জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে পুলিশি হামলার বিচার দাবিতে মানববন্ধন

- প্রকাশঃ ১১:৩১:৪৫ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৮ মে ২০২৫
- / 24
গত ১৪ মে (বুধবার) ‘লং মার্চ টু যমুনা’ কর্মসূচিতে অংশ নিতে গিয়ে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক, শিক্ষার্থী, সাংবাদিক ও মানবাধিকার কর্মীদের ওপর পুলিশের লাঠিচার্জ ও হামলার ঘটনা ঘটে। এ হামলায় অর্ধশতাধিক ব্যক্তি আহত হন। এই ঘটনার প্রতিবাদ ও দায়ীদের বিচারের দাবিতে রোববার (১৮ মে) দুপুর ২টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাস্কর্য চত্বরে মানববন্ধনের আয়োজন করে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় হিউম্যান রাইটস সোসাইটি।
মানববন্ধনে সঞ্চালকের দায়িত্ব পালন করেন সংগঠনের দপ্তর সম্পাদক কামরুজ্জামান কায়েস। এছাড়া উপস্থিত ছিলেন সাধারণ সম্পাদক জুনায়েদ মাসুদ, আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক মেহেদী হাসান, ভলান্টিয়ার নওশীন নাওয়ার জয়া, কার্যকরী সদস্য ওমর ফারুক শ্রাবণ, আব্দুল্লাহ আল ফারুক, কাজী মারুফসহ সংগঠনের অন্যান্য সদস্য ও বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষার্থীরা।
মানববন্ধনে বক্তব্য রাখতে গিয়ে হিউম্যান রাইটস সোসাইটির সাধারণ সম্পাদক জুনায়েদ মাসুদ বলেন, এমন বিশ্ববিদ্যালয় বিরল যেখানে শিক্ষার্থীরা নিজেদের ন্যায্য অধিকারের জন্য নিয়মিত লড়াই করে যাচ্ছে। ৫ আগস্টের আগে কখনও টিয়ার শেল গ্যাসের শিকার হইনি, অথচ নিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসন অধিকার আদায়ে সে অভিজ্ঞতা হয়েছে। পুলিশ পিতৃতুল্য শিক্ষকদের গায়ে হাত তুলেছে, শিক্ষার্থীদের শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে চালিয়েছে নির্মম হামলা। প্রশাসনের পক্ষ থেকে এখন পর্যন্ত কোনো সহানুভূতি মেলেনি, যা অত্যন্ত হতাশাজনক।
তিনি আরও বলেন, এই হামলা আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইন লঙ্ঘনের শামিল। শিক্ষকদের অপমান ও শিক্ষার্থীদের ওপর নির্যাতনের বিচার না হওয়া পর্যন্ত আমাদের আন্দোলন চলবে।
ভলান্টিয়ার নওশীন নাওয়ার জয়া বলেন, শিক্ষক ও সাংবাদিকদের ওপর হামলা মানবাধিকার লঙ্ঘনের স্পষ্ট উদাহরণ। উপদেষ্টার সঙ্গে যা হয়েছে তা নিন্দনীয়। কিন্তু একজন শিক্ষার্থীকে গুম করে রাখার ঘটনা আমাদের ফ্যাসিবাদী শাসনের চিত্র তুলে ধরে। আমরা এই সংস্কৃতি চালু হতে দেব না।
কার্যকরী সদস্য ওমর ফারুক শ্রাবণ আন্তর্জাতিক আইনের প্রসঙ্গ টেনে বলেন, আন্তর্জাতিক নাগরিক ও রাজনৈতিক অধিকার বিষয়ক চুক্তির ১৯ ও ২১ ধারা অনুযায়ী, প্রতিটি নাগরিকের মতপ্রকাশ ও শান্তিপূর্ণ সমাবেশের অধিকার রয়েছে। অথচ শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে আমাদের ওপর পুলিশ বর্বর হামলা চালিয়েছে। আমরা এর বিচার চাই।
দপ্তর সম্পাদক কামরুজ্জামান কায়েস বলেন, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা যৌক্তিক দাবিতে অংশ নিয়েছিল। কিন্তু পুলিশ অন্যায়ভাবে তাদের ওপর হামলা চালিয়েছে। আমরা এর সর্বোচ্চ বিচার চাই। এছাড়া শিক্ষার্থী হুসাইনকে ২৬ ঘণ্টা গোপনে ডিবি কার্যালয়ে আটকে রাখা হয়েছে এটি একধরনের গুম, যারও বিচার দাবি করছি।
মানববন্ধনে বক্তারা জানান, এই ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্ত ও দায়ী পুলিশ সদস্যদের দ্রুত শাস্তির আওতায় আনা না হলে আগামীতে আরও কঠোর আন্দোলনের ডাক দেওয়া হবে।
জবি প্রতিনিধি: ইমতিয়াজ উদ্দিন