ছাত্র আন্দোলনের মুখে UIU-র ভিসি পদত্যাগ, ডিন ও বিভাগীয় প্রধানদের সম্মিলিত পদত্যাগ

- প্রকাশঃ ০৩:৫৫:০২ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৫
- / 28
ঢাকা, ২৬ এপ্রিল ২০২৫, ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি (UIU)-তে চলমান ছাত্র আন্দোলনের মুখে শেষ পর্যন্ত পদত্যাগের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. আবুল কাশেম মিয়া।
পাশাপাশি, আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ‘অযৌক্তিক দাবি’র বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল ডিন, বিভাগীয় প্রধান ও পরিচালকগণ প্রশাসনিক পদ থেকে একযোগে পদত্যাগ করেছেন।
গত কয়েকদিন ধরে UIU-তে শিক্ষার্থীরা লাগাতার আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছিলেন। CSE বিভাগের এক শিক্ষার্থীর পিতার মৃত্যুজনিত ছুটি থাকা সত্ত্বেও পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে না দেওয়া এবং প্রশাসনের বিভিন্ন সিদ্ধান্ত নিয়ে ক্ষোভের সূত্র ধরেই শিক্ষার্থীরা “নুরুল হুদা ও অবৈধ ভিসির পদত্যাগ” দাবিতে আন্দোলনে নামে।
বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ প্রথমে WiFi সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে শিক্ষার্থীদের দমনের চেষ্টা করলেও, আন্দোলনকারীদের শান্তিপূর্ণ ও নিরলস চাপের মুখে অধ্যাপক কাশেম মিয়া পদত্যাগের সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হন।
বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়—
The Honorable Vice Chancellor of UIU has decided to resign. In protest against the undue demands of protesting students, all Deans, Heads, and Directors have jointly resigned from their administrative positions.

শিক্ষার্থীদের দাবি আদায়ে এ ঘটনাকে ‘প্রথম বিজয়’ হিসেবে দেখলেও, প্রশাসনিক শূন্যতা তৈরি হওয়ায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভবিষ্যৎ প্রশাসনিক কাঠামো কিভাবে পুনর্গঠিত হবে, তা নিয়ে এখন আলোচনা শুরু হয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ দ্রুত নতুন প্রশাসনিক কমিটি গঠন ও শিক্ষার্থীদের বৈধ দাবিগুলো বাস্তবায়নের বিষয়ে আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেবেন বলে আশা করা হচ্ছে।
UIU-তে দীর্ঘদিন ধরে প্রশাসনিক স্বেচ্ছাচারিতা, পরীক্ষায় অতিরিক্ত ব্যর্থতার হার, ছাত্রস্বার্থবিরোধী নীতিমালা এবং রাজনৈতিক প্রভাব বিস্তারের অভিযোগ উঠে আসছিল। বিশেষ করে অধ্যাপক ড. আবুল কাশেম মিয়ার নিয়োগকে কেন্দ্র করে শিক্ষার্থীদের মধ্যে ব্যাপক অসন্তোষ জন্ম নেয়।
এর আগে ‘UIU Reform 1.0’ আন্দোলনেও শিক্ষার্থীরা নানান দাবি উত্থাপন করেছিলেন, যা কর্তৃপক্ষ আংশিকভাবে মেনে নেয়। তবে সাম্প্রতিক ঘটনাপ্রবাহের পরিপ্রেক্ষিতে ছাত্র আন্দোলন আরও বিস্তৃত আকার ধারণ করে।
আজকের দিনটি UIU শিক্ষার্থীদের ঐক্যের ফল। আমরা ন্যায্য দাবি আদায়ে কখনোই পিছপা হব না। প্রশাসনিক পরিবর্তন আমাদের একমাত্র উদ্দেশ্য নয়, আমরা চাই একটি ন্যায়ভিত্তিক ও শিক্ষার্থীবান্ধব পরিবেশ।
আমরা প্রশাসনিক পদত্যাগকে স্বাগত জানাই, তবে বিশ্ববিদ্যালয়ের গভর্ন্যান্সের স্থায়ী পরিবর্তন না আসা পর্যন্ত আমাদের আন্দোলন চলবে।