ঢাকা ০৪:০৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ১০ অগাস্ট ২০২৫, ২৬ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

অভিযানে ব্যাটারিচালিত রিকশা ভাঙার ঘটনায় ক্ষতিপূরণ দেবে ডিএনসিসি

  • প্রকাশঃ ০৭:০৯:৪১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৩ মে ২০২৫
  • / 13

রাজধানীর আসাদগেটে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের (ডিএনসিসি) যৌথ অভিযানে মূল সড়কে চলাচলকারী অবৈধ ব্যাটারিচালিত রিকশার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। অভিযানে প্রায় ৩০টি ব্যাটারিচালিত রিকশা জব্দ করা হয় এবং তিনটি রিকশা ধ্বংস করা হয়। রিকশা ভাঙার দৃশ্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হওয়ার পর ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনার সৃষ্টি হয়।

এই প্রসঙ্গে ডিএনসিসির প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজ তার ভেরিফায়েড ফেসবুক আইডিতে মঙ্গলবার (১৪ মে) রাত ১১টা ১১ মিনিটে দেওয়া এক পোস্টে জানান, ধ্বংস হওয়া তিনটি রিকশার মালিকদের ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে। তিনি লেখেন, “আজকে যে তিনজনের রিকশা ভাঙা হয়েছে তাদেরকে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হচ্ছে। মেইন রোডে না আসার জন্য তিনটি রিকশা ভাঙা হয়েছিল। আমরা পরিবারগুলোকে আয়ের বিকল্প ব্যবস্থা করার জন্যও উদ্যোগ নিচ্ছি।”

এর আগে, মঙ্গলবার (১৩ মে) রাজধানীর আসাদগেট এলাকায় যৌথ অভিযান চালিয়ে অবৈধ ব্যাটারিচালিত রিকশাগুলোর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয় ডিএমপি ডিএনসিসি। ডিএনসিসির প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজ অভিযানে সরাসরি উপস্থিত থেকে বলেন, “মূলসড়কে রিকশা চলাচলের অনুমতি নেই। এগুলোর কারণে সড়কে বিশৃঙ্খলা এবং দুর্ঘটনার ঝুঁকি বেড়ে যাচ্ছে। এক সমীক্ষায় দেখা গেছে, মোট দুর্ঘটনার প্রায় ২০ শতাংশই ব্যাটারিচালিত রিকশার কারণে ঘটে, যার ভুক্তভোগীর বড় অংশ নারী শিশু।”

তিনি আরও জানান, অবৈধ রিকশার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা হিসেবে ডেসকোর সহায়তায় এসব রিকশার চার্জিং পয়েন্ট উৎপাদনকারী ওয়ার্কশপগুলো বন্ধ করা হবে। পাশাপাশি নিরাপদ বৈধ ব্যাটারিচালিত রিকশার জন্য সরকার ইতোমধ্যে বুয়েটের সহায়তায় একটি নকশা অনুমোদন করেছে, যার ভিত্তিতে কয়েকটি কোম্পানিকে রিকশা তৈরির অনুমতি দেওয়া হয়েছে।

ডিএনসিসি প্রশাসক আরও বলেন, “এই মাসেই রিকশাচালকদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হবে। প্রশিক্ষণ শেষে যারা উত্তীর্ণ হবেন, তারা বৈধ লাইসেন্স পাবেন এবং নির্ধারিত এলাকায় অনুমোদিত রিকশা চালাতে পারবেন। এক এলাকার বৈধ রিকশা অন্য এলাকায় চলাচল করতে পারবে না। নির্ধারিত থাকবে যাত্রীভাড়া। একজনের নামে কেবল একটি রিকশা লাইসেন্স ইস্যু করা হবে, রিকশাবাণিজ্য বন্ধে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া হবে।”

সড়কে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে এবং দুর্ঘটনা কমাতে সরকারের এই উদ্যোগকে ইতিবাচকভাবে দেখছেন সংশ্লিষ্টরা। তবে মানবিক দিক বিবেচনায় ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য দ্রুত কার্যকর পুনর্বাসন বিকল্প আয়ের ব্যবস্থা নিশ্চিত করার দাবি জানিয়েছেন নাগরিকরা।

সর্বশেষ খবর পেতে অনুসরণ করুন-“প্রজন্ম কথা

শেয়ার করুন

অভিযানে ব্যাটারিচালিত রিকশা ভাঙার ঘটনায় ক্ষতিপূরণ দেবে ডিএনসিসি

প্রকাশঃ ০৭:০৯:৪১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৩ মে ২০২৫

রাজধানীর আসাদগেটে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের (ডিএনসিসি) যৌথ অভিযানে মূল সড়কে চলাচলকারী অবৈধ ব্যাটারিচালিত রিকশার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। অভিযানে প্রায় ৩০টি ব্যাটারিচালিত রিকশা জব্দ করা হয় এবং তিনটি রিকশা ধ্বংস করা হয়। রিকশা ভাঙার দৃশ্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হওয়ার পর ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনার সৃষ্টি হয়।

এই প্রসঙ্গে ডিএনসিসির প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজ তার ভেরিফায়েড ফেসবুক আইডিতে মঙ্গলবার (১৪ মে) রাত ১১টা ১১ মিনিটে দেওয়া এক পোস্টে জানান, ধ্বংস হওয়া তিনটি রিকশার মালিকদের ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে। তিনি লেখেন, “আজকে যে তিনজনের রিকশা ভাঙা হয়েছে তাদেরকে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হচ্ছে। মেইন রোডে না আসার জন্য তিনটি রিকশা ভাঙা হয়েছিল। আমরা পরিবারগুলোকে আয়ের বিকল্প ব্যবস্থা করার জন্যও উদ্যোগ নিচ্ছি।”

এর আগে, মঙ্গলবার (১৩ মে) রাজধানীর আসাদগেট এলাকায় যৌথ অভিযান চালিয়ে অবৈধ ব্যাটারিচালিত রিকশাগুলোর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয় ডিএমপি ডিএনসিসি। ডিএনসিসির প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজ অভিযানে সরাসরি উপস্থিত থেকে বলেন, “মূলসড়কে রিকশা চলাচলের অনুমতি নেই। এগুলোর কারণে সড়কে বিশৃঙ্খলা এবং দুর্ঘটনার ঝুঁকি বেড়ে যাচ্ছে। এক সমীক্ষায় দেখা গেছে, মোট দুর্ঘটনার প্রায় ২০ শতাংশই ব্যাটারিচালিত রিকশার কারণে ঘটে, যার ভুক্তভোগীর বড় অংশ নারী শিশু।”

তিনি আরও জানান, অবৈধ রিকশার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা হিসেবে ডেসকোর সহায়তায় এসব রিকশার চার্জিং পয়েন্ট উৎপাদনকারী ওয়ার্কশপগুলো বন্ধ করা হবে। পাশাপাশি নিরাপদ বৈধ ব্যাটারিচালিত রিকশার জন্য সরকার ইতোমধ্যে বুয়েটের সহায়তায় একটি নকশা অনুমোদন করেছে, যার ভিত্তিতে কয়েকটি কোম্পানিকে রিকশা তৈরির অনুমতি দেওয়া হয়েছে।

ডিএনসিসি প্রশাসক আরও বলেন, “এই মাসেই রিকশাচালকদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হবে। প্রশিক্ষণ শেষে যারা উত্তীর্ণ হবেন, তারা বৈধ লাইসেন্স পাবেন এবং নির্ধারিত এলাকায় অনুমোদিত রিকশা চালাতে পারবেন। এক এলাকার বৈধ রিকশা অন্য এলাকায় চলাচল করতে পারবে না। নির্ধারিত থাকবে যাত্রীভাড়া। একজনের নামে কেবল একটি রিকশা লাইসেন্স ইস্যু করা হবে, রিকশাবাণিজ্য বন্ধে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া হবে।”

সড়কে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে এবং দুর্ঘটনা কমাতে সরকারের এই উদ্যোগকে ইতিবাচকভাবে দেখছেন সংশ্লিষ্টরা। তবে মানবিক দিক বিবেচনায় ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য দ্রুত কার্যকর পুনর্বাসন বিকল্প আয়ের ব্যবস্থা নিশ্চিত করার দাবি জানিয়েছেন নাগরিকরা।

সর্বশেষ খবর পেতে অনুসরণ করুন-“প্রজন্ম কথা