ঢাকা ১২:৩৪ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৮ জুলাই ২০২৫, ২ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

গোপালগঞ্জে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সেনাবাহিনী-পুলিশের সঙ্গে যোগ দিলো বিজিবি

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশঃ ০৬:০৪:০৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৬ জুলাই ২০২৫
  • / 7

জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সমাবেশ ও গাড়িবহরে হামলার ঘটনায় রণক্ষেত্রে পরিণত হয়েছে গোপালগঞ্জ। পরিস্থিতি সামাল দিতে সেনাবাহিনী ও পুলিশের পাশাপাশি চার প্লাটুন বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে।

বুধবার (১৬ জুলাই) বিকেল ৩টা ৫৫ মিনিটে বিজিবি সদর দপ্তরের জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. শরীফুল ইসলাম গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, ‘গোপালগঞ্জে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সেনাবাহিনী ও পুলিশের সঙ্গে চার প্লাটুন বিজিবি সদস্য কাজ করছে।’

এর আগে দুপুর দেড়টার দিকে গোপালগঞ্জ শহরের পৌরপার্ক এলাকায় এনসিপির সমাবেশের মঞ্চে হামলা চালায় স্থানীয় ছাত্রলীগ ও আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। মঞ্চে থাকা সাউন্ড সিস্টেম, চেয়ার ও ব্যানার ভাঙচুরের পাশাপাশি সমাবেশে উপস্থিত নেতাকর্মীদের ওপরও হামলা হয়।

পরে সমাবেশ শেষে ফেরার পথে গোপালগঞ্জ সরকারি কলেজের সামনে এনসিপির গাড়িবহরে হামলা চালানো হয়। সহিংসতার মধ্যে পুলিশের গাড়ি ও সেনাবাহিনীর গাড়িতেও হামলা ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ ও সেনাবাহিনী গুলি চালায়।

এ ঘটনার পর থেকে গোপালগঞ্জ জেলা জুড়ে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে। সেনাবাহিনী, বিজিবি ও পুলিশ যৌথভাবে টহল দিচ্ছে এবং পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার চেষ্টা করছে।

এনসিপির নেতারা অভিযোগ করেছেন, কার্যক্রম নিষিদ্ধ হওয়া ছাত্রলীগ ও আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরাই এ হামলার সঙ্গে জড়িত। সহিংসতা থেকে বাঁচতে দলটির শীর্ষ নেতারা জেলা পুলিশের কার্যালয়ে অবস্থান করছেন। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত শহরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থানে অতিরিক্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে।

শেয়ার করুন

গোপালগঞ্জে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সেনাবাহিনী-পুলিশের সঙ্গে যোগ দিলো বিজিবি

প্রকাশঃ ০৬:০৪:০৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৬ জুলাই ২০২৫

জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সমাবেশ ও গাড়িবহরে হামলার ঘটনায় রণক্ষেত্রে পরিণত হয়েছে গোপালগঞ্জ। পরিস্থিতি সামাল দিতে সেনাবাহিনী ও পুলিশের পাশাপাশি চার প্লাটুন বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে।

বুধবার (১৬ জুলাই) বিকেল ৩টা ৫৫ মিনিটে বিজিবি সদর দপ্তরের জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. শরীফুল ইসলাম গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, ‘গোপালগঞ্জে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সেনাবাহিনী ও পুলিশের সঙ্গে চার প্লাটুন বিজিবি সদস্য কাজ করছে।’

এর আগে দুপুর দেড়টার দিকে গোপালগঞ্জ শহরের পৌরপার্ক এলাকায় এনসিপির সমাবেশের মঞ্চে হামলা চালায় স্থানীয় ছাত্রলীগ ও আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। মঞ্চে থাকা সাউন্ড সিস্টেম, চেয়ার ও ব্যানার ভাঙচুরের পাশাপাশি সমাবেশে উপস্থিত নেতাকর্মীদের ওপরও হামলা হয়।

পরে সমাবেশ শেষে ফেরার পথে গোপালগঞ্জ সরকারি কলেজের সামনে এনসিপির গাড়িবহরে হামলা চালানো হয়। সহিংসতার মধ্যে পুলিশের গাড়ি ও সেনাবাহিনীর গাড়িতেও হামলা ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ ও সেনাবাহিনী গুলি চালায়।

এ ঘটনার পর থেকে গোপালগঞ্জ জেলা জুড়ে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে। সেনাবাহিনী, বিজিবি ও পুলিশ যৌথভাবে টহল দিচ্ছে এবং পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার চেষ্টা করছে।

এনসিপির নেতারা অভিযোগ করেছেন, কার্যক্রম নিষিদ্ধ হওয়া ছাত্রলীগ ও আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরাই এ হামলার সঙ্গে জড়িত। সহিংসতা থেকে বাঁচতে দলটির শীর্ষ নেতারা জেলা পুলিশের কার্যালয়ে অবস্থান করছেন। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত শহরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থানে অতিরিক্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে।