ঢাকা ০২:১৪ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৭ জুন ২০২৫, ১২ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ওএমএস ডিলার বাছাইয়ে বাগবিতণ্ডা, বিতর্কিত জুলাই আন্দোলনের আসামি দ্রুত সটকে পড়লেন

তুর্য দাস। সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি
  • প্রকাশঃ ১০:৪৯:০২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৬ জুন ২০২৫
  • / 8

সুনামগঞ্জ পৌর শহরের নয়টি ওয়ার্ডের জন্য ১৩টি ওএমএস (খাদ্যবান্ধব কর্মসূচি) পয়েন্টে ডিলার বাছাইকে কেন্দ্র করে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে লটারি অনুষ্ঠান ঘিরে সৃষ্টি হয় উত্তেজনা ও রাজনৈতিক বিতর্ক। বৃহস্পতিবার বিকালে অনুষ্ঠিত এই লটারি কার্যক্রমে উপস্থিত ছিলেন ডিলার হতে আগ্রহী আবেদনকারীরা।

লটারি শুরুর আগেই মিলনায়তনে উপস্থিত আন্দোলনকারী ও আওয়ামী লীগপন্থী একাধিক ব্যক্তির উপস্থিতি নিয়ে প্রতিবাদ জানান যুবদলের আহ্বায়ক আজিজুর রহমান সৌরভ। তিনি ভারপ্রাপ্ত জেলা প্রশাসক রেজাউল করিমের উদ্দেশ্যে বলেন, “জুলাই আন্দোলনে আহতরাও এখানে আছেন, আবার যারা হামলা চালিয়েছিল, তারাও এখানে রয়েছে—এটা কিভাবে সম্ভব?”

এই প্রশ্নের জবাবে জেলা প্রশাসক জানান, তিনি শুধুমাত্র লটারির দায়িত্বে রয়েছেন, অভিযোগ থাকলে তা সুনির্দিষ্টভাবে দিতে হবে।

বিকেল সোয়া চারটার দিকে শুরু হওয়া সভায় উত্তেজনা বাড়ে, যখন বিএনপি কর্মী মঈনুল ও যুবদল নেতা সৌরভ বাদ পড়া নিয়ে তর্কে জড়ান।

সভায় উপস্থিত ছিলেন দৈনিক দিনকালের প্রতিনিধি সাদিকুর রহমান চৌধুরী। তিনি সরাসরি প্রশ্ন তোলেন, “জুলাই আন্দোলনে যিনি হামলা করেছেন, মামলার আসামী হয়েছেন, তিনি কীভাবে আজকের সভায় বসে থাকতে পারেন?”

এই সময় হল কক্ষ ত্যাগ করতে দেখা যায় সুনামগঞ্জ সদর উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সেক্রেটারী মিজানুর রহমানকে। জানা যায়, তিনি গত পাঁচ আগস্টের আন্দোলনে হামলার ঘটনায় দায়ের করা মামলার ৮৩ নম্বর আসামী।

অভিযোগ সুনির্দিষ্ট না হওয়ায় প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। তবে বিতর্কের মধ্যেই যাচাই-বাছাই শেষে যাদের কাগজপত্র ঠিক ছিল, তাদের মধ্য থেকে লটারি অনুষ্ঠিত হয়।

লটারি কার্যক্রমে নবিনগর পয়েন্টে ডিলার হিসেবে মনোনীত হন ফখর উদ্দিন কয়েস। একইভাবে বাকিদের মধ্য থেকেও ডিলার নির্ধারণ করা হয়।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক হুমায়ুন কবির, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক সময় কুমার পাল, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জাকির হোসাইনসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।

সর্বশেষ খবর পেতে অনুসরণ করুন- “প্রজন্ম কথা”

শেয়ার করুন

ওএমএস ডিলার বাছাইয়ে বাগবিতণ্ডা, বিতর্কিত জুলাই আন্দোলনের আসামি দ্রুত সটকে পড়লেন

প্রকাশঃ ১০:৪৯:০২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৬ জুন ২০২৫

সুনামগঞ্জ পৌর শহরের নয়টি ওয়ার্ডের জন্য ১৩টি ওএমএস (খাদ্যবান্ধব কর্মসূচি) পয়েন্টে ডিলার বাছাইকে কেন্দ্র করে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে লটারি অনুষ্ঠান ঘিরে সৃষ্টি হয় উত্তেজনা ও রাজনৈতিক বিতর্ক। বৃহস্পতিবার বিকালে অনুষ্ঠিত এই লটারি কার্যক্রমে উপস্থিত ছিলেন ডিলার হতে আগ্রহী আবেদনকারীরা।

লটারি শুরুর আগেই মিলনায়তনে উপস্থিত আন্দোলনকারী ও আওয়ামী লীগপন্থী একাধিক ব্যক্তির উপস্থিতি নিয়ে প্রতিবাদ জানান যুবদলের আহ্বায়ক আজিজুর রহমান সৌরভ। তিনি ভারপ্রাপ্ত জেলা প্রশাসক রেজাউল করিমের উদ্দেশ্যে বলেন, “জুলাই আন্দোলনে আহতরাও এখানে আছেন, আবার যারা হামলা চালিয়েছিল, তারাও এখানে রয়েছে—এটা কিভাবে সম্ভব?”

এই প্রশ্নের জবাবে জেলা প্রশাসক জানান, তিনি শুধুমাত্র লটারির দায়িত্বে রয়েছেন, অভিযোগ থাকলে তা সুনির্দিষ্টভাবে দিতে হবে।

বিকেল সোয়া চারটার দিকে শুরু হওয়া সভায় উত্তেজনা বাড়ে, যখন বিএনপি কর্মী মঈনুল ও যুবদল নেতা সৌরভ বাদ পড়া নিয়ে তর্কে জড়ান।

সভায় উপস্থিত ছিলেন দৈনিক দিনকালের প্রতিনিধি সাদিকুর রহমান চৌধুরী। তিনি সরাসরি প্রশ্ন তোলেন, “জুলাই আন্দোলনে যিনি হামলা করেছেন, মামলার আসামী হয়েছেন, তিনি কীভাবে আজকের সভায় বসে থাকতে পারেন?”

এই সময় হল কক্ষ ত্যাগ করতে দেখা যায় সুনামগঞ্জ সদর উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সেক্রেটারী মিজানুর রহমানকে। জানা যায়, তিনি গত পাঁচ আগস্টের আন্দোলনে হামলার ঘটনায় দায়ের করা মামলার ৮৩ নম্বর আসামী।

অভিযোগ সুনির্দিষ্ট না হওয়ায় প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। তবে বিতর্কের মধ্যেই যাচাই-বাছাই শেষে যাদের কাগজপত্র ঠিক ছিল, তাদের মধ্য থেকে লটারি অনুষ্ঠিত হয়।

লটারি কার্যক্রমে নবিনগর পয়েন্টে ডিলার হিসেবে মনোনীত হন ফখর উদ্দিন কয়েস। একইভাবে বাকিদের মধ্য থেকেও ডিলার নির্ধারণ করা হয়।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক হুমায়ুন কবির, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক সময় কুমার পাল, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জাকির হোসাইনসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।

সর্বশেষ খবর পেতে অনুসরণ করুন- “প্রজন্ম কথা”