ঢাকা ১১:৩৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ০৫ অগাস্ট ২০২৫, ২১ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

UIU আন্দোলনে প্রশাসনিক নজিরবিহীন পদত্যাগ, সংকটের মুখে UIU শিক্ষার্থীরা

  • প্রকাশঃ ০৬:৩৫:১৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৫
  • / 15

 

ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি (UIU)-তে চলমান আন্দোলনের সূত্রপাত শিক্ষার্থীদের একগুচ্ছ ন্যায্য দাবিকে কেন্দ্র করে।

ভিসির পদত্যাগের পরপরই বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল বিভাগীয় ডিন, বিভাগীয় প্রধান (হেড), প্রশাসনিক পরিচালকসহ অধিকাংশ প্রশাসনিক কর্মকর্তারা সম্মিলিতভাবে পদত্যাগপত্র জমা দেন। শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, প্রশাসনের এই গণপদত্যাগ পরিকল্পিত এবং উদ্দেশ্যপ্রণোদিত, যাতে শিক্ষা কার্যক্রম অচল করে শিক্ষার্থীদের দাবিকে দুর্বল করা যায়। বর্তমানে কিছু শিক্ষক ক্যাম্পাসেই আটকা পড়েছেন এবং শিক্ষার্থীরা দাবির পক্ষে অবস্থান নিয়ে পদত্যাগপত্র বাতিলের দাবি জানাচ্ছেন।

শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে আলোচনার অংশ হিসেবে দাবির আওতামুক্ত থাকা বাকি শিক্ষকদের সম্মানের সাথে হিউম্যান চেইনের মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা চলে যাওয়ার অনুরোধ করেছেন।

আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা বলছেন, তারা ভিসি ও একজন শিক্ষক বাদে বাকিদের পদত্যাগপত্র বাতিল দেখতে চান। তাদের মতে, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন শিক্ষার্থীদের ন্যায্য দাবি মেনে নেওয়ার পরিবর্তে চাপ সৃষ্টি ও জিম্মি করার অপকৌশলে লিপ্ত হয়েছে। শিক্ষার্থীরা আরো জানান, প্রশাসনের এই অবস্থান চলমান আন্দোলনকে আরও জটিল করে তুলেছে এবং তারা নিজেদের ন্যায্য অধিকার আদায়ের জন্য শান্তিপূর্ণভাবে দৃঢ় থাকবে।

অন্যদিকে, পদত্যাগপত্র জমাদানকারী শিক্ষক ও প্রশাসনিক কর্মকর্তারা দাবি করছেন, শিক্ষার্থীদের ‘অযৌক্তিক’ চাপে তাঁরা কাজ চালিয়ে যেতে অপারগ হয়েছেন। শিক্ষকদের অনেকেই অনিশ্চয়তার মধ্যে রয়েছেন এবং প্রশাসনিক সংকট আরো গভীর হওয়ার আশঙ্কা করছেন।

 

শেয়ার করুন

UIU আন্দোলনে প্রশাসনিক নজিরবিহীন পদত্যাগ, সংকটের মুখে UIU শিক্ষার্থীরা

প্রকাশঃ ০৬:৩৫:১৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৫

 

ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি (UIU)-তে চলমান আন্দোলনের সূত্রপাত শিক্ষার্থীদের একগুচ্ছ ন্যায্য দাবিকে কেন্দ্র করে।

ভিসির পদত্যাগের পরপরই বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল বিভাগীয় ডিন, বিভাগীয় প্রধান (হেড), প্রশাসনিক পরিচালকসহ অধিকাংশ প্রশাসনিক কর্মকর্তারা সম্মিলিতভাবে পদত্যাগপত্র জমা দেন। শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, প্রশাসনের এই গণপদত্যাগ পরিকল্পিত এবং উদ্দেশ্যপ্রণোদিত, যাতে শিক্ষা কার্যক্রম অচল করে শিক্ষার্থীদের দাবিকে দুর্বল করা যায়। বর্তমানে কিছু শিক্ষক ক্যাম্পাসেই আটকা পড়েছেন এবং শিক্ষার্থীরা দাবির পক্ষে অবস্থান নিয়ে পদত্যাগপত্র বাতিলের দাবি জানাচ্ছেন।

শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে আলোচনার অংশ হিসেবে দাবির আওতামুক্ত থাকা বাকি শিক্ষকদের সম্মানের সাথে হিউম্যান চেইনের মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা চলে যাওয়ার অনুরোধ করেছেন।

আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা বলছেন, তারা ভিসি ও একজন শিক্ষক বাদে বাকিদের পদত্যাগপত্র বাতিল দেখতে চান। তাদের মতে, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন শিক্ষার্থীদের ন্যায্য দাবি মেনে নেওয়ার পরিবর্তে চাপ সৃষ্টি ও জিম্মি করার অপকৌশলে লিপ্ত হয়েছে। শিক্ষার্থীরা আরো জানান, প্রশাসনের এই অবস্থান চলমান আন্দোলনকে আরও জটিল করে তুলেছে এবং তারা নিজেদের ন্যায্য অধিকার আদায়ের জন্য শান্তিপূর্ণভাবে দৃঢ় থাকবে।

অন্যদিকে, পদত্যাগপত্র জমাদানকারী শিক্ষক ও প্রশাসনিক কর্মকর্তারা দাবি করছেন, শিক্ষার্থীদের ‘অযৌক্তিক’ চাপে তাঁরা কাজ চালিয়ে যেতে অপারগ হয়েছেন। শিক্ষকদের অনেকেই অনিশ্চয়তার মধ্যে রয়েছেন এবং প্রশাসনিক সংকট আরো গভীর হওয়ার আশঙ্কা করছেন।