সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার মাইজবাড়ি গ্রামে চুরি করতে গিয়ে দা’র কোপে আহত এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। পুলিশের প্রাথমিক ধারণা, অতিরিক্ত রক্তক্ষরণেই তার মৃত্যু হয়েছে। নিহত যুবকের নাম সায়মন হাসান ওরফে রনি (২৭)। তিনি সদর উপজেলার বোদারগাঁও গ্রামের বাসিন্দা।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার গভীর রাতে মাইজবাড়ি গ্রামের একটি বাড়িতে চুরির উদ্দেশ্যে প্রবেশ করেন রনি। ঘরের ভেতরে থাকা ব্যক্তি টিনের বেড়া কাটার শব্দ শুনে সতর্ক হয়ে যান এবং হাতে দা নিয়ে অপেক্ষা করতে থাকেন। চোর ঘরের মধ্যে হাত ঢোকানোর মুহূর্তে তিনি কোপ দেন। এতে গুরুতর আহত হয়ে চোর সেখান থেকে পালিয়ে যান।
পরদিন শনিবার সকালে একই গ্রামের আরেকটি বাড়ির আঙিনায় রক্তাক্ত অবস্থায় এক যুবকের মরদেহ পড়ে থাকতে দেখেন স্থানীয়রা। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠায়।
এ ঘটনায় চোরকে কোপ দেওয়ার অভিযোগে ইদ্রিস আলীর ছেলে ইকবাল হোসেন (২৮)-কে আটক করেছে পুলিশ। তিনি একজন কাঠমিস্ত্রির সহকারী হিসেবে কাজ করেন। সদর থানার বারান্দায় কথা বলার সময় ইকবাল হোসেন বলেন, “আমি চোরের হাতে দা দিয়ে একটি কোপ দিয়েছি, কিন্তু তাকে চিনতে পারিনি।”
সুনামগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জাকির হোসেন বলেন, “ঘটনার রাতে চুরির চেষ্টার বিষয়টি স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে নিশ্চিত হয়েছি। তবে এর পেছনে আরও কোনো কারণ আছে কি না, সেটি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।”
পুলিশ জানিয়েছে, নিহত যুবক পূর্বেও কোনো চুরির ঘটনার সঙ্গে জড়িত ছিলেন কি না, সে বিষয়ে তার অতীত কর্মকাণ্ড যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে।