মাদারীপুরের ডাসার উপজেলার চরমুগরিয়া ইউনিয়নের চর-খাকদি এলাকায় আওয়ামী লীগ নেতা ইদ্রিস মোল্লার বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জন, সরকারি জায়গা দখল এবং ক্ষমতার অপব্যবহারের গুরুতর অভিযোগ উঠেছে। ইদ্রিস মোল্লা ওই এলাকার মৃত মোকছেদ আলী মোল্লার পুত্র।
অনুসন্ধানে জানা যায়, সাবেক নৌপরিবহন মন্ত্রী ও মাদারীপুর-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য শাজাহান খান এবং তার ভাই যাচ্চু খানের ঘনিষ্ঠ ছিলেন ইদ্রিস মোল্লা। তিনি স্থানীয় রাস্তি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতির দায়িত্বও পালন করেছেন। রাজনৈতিক প্রভাবের কারণে দীর্ঘদিন ধরে এলাকার সাধারণ মানুষ তার বিরুদ্ধে মুখ খুলতে সাহস পায়নি।
স্থানীয়দের অভিযোগ, চরমুগরিয়া জুট কর্পোরেশনের জমি অবৈধভাবে দখল করে এবং জাল দলিলের মাধ্যমে নিরীহ মানুষের জমিও আত্মসাৎ করেছেন তিনি। চর খাগদী মৌজায় পৌরসভার অন্তর্গত একটি এলাকায় ইটভাটা নির্মাণের সময় এলাকাবাসীর বাধার মুখে ‘পানির কারখানা’ করার কথা বললেও পরে সেখানে গড়ে ওঠে ‘মোল্লা ব্রিকস’। গ্রামবাসী ভয়ের কারণে আর প্রতিবাদ করেনি।
ইতালির উত্তরাঞ্চলীয় সেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক মো. সোহেল কবিরাজ অভিযোগ করেন, ইদ্রিস মোল্লা এক সময় কলা বিক্রি করতেন। এলাকাবাসীর কাছে তিনি ‘কলা ইদ্রিস’ নামেই পরিচিত। এখন তিনি কোটি টাকার মালিক। জাল দলিল ও স্ট্যাম্প ব্যবহার করে আমার এবং আমার স্বজনদের সম্পত্তিও দখল করে নিয়েছেন।
তিনি আরও জানান, ইদ্রিস মোল্লা রাজনৈতিক প্রভাব ও টাকার জোরে এখনো বহাল তবিয়তে আছেন। এমনকি তিনি বিএনপির নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধেও হয়রানি চালাচ্ছেন।
এই বিষয়ে জানতে চাইলে ইদ্রিস মোল্লা জানান, “আমি দীর্ঘদিন ধরেই ব্যবসা করে আসছি। রাজনৈতিক নেতাদের সঙ্গে আমার সম্পর্ক থাকলেও আমি কোনো রাজনৈতিক দলে নেই। ব্যবসার সূত্রে বিভিন্ন জনের সঙ্গে ছবি তোলা হতে পারে, তবে তার মানে এই নয় যে আমি রাজনীতি করি। এছাড়া আমার সমস্ত সম্পত্তির বৈধ কাগজপত্র রয়েছে। যে কেউ চাইলে তা যাচাই করে দেখতে পারে। এ প্রসঙ্গে মাদারীপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আদিল হোসেন বলেন, “অভিযোগ পেলে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।