বুটেক্সে তৃতীয় আন্তর্জাতিক সম্মেলন, টেকসই ফ্যাশন ও উদ্ভাবনী গবেষণায় নবদিগন্তের উন্মোচন

বাংলাদেশ

 

ফ্যাশন ইনোভেশন ও টেকসই অ্যাপারেল প্রোডাকশনের দিকে গুরুত্বারোপ করে বাংলাদেশ টেক্সটাইল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বুটেক্স) তৃতীয়বারের মতো অনুষ্ঠিত হয়েছে আন্তর্জাতিক কনফারেন্স। শনিবার (২৪ মে) এ কনফারেন্স আয়োজিত হয়েছে। অনুষ্ঠানটি পরিচালনার দায়িত্বে ছিলো ফ্যাশন ডিজাইন অ্যান্ড অ্যাপারেল ইঞ্জিনিয়ারিং অনুষদ।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. এস. এম. এ ফায়েজ। বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ. বি. এম. ওবায়দুল ইসলাম। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন আইটিইটি’র অন্তর্বর্তীকালীন কমিটির আহ্বায়ক ইঞ্জিনিয়ার এহসানুল করিম কায়সার, বুটেক্সের ফ্যাশন ডিজাইন ও অ্যাপারেল ইঞ্জিনিয়ারিং অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মোঃ মশিউর রহমান খান , উপাচার্য ড. মোঃ জুলহাস উদ্দিনসহ আমন্ত্রিত অতিথিরা।

এছাড়া অনুষ্ঠানে অনলাইনে যুক্ত ছিলেন দক্ষিণ কোরিয়ার সোসাইটি অব ফ্যাশন অ্যান্ড টেক্সটাইল ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি অধ্যাপক কিউ হি লি এবং কনকুক বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক জুনসিয়োক কোহ এবার কনফারেন্সে বিভিন্ন দেশ থেকে প্রায় ৬০টি পেপার জমা হয়। যার মধ্যে ৩৬টি প্রেজেন্টেশনের জন্য বাছাই করা হয়।

বুটেক্সের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোঃ জুলহাস উদ্দিন বলেন, বিশ্বের বিভিন্ন দেশের (যুক্তরাজ্য, চীন, তুরস্ক, পাকিস্তান, ভারত ) গবেষকদের অংশগ্রহণে এই সম্মেলন টেক্সটাইল ও পোশাক শিল্পে টেকসই উন্নয়ন ও উদ্ভাবনের নতুন দিগন্ত উন্মোচন করবে। তরুণ গবেষকরা নানা সীমাবদ্ধতার মধ্যেও উদ্ভাবনী গবেষণাপত্র উপস্থাপন করে সাহসিকতার পরিচয় দিয়েছেন।

তিনি আরও বলেন, এই সম্মেলন গবেষণার গুণগত মান উন্নয়নে, বিশেষ করে অটোমেশন প্রযুক্তি ও শিল্পের সঙ্গে একীভূত গবেষণায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। শিল্প ও বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে সহযোগিতা বাড়িয়ে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় এটি একটি কার্যকর প্ল্যাটফর্ম হবে।

তিনি বলেন, আগামী বছর থেকে আরও একাধিক আন্তর্জাতিক সম্মেলন আয়োজনের পরিকল্পনা রয়েছে। যাতে গবেষণা ও প্রকাশনার হার বাড়ানো সম্ভব হয়। তিনি জানান, ২০২৬ সালে টেক্সটাইল ম্যানেজমেন্ট অ্যান্ড বিজনেস স্টাডিজ অনুষদ পরবর্তী আন্তর্জাতিক সম্মেলনের আয়োজন করবে। শেষে তিনি সম্মেলনের আয়োজক কমিটি, প্রধান অতিথি, বিশেষ অতিথি, শিক্ষক, গবেষক, কর্মকর্তা, ছাত্রছাত্রী এবং অংশগ্রহণকারীদের আন্তরিক ধন্যবাদ জানান। অনুষ্ঠানের শেষাংশে পুরস্কার বিতরণ ও নৈশভোজের আয়োজন করা হয়।

উল্লেখ্য, এবারের কনফারেন্সে অংশগ্রহণকারী প্রতিযোগীরা ফ্যাশন ইনোভেশন, ব্র্যান্ডিং ও রিটেইলিং, টেক্সটাইল ইন্ডাস্ট্রি ৪.০ ও ৫.০, ফাংশনাল টেক্সটাইলস অ্যান্ড ওয়্যারএবেল টেকনোলজি, টেকনোলজি অব ফাইবার প্রসেসিং, রোবটিক্স অ্যান্ড অটোমেশন ইন টেক্সটাইল ইন্ডাস্ট্রি, আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইন ফ্যাশন অ্যান্ড অ্যাপারেল, ক্লথিং কমফোর্ট, সারফেস ফাংশনালাইজেশন অ্যান্ড কোটিং, অ্যাপারেল মার্চেন্ডাইজিং অ্যান্ড কনজিউমার সায়েন্স, টেকনোলজি অব এডিটিভ ম্যানুফ্যাকচারিং, নেক্সট-জেন ফাইবারস অ্যান্ড ম্যাটেরিয়ালস, ফাইবার-রিইনফোর্সড কম্পোজিট ম্যাটেরিয়ালস, বায়োপলিমারস অ্যান্ড টেক্সটাইল পলিমার কেমিস্ট্রি, ন্যানো-সায়েন্স ইন টেক্সটাইলস, কেমিস্ট্রি অব ডাইস অ্যান্ড কেমিক্যালস, টেক্সটাইল মেশিনারিজ অ্যান্ড মেইনটেন্যান্স, ইন্ডাস্ট্রিয়াল ইঞ্জিনিয়ারিং, রিসাইকেলিং, লাইফ সাইকেল অ্যানালাইসিস, সাসটেইনেবিলিটি অ্যান্ড সার্কুলারিটি, টেক্সটাইল ইকোনমি অ্যান্ড সাসটেইনেবল সাপ্লাই চেইন, ওয়েস্ট অ্যান্ড ওয়েস্ট-ওয়াটার ম্যানেজমেন্ট, রিনিউএবল এনার্জি, কমপ্লায়েন্স অ্যান্ড কমার্শিয়াল ইস্যুস অব অ্যাপারেল ইন্ডাস্ট্রি, টেক্সটাইল রিসার্চ অ্যান্ড এডুকেশন ইত্যাদি বিষয়ে গবেষণাপত্র জমা দেওয়ার সুযোগ পায়।

সর্বশেষ খবর পেতে অনুসরণ করুন-“প্রজন্ম কথা