনরায় লেনদেন চালু করা হয়।  ছবি: প্রজন্ম কথা


সুনামগঞ্জে ব্র্যাক ব্যাংকের ক্যাশ ইনচার্জের ওপর হামলা চালিয়ে ভল্টের চাবি ও নগদ টাকা ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটেছে। এতে তিন ঘণ্টারও বেশি সময় ব্যাংকের কার্যক্রম বন্ধ ছিল।

সোমবার সকালে শহরের স্টেশন রোডের নেজা প্লাজার নিচে ব্র্যাক ব্যাংকের ক্যাশ ইনচার্জ মো. বেলায়েত হোসেনের ওপর এ হামলা হয়। হামলাকারীরা তাঁর কাছ থেকে ৮২ হাজার টাকা, মোবাইল ফোন ও ব্যাংকের ভল্টের চাবি ছিনিয়ে নেয় বলে ব্যাংক কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে। এ ঘটনায় সকাল ১০টা থেকে দুপুর দেড়টা পর্যন্ত ব্যাংকের কার্যক্রম বন্ধ থাকে। পরে সোনালী ব্যাংক থেকে বিকল্প ভল্টের চাবি এনে লেনদেন পুনরায় চালু করা হয়।

ব্যাংক কর্মকর্তারা জানান, রবিবার বিকেলে গ্রাহক ওমরগণি তাঁর স্ত্রী ফারজানা আলীর হিসাবে ৮০ হাজার টাকা জমা দিতে ব্যাংকে আসেন। তিনি লাইনে না দাঁড়িয়ে সরাসরি কাউন্টারে টাকা জমা দিতে গেলে ক্যাশ ইনচার্জ বেলায়েত হোসেন তাঁকে নিয়ম মেনে চলতে বলেন। এ সময় উভয়ের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। পরে ব্যাংকের ম্যানেজার শহীদুল ইসলাম পরিস্থিতি সামাল দেন।

পরদিন সোমবার সকালে ব্যাংকে আসার সময় ওমরগণি ও তাঁর সহযোগীরা বেলায়েত হোসেনের ওপর হামলা চালান। তাঁকে ছুরিকাঘাত করে গুরুতর আহত অবস্থায় ফেলে রেখে নগদ অর্থ, মোবাইল ও চাবি নিয়ে পালিয়ে যান হামলাকারীরা। পরে স্থানীয়রা উদ্ধার করে বেলায়েত হোসেনকে সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন।

ব্র্যাক ব্যাংকের ম্যানেজার শহীদুল ইসলাম সোহাগ বলেন, ঘটনার পর আমরা সোনালী ব্যাংক থেকে বিকল্প ভল্ট চাবি এনে লেনদেন চালু করেছি। হামলাকারীদের বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।

অভিযুক্ত ওমরগণি অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, “আমি কেবল ক্রেডিট কার্ডের বিল জমা দিতে গিয়েছিলাম। ব্যাংকের ভেতরে স্বজনপ্রীতি দেখে প্রতিবাদ করায় ক্যাশিয়ার অসৌজন্যমূলক আচরণ করেন। পরে ব্যবস্থাপক বিষয়টি মিটমাট করে দেন। সোমবার সকালে বেলায়েত হোসেনের সঙ্গে কথাকাটাকাটির পর হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। ব্যাংকের সিসি ক্যামেরার ফুটেজই সত্য প্রমাণ করবে।”

আহত কর্মকর্তার ভাই অ্যাডভোকেট কামাল হোসেন জানান, হামলার সঙ্গে জড়িত ওমরগণি, শিমুল ও জনিসহ কয়েকজনের বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।

সুনামগঞ্জ সদর থানার ওসি আবুল কালাম বলেন, ঘটনার খবর পেয়ে পুলিশ ব্যাংকে গেছে। ব্যাংক কর্তৃপক্ষ লিখিত অভিযোগ দিলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সর্বশেষ খবর পেতে অনুসরণ করুন- “প্রজন্ম কথা”

শেয়ার করুন

সুনামগঞ্জে ব্র্যাক ব্যাংকের কর্মকর্তার উপর হামলা, ভল্টের চাবি ছিনতাই

প্রকাশঃ ০৯:০৯:০৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৪ নভেম্বর ২০২৫

সুনামগঞ্জ শহরের স্টেশন রোডে অবস্থিত ব্র্যাক ব্যাংকের প্রধান শাখায় হামলার ঘটনার পর কার্যক্রম স্থগিত থাকে তিন ঘণ্টারও বেশি সময়। পরে বিকল্প ভল্টের চাবি এনে পুনরায় লেনদেন চালু করা হয়।  ছবি: প্রজন্ম কথা


সুনামগঞ্জে ব্র্যাক ব্যাংকের ক্যাশ ইনচার্জের ওপর হামলা চালিয়ে ভল্টের চাবি ও নগদ টাকা ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটেছে। এতে তিন ঘণ্টারও বেশি সময় ব্যাংকের কার্যক্রম বন্ধ ছিল।

সোমবার সকালে শহরের স্টেশন রোডের নেজা প্লাজার নিচে ব্র্যাক ব্যাংকের ক্যাশ ইনচার্জ মো. বেলায়েত হোসেনের ওপর এ হামলা হয়। হামলাকারীরা তাঁর কাছ থেকে ৮২ হাজার টাকা, মোবাইল ফোন ও ব্যাংকের ভল্টের চাবি ছিনিয়ে নেয় বলে ব্যাংক কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে। এ ঘটনায় সকাল ১০টা থেকে দুপুর দেড়টা পর্যন্ত ব্যাংকের কার্যক্রম বন্ধ থাকে। পরে সোনালী ব্যাংক থেকে বিকল্প ভল্টের চাবি এনে লেনদেন পুনরায় চালু করা হয়।

ব্যাংক কর্মকর্তারা জানান, রবিবার বিকেলে গ্রাহক ওমরগণি তাঁর স্ত্রী ফারজানা আলীর হিসাবে ৮০ হাজার টাকা জমা দিতে ব্যাংকে আসেন। তিনি লাইনে না দাঁড়িয়ে সরাসরি কাউন্টারে টাকা জমা দিতে গেলে ক্যাশ ইনচার্জ বেলায়েত হোসেন তাঁকে নিয়ম মেনে চলতে বলেন। এ সময় উভয়ের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। পরে ব্যাংকের ম্যানেজার শহীদুল ইসলাম পরিস্থিতি সামাল দেন।

পরদিন সোমবার সকালে ব্যাংকে আসার সময় ওমরগণি ও তাঁর সহযোগীরা বেলায়েত হোসেনের ওপর হামলা চালান। তাঁকে ছুরিকাঘাত করে গুরুতর আহত অবস্থায় ফেলে রেখে নগদ অর্থ, মোবাইল ও চাবি নিয়ে পালিয়ে যান হামলাকারীরা। পরে স্থানীয়রা উদ্ধার করে বেলায়েত হোসেনকে সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন।

ব্র্যাক ব্যাংকের ম্যানেজার শহীদুল ইসলাম সোহাগ বলেন, ঘটনার পর আমরা সোনালী ব্যাংক থেকে বিকল্প ভল্ট চাবি এনে লেনদেন চালু করেছি। হামলাকারীদের বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।

অভিযুক্ত ওমরগণি অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, “আমি কেবল ক্রেডিট কার্ডের বিল জমা দিতে গিয়েছিলাম। ব্যাংকের ভেতরে স্বজনপ্রীতি দেখে প্রতিবাদ করায় ক্যাশিয়ার অসৌজন্যমূলক আচরণ করেন। পরে ব্যবস্থাপক বিষয়টি মিটমাট করে দেন। সোমবার সকালে বেলায়েত হোসেনের সঙ্গে কথাকাটাকাটির পর হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। ব্যাংকের সিসি ক্যামেরার ফুটেজই সত্য প্রমাণ করবে।”

আহত কর্মকর্তার ভাই অ্যাডভোকেট কামাল হোসেন জানান, হামলার সঙ্গে জড়িত ওমরগণি, শিমুল ও জনিসহ কয়েকজনের বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।

সুনামগঞ্জ সদর থানার ওসি আবুল কালাম বলেন, ঘটনার খবর পেয়ে পুলিশ ব্যাংকে গেছে। ব্যাংক কর্তৃপক্ষ লিখিত অভিযোগ দিলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সর্বশেষ খবর পেতে অনুসরণ করুন- “প্রজন্ম কথা”