ছাত্রদল নেতা রাতুল ইসলামের বিরুদ্ধে মামলা বাণিজ্যের অভিযোগ

- প্রকাশঃ ১১:২৩:০৮ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১১ মে ২০২৫
- / 15
আগৈলঝাড়া উপজেলা ছাত্রদলের সদস্য সচিব পদ পাওয়ার পর থেকেই স্থানীয় রাজনীতিতে নানা অনিয়মে জড়িয়ে পড়েছেন ছাত্রদল নেতা রাতুল ইসলাম শাহেদ এমন অভিযোগ উঠেছে দলের অভ্যন্তর থেকেই। তাকে ঘিরে বর্তমানে এলাকায় চাঁদাবাজি, মামলা বাণিজ্য ও ভয়ের রাজত্ব কায়েম করার অভিযোগ করছেন ভুক্তভোগীরা।
বিশেষ করে গত ১৮ এপ্রিল বৃহস্পতিবার, বালুর টেন্ডার সংক্রান্ত কাজে জোরপূর্বক ১ লাখ ১৩ হাজার টাকা আদায়ের অভিযোগ উঠে রাতুল ইসলাম শাহেদ ও তার সহযোগী এসেন্ট রায়ের বিরুদ্ধে। ঘটনার সময় উপস্থিত ছিলেন বালুর ঠিকাদার এবং আগৈলঝাড়া উপজেলা ছাত্রদলের সদস্য মাইনুল ইসলাম এবং বাগধা ইউনিয়ন বিএনপির সদস্য সচিব পিন্টু হাওলাদার। তারা রাতুলের চাঁদাবাজির বিষয়টি সরেজমিনে প্রত্যক্ষ করেন বলে জানিয়েছেন।
বিষয়টি নিয়ে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও শাহেদের সঙ্গে কথা বলা সম্ভব হয়নি। পরে মাইনুল ইসলাম ফোনে যোগাযোগ করলে শাহেদ দাবি করেন, তিনি এই ঘটনার সাথে জড়িত নন। এরপর থেকেই তার মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।
শুধু তাই নয়, স্থানীয় দোকানদার ও অটোচালকদের কাছ থেকেও নিয়মিত চাঁদা আদায়ের অভিযোগ উঠেছে তার বিরুদ্ধে। মানিক আকন নামের এক অটোচালক জানান, রমজান মাসে থানার সামনে তাকে থামিয়ে শাহেদ বলেন, “তুই ছাত্রলীগের সভাপতি মিন্টু সেরনিয়াবাতের গাড়ি চালাস—এখানে ছাত্রলীগের গাড়ি চলবে না।” এরপর তার কাছ থেকে জোরপূর্বক ২৭ হাজার টাকা আদায় করা হয়। কান্নাকাটি করে অনুরোধ করলে মাত্র ২ হাজার টাকা ফেরত দিয়ে বাকি টাকা রেখে দেন শাহেদ। পরে মানিককে ভয়ভীতি দেখিয়ে ঘটনা ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টাও করা হয় বলে অভিযোগ।
এছাড়া, ১৭ এপ্রিল স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক হাসান হাওলাদার কর্তৃক পরিচালিত একটি ভেকুর কাজ বন্ধ করে দিয়ে প্রতি আধাঘণ্টায় একশ টাকা করে চাঁদা আদায় করেন বলেও অভিযোগ রয়েছে।
স্থানীয়রা জানান, শাহেদ কখনো নিজেকে আওয়ামী লীগের লোক হিসেবে পরিচয় দিয়ে রাজনৈতিক মামলায় জড়ানোর হুমকি দেন, আবার পরে মোটা অঙ্কের টাকা নিয়ে সেই মামলায় ছাড়িয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেন এভাবেই তিনি সাধারণ মানুষকে দ্বিমুখী চাপে ফেলে টাকা আদায় করছেন।
এ প্রসঙ্গে ভুক্তভোগী মানিক আকন বলেন, আমরা সাধারণ মানুষ, কাজ করে সংসার চালাই। এই টাকা সে কোন অধিকারে নেয়? আমি এর বিচার চাই।
উল্লেখ্য, এসব অভিযোগের বিষয়ে এখনো পর্যন্ত ছাত্রদলের জেলা বা কেন্দ্রীয় পর্যায়ের পক্ষ থেকে কোনো আনুষ্ঠানিক বক্তব্য পাওয়া যায়নি।