ঢাকা ০৬:২৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৯ জুলাই ২০২৫, ১৪ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

আন্তর্জাতিক মিডিয়া সংস্থা ‘আইজ অন লাইফ’-এর বিরুদ্ধে সংঘবদ্ধ হামলা

বিশেষ প্রতিনিধি
  • প্রকাশঃ ০১:১৭:৪৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৮ জুলাই ২০২৫
  • / 10

চুক্তি চলমান থাকলেও জোরপূর্বক উচ্ছেদের চেষ্টা | ছবি: প্রজন্ম কথা


রাজধানীর কলাবাগানে নিজ দপ্তর থেকে মিথ্যা অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশের প্রত্যক্ষ মদদে অবৈধভাবে ‘আইজ অন লাইফ’ নামের একটি আন্তর্জাতিক মিডিয়া সংস্থাকে উচ্ছেদের চেষ্টা করছেন ভবন মালিক মোঃ শফি উদ্দিন।

জানা যায়, গত ৭ জুলাই বিকেল ৩টা ৩০ মিনিটের দিকে কলাবাগান থানার দুইজন পুলিশ সদস্যসহ প্রায় ২৫-৩০ জন ব্যক্তিকে সঙ্গে নিয়ে শফি উদ্দিন তার ভবনে অবস্থিত ‘আইজ অন লাইফ’-এর অফিস থেকে ভাড়াটিয়া দেওয়ান মুসাকে মিথ্যা অভিযোগের ভিত্তিতে অবৈধভাবে উচ্ছেদের চেষ্টা চালান।

কলাবাগান থানার এএসআই সারোয়ার ও একজন কনস্টেবলকে নিয়ে হঠাৎ করেই হাজির হন আইজ অন লাইফ এর কলাবাগান অফিসে সেদিন। তারা সংস্থাটির প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক দেওয়ান মুসাকে বলেন, ভবন মালিক শফি উদ্দিন থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন। সেখানে বলা আছে, দেওয়ান মুসা চুক্তি শেষ হয়ে যাওয়ার পরও সেখানে অবস্থান করছেন এবং এগারো মাস ধরে ভাড়ার টাকা দিচ্ছেন না।

তারা আরও দাবি করেন, মুসা ভাড়াটিয়া ফর্ম পূরণ করতে অস্বীকার করেছেন৷ পাশাপাশি, চুক্তির মেয়াদ শেষ হওয়ার পরও জোর করে সেখানে অবস্থান করছেন। তবে দেওয়ান মুসা তাদের প্রতিটি অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে তথ্যপ্রমাণ উপস্থিত করেছেন বলে জানা যায়।

এ দিকে, উক্ত ভবন মালিক প্রতারণামূলকভাবে ‘আইজ অন লাইফ’-এর কাছ থেকে জোরপূর্বক বিদ্যুৎ বিল আদায় করে আসছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। অথচ চুক্তিপত্রে উল্লেখ করা আছে যে, বিদ্যুৎ বিলের জন্য মালিকপক্ষ জিম্মাদার। এরপরও তিনি উক্ত অফিসের বিদ্যুৎ সংযোগ অবৈধভাবে বিচ্ছিন্ন করেন।

তথ্যপ্রমাণ অনুসারে, দেওয়ান মুসা ২০২৫ সালের মার্চ পর্যন্ত ভাড়া পরিশোধ করে এপ্রিল থেকে ভাড়া প্রদান বন্ধ করেছেন। ভবন মালিক নিয়মিত বাড়ির ময়লা পরিস্কার না করার সঙ্গে সঙ্গে অতিপ্রয়োজনীয় টয়লেট নিয়েও সমস্যার সৃষ্টি করছিলেন বলে অভিযোগ করেন তিনি।

মুসা দাবি করেন, এ সমস্যাগুলির সমাধান করে অবশিষ্ট ভাড়ার টাকা নিয়ে যাওয়ার জন্য ভবন মালিককে বলা হয়েছিল। কিন্তু ভবন মালিক সমস্যার সমাধান না করে অবৈধভাবে সংস্থাটির দপ্তরের কিছু আসবাব ও জিনিসপত্র স্থানান্তর করে দেওয়ান মুসাকে প্রতিনিয়ত হয়রানি করতে থাকেন। ভাড়ার চুক্তিপত্রে দেখা যায়, ভবনটিতে ২০২৫ সালের ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত আইজ অন লাইফের অবস্থানের মেয়াদ রয়েছে।

এ বিষয়ে দেওয়ান মুসা বলেন, এই ভবন মালিকের বিভিন্ন অনৈতিক ও অবৈধ কার্যকলাপ নিয়ে এ যাবৎ পাঁচ বার পুলিশের শরণাপন্ন হলেও পুলিশের তরফ থেকে ন্যূনতম সাড়াও পাওয়া যায়নি। অথচ ভবন মালিকের পক্ষ নিয়ে নানা মিথ্যে অজুহাত ও অভিযোগে তারা আমাকে ঠিকই জবাবদিহি করার নামে হেনস্থা করছে। এই ঘটনার মাত্র কয়েকদিন আগেই আরো দুজন পুলিশকে নিয়ে এসে উক্ত ভবন মালিক দেওয়ান মুসাকে হয়রানী করেন বলেও জানা যায়।

অনুসন্ধান বলছে, আনুমানিক ২৫-৩০ জন ব্যক্তি ৭ জুলাইয়ের ঘটনার সঙ্গে জড়িত ছিলেন। তারা পুলিশের সামনেই দেওয়ান মুসাকে বিভিন্ন বিদ্রুপাত্বক উক্তিসহ হুমকি দিচ্ছিলেন। তাৎক্ষণিকভাবে উক্ত অফিস ছেড়ে দেওয়ার জন্যও চাপ দিচ্ছিলেন মুসাকে তারা। অভিযোগ মিথ্যা প্রমাণিত হওয়ার পরও কলাবাগান থানার এএসআই সারোয়ার পরদিন (৮ জুলাই) দুপুর একটার দিকে আচমকা এসে হাজির হন, এবং দেওয়ান মুসা ব্যক্তিগত কাজে অফিস থেকে বের হলে তাকে জোর করে পার্শ্ববর্তী একটি ভবনে নিয়ে গিয়ে শালিসে বসতে বাধ্য করেন। সেখানে আগে থেকেই তাদের অন্যান্য সহযোগীরা উপস্থিত ছিলো।

এ সময় তারা বিভিন্নভাবে তাদের অবৈধ দাবি মেনে নিতে দেওয়ান মুসাকে চাপ দিতে থাকেন। নানা অজুহাতে তিন মাসের নোটিশ প্রদান করে আইজ অন লাইফকে অফিস ছাড়তে বাধ্য করার সুযোগ থাকার পরও খামখেয়ালিপনা, স্বেচ্ছাচারিতা ও প্রতারণার আশ্রয় নেন ভবন মালিক।

পাশাপাশি, প্রতিটি অভিযোগ মিথ্যা প্রমাণিত হওয়ার পরও এএসআই সারোয়ার আসামীদের পক্ষেই কথা বলে যাচ্ছিলেন বলে অভিযোগ করেন মুসা। থানার প্রতিনিধিদের পক্ষপাতিত্ব নিশ্চিত হওয়ার পর, দেওয়ান মুসা বাড়ি ভাড়া নিয়ন্ত্রণ আইনের বিশেষ ধারার প্রয়োগের মাধ্যমে আদালত থেকে একজন প্রতিনিধিকে ভবন মালিকের কাছে প্রেরণ করেন নোটিশ সহকারে।

এ প্রসঙ্গে দেওয়ান মুসা বলেন, তারা এমন একটি পরিবেশ সৃষ্টি করেছিলো যে আমাকে মারধর ও অপদস্থ হওয়ার হাত থেতে রক্ষা পাওয়ার জন্য তাদের সকল দাবি মেনে নিতে হতো। কিন্তু সৃষ্টিকর্তা আমাকে অবিচল থাকতে সহায়তা করেছেন।

বাস্তবিকভাবে এই ঘটনার শুরু ২০২৪ সালের সেপ্টেম্বর থেকে, যখন দেওয়ান মুসা তার অফিসের বিভিন্ন সমস্যার সমাধান না পেয়ে উকিলের মাধ্যমে ভবন মালিককে একটি যৌক্তিক নোটিশ প্রদান করেছিলেন। নোটিশের মূল বিষয়বস্তু ছিলো অফিসের দক্ষিণ দেয়ালের তিন স্কয়ার ফিটের একটি ছিদ্র মেরামত, ময়লা নিষ্কাশন, বিদ্যুৎ বিল পরিশোধ (যা ভবন মালিক প্রতারণামূলকভাবে ‘আইজ অন লাইফ’এর কাছ থেকে আদায় করছিলেন), এবং কারণে-অকারণে হুমকি প্রদান হতে বিরত থাকা।

তিনটি নোটিশ প্রেরণ করার পর ভবন মালিক উক্ত সমস্যাগুলির কয়েকটির সমাধান ও কয়েকটির বিষয়ে প্রতিশ্রুতি দিলে ২০২৫ সালের জানুয়ারিতে একটি অফিসিয়াল চিঠির মাধ্যমে দেওয়ান মুসা ভবন মালিককে ধন্যবাদ জানান।

কিন্ত এরপর থেকেই আবার সেই পুরোনো সমস্যাগুলির সঙ্গে নতুন সমস্যা যোগ হয়, এবং সমাধান করতে বললে ভবন মালিকও সেগুলো অগ্রাহ্য করতে থাকেন। যার ফলশ্রুতিতে এপ্রিল ২০২৫ থেকে দেওয়ান মুসা ভাড়া প্রদান করা বন্ধ করে দেন।

পরে জুন মাসে পুনরায় নোটিশ প্রদানের কথা বলার পর থেকেই শফি উদ্দিন দেওয়ান মুসার নামে অপপ্রচার করতে শুরু করেন এই বলে যে তিনি অবৈধভাবে তার বাড়িতে অবস্থান করলেও এক বছর ধরে ভাড়া দিচ্ছেন না। এ ছাড়া, স্থানীয় ক্ষমতা প্রয়োগের মাধ্যমে বিভিন্নভাবে মুসাকে হয়রানিও করা হয়। যার ধারাবাহিকতায় ঘটে ৭ জুলাইয়ের ঘটনা।

এ দিকে, ২০২৪ সালের ৪ ডিসেম্বর রমজান নামের স্থানীয় একজন ভাত ব্যবসায়ী কয়েকজন ব্যক্তিকে সঙ্গে নিয়ে আচমকা ‘আইজ অন লাইফ’ অফিসে হামলা করেন বলে অভিযোগ ওঠে। অথচ সে ‘আইজ অন লাইফ’-এর কাছে কোনো অর্থ পেতো না। বরং ‘আইজ অন লাইফ’ তার কাছে টাকা পেতো, এবং উক্ত টাকা ফেরত চাওয়াতেই এই হামলা করা হয় বলে ধারণা অনেকের।

এই হামলায় ‘আইজ অন লাইফ’-এর প্রবেশ দরজা ক্ষতিগ্রস্ত হয় এবং একটি ছবির ফ্রেমও ভেঙে যায়। এ ছাড়াও হামলাকারীকে ভিডিও করার সময় প্রতিষ্ঠানটির একটি ক্যামেরাও ভেঙে ফেলে হামলাকারী রমজান। প্রাণনাশেরও হুমকি দেওয়া হয় মুসাকে। অপ্রত্যাশিত ও অযৌক্তিক এই হামলার প্রাথমিক কারণ হিসেবে উক্ত ভবনের মালিক, তার স্ত্রী এবং তৃতীয় আরেক ব্যক্তিকে সন্দেহের তালিকায় রাখা হয়।

এই হামলার পর ‘আইজ অন লাইফ’ এর প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক দেওয়ান মুসা কলাবাগান থানার ওসির সঙ্গে কথা বলে থানায় একটি লিখিত অভিযোগপত্র জমা দেন, কিন্তু কোনো পুলিশ তদন্তে আসেনি। সপ্তাহব্যাপী অপেক্ষা করার পর দেওয়ান মুসা ঢাকাস্থ সিএমএম আদালতে একটি পিটিশন দায়ের করলে পুলিশ বাধ্যতামূলকভাবে একদিন তদন্তে আসে এবং অদ্যাবধী এ বিষয়ে আর কোনো পদক্ষেপ পরিলক্ষিত হয়নি।

এরপর ভিন্ন ভিন্ন ঘটনায় আরো দুইটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) দায়ের করেন দেওয়ান মুসা, যার একটি ছিলো অফিস থেকে ২৭,০০০ টাকা মূল্যের একটি মোবাইল হারিয়ে যাওয়া সংক্রান্ত। অপর জিডিটি রমজানের হামলার পর করা হয়, যখন তারা মামলা উঠিয়ে নেওয়ার জন্য হুমকি দিতে আসে। দুটি জিডিই ছিল ওই ভবন মালিকের বিরুদ্ধে।

তবে রহস্যজনক কারণে পুলিশ কোনোবারই সাড়া দেয়নি।

রমজানের হামলার ঘটনায় ভবন মালিককে দায়ী করার পেছনে দেওয়ান মুসা যুক্তি দেন যে, আইজ অন লাইফ অফিসে হামলাকারী ভাত ব্যবসায়ী রমজান আমাদের বাড়ি ভাড়ার চুক্তিপত্রের ভবন মালিকের পক্ষের সাক্ষী ছিলেন। এ থেকে স্পষ্ট যে ভবন মালিকের দ্বারা প্রভাবিত হয়ে তিনি এই অন্যায় করেছেন।

এ দিকে, চলতি বছরের ২৭ জুলাই সকালে আইজ অন লাইফ অফিসে প্রবেশের সময়ও দেওয়ান মুসাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন ভবন মালিক। দ্রুত সবকিছু স্থানান্তরের জন্য ঝাড়ু নিয়ে তেড়ে এসে হুমকিও দেন তিনি।

স্থানীয় সুত্রে জানা যায়, এই ভবন মালিক শফি উদ্দিন পলাতক আওয়ামী লীগ নেতা সালেহউদ্দিন ঢালির নিকটাত্মীয় এবং আওয়ামী লীগের ১৭ বছরের দুঃশাসনের একজন সহযোগী ও সমর্থক। এবং যে সকল লোক তাকে সহযোগিতা করছে তারাও একই ব্যক্তি ও মতবাদের অনুসারী।

এ বিষয়ে আশঙ্কা প্রকাশ করে ‘আইজ অন লাইফ’ এর প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক দেওয়ান মুসা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ‘পুলিশ প্রথম থেকেই আসামীদের রক্ষা করার চেষ্টা করে আসছে। এবং আমি নিশ্চিত যে এখন তারা আমাকে গ্রেপ্তার করার জন্যও কোনো না কোনো কারণের অনুসন্ধান নিশ্চয়ই করছে, যেমনটি তারা গত ১৭ বছর করে এসেছে।’

এ বিষয়ে অভিযুক্ত ভবন মালিক শফি উদ্দীন বলেন, চুক্তি অনুযায়ী আমি বিদ্যুৎ বিল দিতাম, যদি মুসা আমার ভাড়া পরিশোধ করতেন। তিনি এগারো মাস ধরে ভাড়া দেন না। আমি বিদ্যুৎ বিল দেব কী করে?

চলতি বছরের অক্টোবর পর্যন্ত চুক্তির মেয়াদ থাকার কথা স্বীকার করলেও ময়লা নিষ্কাশন, আইজ অন লাইফের অফিস কক্ষগুলোর সংস্কার এবং ভবনের নিরাপত্তা নিশ্চিতের বিষয়ে আইনি নোটিশ পাবার পরও কেন কোনো পদক্ষেপ না নিয়ে কেন মুসাকে হয়রানি করা হচ্ছে জানতে চাইলে তিনি কোনো সদুত্তর দিতে পারেননি।

পাশাপাশি, মুসাকে হয়রানি করার বিষয়াদিও অস্বীকার করে তিনি বলেন, আমার সঙ্গে ওনার শত্রুতা নাই। বাসার অন্য ভাড়াটিয়ারা মাঝে মাঝে ময়লা ফেলে। আমি তাদের নিষেধ করেছি। পরিষ্কারও করিয়েছি পরিচ্ছন্ন কর্মীকে দিয়ে। তারপরও অনেকে ময়লা ফেলে। আমাকে কর দিতে হয়। অন্যান্য খরচও আছে। এই সামান্য বিষয়ে এত কিছু করার কী আছে… তিনি ভাড়া দিলে দিক। না হলে চলে যাক্।

তবে বিষয়টি নিয়ে মামলা করার প্রসঙ্গে কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি তার।

ডিসেম্বরে আইজ অন লাইফ অফিসে হামলার ঘটনায় কলাবাগান থানার তদন্তকারী পুলিশ কর্মকর্তা এসআই মাহমুদ বলেন, তদন্তের কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে। অভিযুক্তরা বেশ কয়েকদিন পলাতক থাকায় তদন্ত কার্যক্রমে বিলম্ব ঘটছে। এ ছাড়া, কয়েকজন সাক্ষীর নাম-ঠিকানা পাইনি। সেগুলো পেলে দ্রুতই মামলা রুজু হয়ে যাবে।

এ প্রসঙ্গে কলাবাগান থানার অফিসার ইনচার্জের (ওসি) সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেও কোনো সংযোগ স্থাপন করা সম্ভব হয়নি।

প্রসঙ্গত, ‘আইজ অন লাইফ’ একটি বাংলাদেশী আন্তর্জাতিক তথ্য সরবরাহকারী মিডিয়া সংস্থা, যারা ২০১৯ সাল থেকে বিশ্বব্যাপী তথ্য সেবা প্রদান করে আসছে। ২০২৫ সালের ২৬ জুলাই পর্যন্ত বিশ্বের ২০৩টি দেশে তাদের গ্রাহক ছিলো এবং গুগলসহ বিশ্বের বিভিন্ন কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) প্রতিষ্ঠানগুলোও তাদের থেকে তথ্য সংগ্রহ করছে। নির্ভরযোগ্য ও মান সম্মত লেখা ও তথ্যচিত্র প্রকাশ করায় উইকিপিডিয়া, মেলপিডিয়াসহ বিশ্বের বিভিন্ন নামীদামী গবেষণা প্রতিষ্ঠানও রেফারেন্স হিসেবে ‘আইজ অন লাইফ’-কে ব্যবহার করতে শুরু করেছে।

সর্বশেষ খবর পেতে অনুসরণ করুন- “প্রজন্ম কথা”

শেয়ার করুন

আন্তর্জাতিক মিডিয়া সংস্থা ‘আইজ অন লাইফ’-এর বিরুদ্ধে সংঘবদ্ধ হামলা

প্রকাশঃ ০১:১৭:৪৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৮ জুলাই ২০২৫

চুক্তি চলমান থাকলেও জোরপূর্বক উচ্ছেদের চেষ্টা | ছবি: প্রজন্ম কথা


রাজধানীর কলাবাগানে নিজ দপ্তর থেকে মিথ্যা অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশের প্রত্যক্ষ মদদে অবৈধভাবে ‘আইজ অন লাইফ’ নামের একটি আন্তর্জাতিক মিডিয়া সংস্থাকে উচ্ছেদের চেষ্টা করছেন ভবন মালিক মোঃ শফি উদ্দিন।

জানা যায়, গত ৭ জুলাই বিকেল ৩টা ৩০ মিনিটের দিকে কলাবাগান থানার দুইজন পুলিশ সদস্যসহ প্রায় ২৫-৩০ জন ব্যক্তিকে সঙ্গে নিয়ে শফি উদ্দিন তার ভবনে অবস্থিত ‘আইজ অন লাইফ’-এর অফিস থেকে ভাড়াটিয়া দেওয়ান মুসাকে মিথ্যা অভিযোগের ভিত্তিতে অবৈধভাবে উচ্ছেদের চেষ্টা চালান।

কলাবাগান থানার এএসআই সারোয়ার ও একজন কনস্টেবলকে নিয়ে হঠাৎ করেই হাজির হন আইজ অন লাইফ এর কলাবাগান অফিসে সেদিন। তারা সংস্থাটির প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক দেওয়ান মুসাকে বলেন, ভবন মালিক শফি উদ্দিন থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন। সেখানে বলা আছে, দেওয়ান মুসা চুক্তি শেষ হয়ে যাওয়ার পরও সেখানে অবস্থান করছেন এবং এগারো মাস ধরে ভাড়ার টাকা দিচ্ছেন না।

তারা আরও দাবি করেন, মুসা ভাড়াটিয়া ফর্ম পূরণ করতে অস্বীকার করেছেন৷ পাশাপাশি, চুক্তির মেয়াদ শেষ হওয়ার পরও জোর করে সেখানে অবস্থান করছেন। তবে দেওয়ান মুসা তাদের প্রতিটি অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে তথ্যপ্রমাণ উপস্থিত করেছেন বলে জানা যায়।

এ দিকে, উক্ত ভবন মালিক প্রতারণামূলকভাবে ‘আইজ অন লাইফ’-এর কাছ থেকে জোরপূর্বক বিদ্যুৎ বিল আদায় করে আসছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। অথচ চুক্তিপত্রে উল্লেখ করা আছে যে, বিদ্যুৎ বিলের জন্য মালিকপক্ষ জিম্মাদার। এরপরও তিনি উক্ত অফিসের বিদ্যুৎ সংযোগ অবৈধভাবে বিচ্ছিন্ন করেন।

তথ্যপ্রমাণ অনুসারে, দেওয়ান মুসা ২০২৫ সালের মার্চ পর্যন্ত ভাড়া পরিশোধ করে এপ্রিল থেকে ভাড়া প্রদান বন্ধ করেছেন। ভবন মালিক নিয়মিত বাড়ির ময়লা পরিস্কার না করার সঙ্গে সঙ্গে অতিপ্রয়োজনীয় টয়লেট নিয়েও সমস্যার সৃষ্টি করছিলেন বলে অভিযোগ করেন তিনি।

মুসা দাবি করেন, এ সমস্যাগুলির সমাধান করে অবশিষ্ট ভাড়ার টাকা নিয়ে যাওয়ার জন্য ভবন মালিককে বলা হয়েছিল। কিন্তু ভবন মালিক সমস্যার সমাধান না করে অবৈধভাবে সংস্থাটির দপ্তরের কিছু আসবাব ও জিনিসপত্র স্থানান্তর করে দেওয়ান মুসাকে প্রতিনিয়ত হয়রানি করতে থাকেন। ভাড়ার চুক্তিপত্রে দেখা যায়, ভবনটিতে ২০২৫ সালের ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত আইজ অন লাইফের অবস্থানের মেয়াদ রয়েছে।

এ বিষয়ে দেওয়ান মুসা বলেন, এই ভবন মালিকের বিভিন্ন অনৈতিক ও অবৈধ কার্যকলাপ নিয়ে এ যাবৎ পাঁচ বার পুলিশের শরণাপন্ন হলেও পুলিশের তরফ থেকে ন্যূনতম সাড়াও পাওয়া যায়নি। অথচ ভবন মালিকের পক্ষ নিয়ে নানা মিথ্যে অজুহাত ও অভিযোগে তারা আমাকে ঠিকই জবাবদিহি করার নামে হেনস্থা করছে। এই ঘটনার মাত্র কয়েকদিন আগেই আরো দুজন পুলিশকে নিয়ে এসে উক্ত ভবন মালিক দেওয়ান মুসাকে হয়রানী করেন বলেও জানা যায়।

অনুসন্ধান বলছে, আনুমানিক ২৫-৩০ জন ব্যক্তি ৭ জুলাইয়ের ঘটনার সঙ্গে জড়িত ছিলেন। তারা পুলিশের সামনেই দেওয়ান মুসাকে বিভিন্ন বিদ্রুপাত্বক উক্তিসহ হুমকি দিচ্ছিলেন। তাৎক্ষণিকভাবে উক্ত অফিস ছেড়ে দেওয়ার জন্যও চাপ দিচ্ছিলেন মুসাকে তারা। অভিযোগ মিথ্যা প্রমাণিত হওয়ার পরও কলাবাগান থানার এএসআই সারোয়ার পরদিন (৮ জুলাই) দুপুর একটার দিকে আচমকা এসে হাজির হন, এবং দেওয়ান মুসা ব্যক্তিগত কাজে অফিস থেকে বের হলে তাকে জোর করে পার্শ্ববর্তী একটি ভবনে নিয়ে গিয়ে শালিসে বসতে বাধ্য করেন। সেখানে আগে থেকেই তাদের অন্যান্য সহযোগীরা উপস্থিত ছিলো।

এ সময় তারা বিভিন্নভাবে তাদের অবৈধ দাবি মেনে নিতে দেওয়ান মুসাকে চাপ দিতে থাকেন। নানা অজুহাতে তিন মাসের নোটিশ প্রদান করে আইজ অন লাইফকে অফিস ছাড়তে বাধ্য করার সুযোগ থাকার পরও খামখেয়ালিপনা, স্বেচ্ছাচারিতা ও প্রতারণার আশ্রয় নেন ভবন মালিক।

পাশাপাশি, প্রতিটি অভিযোগ মিথ্যা প্রমাণিত হওয়ার পরও এএসআই সারোয়ার আসামীদের পক্ষেই কথা বলে যাচ্ছিলেন বলে অভিযোগ করেন মুসা। থানার প্রতিনিধিদের পক্ষপাতিত্ব নিশ্চিত হওয়ার পর, দেওয়ান মুসা বাড়ি ভাড়া নিয়ন্ত্রণ আইনের বিশেষ ধারার প্রয়োগের মাধ্যমে আদালত থেকে একজন প্রতিনিধিকে ভবন মালিকের কাছে প্রেরণ করেন নোটিশ সহকারে।

এ প্রসঙ্গে দেওয়ান মুসা বলেন, তারা এমন একটি পরিবেশ সৃষ্টি করেছিলো যে আমাকে মারধর ও অপদস্থ হওয়ার হাত থেতে রক্ষা পাওয়ার জন্য তাদের সকল দাবি মেনে নিতে হতো। কিন্তু সৃষ্টিকর্তা আমাকে অবিচল থাকতে সহায়তা করেছেন।

বাস্তবিকভাবে এই ঘটনার শুরু ২০২৪ সালের সেপ্টেম্বর থেকে, যখন দেওয়ান মুসা তার অফিসের বিভিন্ন সমস্যার সমাধান না পেয়ে উকিলের মাধ্যমে ভবন মালিককে একটি যৌক্তিক নোটিশ প্রদান করেছিলেন। নোটিশের মূল বিষয়বস্তু ছিলো অফিসের দক্ষিণ দেয়ালের তিন স্কয়ার ফিটের একটি ছিদ্র মেরামত, ময়লা নিষ্কাশন, বিদ্যুৎ বিল পরিশোধ (যা ভবন মালিক প্রতারণামূলকভাবে ‘আইজ অন লাইফ’এর কাছ থেকে আদায় করছিলেন), এবং কারণে-অকারণে হুমকি প্রদান হতে বিরত থাকা।

তিনটি নোটিশ প্রেরণ করার পর ভবন মালিক উক্ত সমস্যাগুলির কয়েকটির সমাধান ও কয়েকটির বিষয়ে প্রতিশ্রুতি দিলে ২০২৫ সালের জানুয়ারিতে একটি অফিসিয়াল চিঠির মাধ্যমে দেওয়ান মুসা ভবন মালিককে ধন্যবাদ জানান।

কিন্ত এরপর থেকেই আবার সেই পুরোনো সমস্যাগুলির সঙ্গে নতুন সমস্যা যোগ হয়, এবং সমাধান করতে বললে ভবন মালিকও সেগুলো অগ্রাহ্য করতে থাকেন। যার ফলশ্রুতিতে এপ্রিল ২০২৫ থেকে দেওয়ান মুসা ভাড়া প্রদান করা বন্ধ করে দেন।

পরে জুন মাসে পুনরায় নোটিশ প্রদানের কথা বলার পর থেকেই শফি উদ্দিন দেওয়ান মুসার নামে অপপ্রচার করতে শুরু করেন এই বলে যে তিনি অবৈধভাবে তার বাড়িতে অবস্থান করলেও এক বছর ধরে ভাড়া দিচ্ছেন না। এ ছাড়া, স্থানীয় ক্ষমতা প্রয়োগের মাধ্যমে বিভিন্নভাবে মুসাকে হয়রানিও করা হয়। যার ধারাবাহিকতায় ঘটে ৭ জুলাইয়ের ঘটনা।

এ দিকে, ২০২৪ সালের ৪ ডিসেম্বর রমজান নামের স্থানীয় একজন ভাত ব্যবসায়ী কয়েকজন ব্যক্তিকে সঙ্গে নিয়ে আচমকা ‘আইজ অন লাইফ’ অফিসে হামলা করেন বলে অভিযোগ ওঠে। অথচ সে ‘আইজ অন লাইফ’-এর কাছে কোনো অর্থ পেতো না। বরং ‘আইজ অন লাইফ’ তার কাছে টাকা পেতো, এবং উক্ত টাকা ফেরত চাওয়াতেই এই হামলা করা হয় বলে ধারণা অনেকের।

এই হামলায় ‘আইজ অন লাইফ’-এর প্রবেশ দরজা ক্ষতিগ্রস্ত হয় এবং একটি ছবির ফ্রেমও ভেঙে যায়। এ ছাড়াও হামলাকারীকে ভিডিও করার সময় প্রতিষ্ঠানটির একটি ক্যামেরাও ভেঙে ফেলে হামলাকারী রমজান। প্রাণনাশেরও হুমকি দেওয়া হয় মুসাকে। অপ্রত্যাশিত ও অযৌক্তিক এই হামলার প্রাথমিক কারণ হিসেবে উক্ত ভবনের মালিক, তার স্ত্রী এবং তৃতীয় আরেক ব্যক্তিকে সন্দেহের তালিকায় রাখা হয়।

এই হামলার পর ‘আইজ অন লাইফ’ এর প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক দেওয়ান মুসা কলাবাগান থানার ওসির সঙ্গে কথা বলে থানায় একটি লিখিত অভিযোগপত্র জমা দেন, কিন্তু কোনো পুলিশ তদন্তে আসেনি। সপ্তাহব্যাপী অপেক্ষা করার পর দেওয়ান মুসা ঢাকাস্থ সিএমএম আদালতে একটি পিটিশন দায়ের করলে পুলিশ বাধ্যতামূলকভাবে একদিন তদন্তে আসে এবং অদ্যাবধী এ বিষয়ে আর কোনো পদক্ষেপ পরিলক্ষিত হয়নি।

এরপর ভিন্ন ভিন্ন ঘটনায় আরো দুইটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) দায়ের করেন দেওয়ান মুসা, যার একটি ছিলো অফিস থেকে ২৭,০০০ টাকা মূল্যের একটি মোবাইল হারিয়ে যাওয়া সংক্রান্ত। অপর জিডিটি রমজানের হামলার পর করা হয়, যখন তারা মামলা উঠিয়ে নেওয়ার জন্য হুমকি দিতে আসে। দুটি জিডিই ছিল ওই ভবন মালিকের বিরুদ্ধে।

তবে রহস্যজনক কারণে পুলিশ কোনোবারই সাড়া দেয়নি।

রমজানের হামলার ঘটনায় ভবন মালিককে দায়ী করার পেছনে দেওয়ান মুসা যুক্তি দেন যে, আইজ অন লাইফ অফিসে হামলাকারী ভাত ব্যবসায়ী রমজান আমাদের বাড়ি ভাড়ার চুক্তিপত্রের ভবন মালিকের পক্ষের সাক্ষী ছিলেন। এ থেকে স্পষ্ট যে ভবন মালিকের দ্বারা প্রভাবিত হয়ে তিনি এই অন্যায় করেছেন।

এ দিকে, চলতি বছরের ২৭ জুলাই সকালে আইজ অন লাইফ অফিসে প্রবেশের সময়ও দেওয়ান মুসাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন ভবন মালিক। দ্রুত সবকিছু স্থানান্তরের জন্য ঝাড়ু নিয়ে তেড়ে এসে হুমকিও দেন তিনি।

স্থানীয় সুত্রে জানা যায়, এই ভবন মালিক শফি উদ্দিন পলাতক আওয়ামী লীগ নেতা সালেহউদ্দিন ঢালির নিকটাত্মীয় এবং আওয়ামী লীগের ১৭ বছরের দুঃশাসনের একজন সহযোগী ও সমর্থক। এবং যে সকল লোক তাকে সহযোগিতা করছে তারাও একই ব্যক্তি ও মতবাদের অনুসারী।

এ বিষয়ে আশঙ্কা প্রকাশ করে ‘আইজ অন লাইফ’ এর প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক দেওয়ান মুসা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ‘পুলিশ প্রথম থেকেই আসামীদের রক্ষা করার চেষ্টা করে আসছে। এবং আমি নিশ্চিত যে এখন তারা আমাকে গ্রেপ্তার করার জন্যও কোনো না কোনো কারণের অনুসন্ধান নিশ্চয়ই করছে, যেমনটি তারা গত ১৭ বছর করে এসেছে।’

এ বিষয়ে অভিযুক্ত ভবন মালিক শফি উদ্দীন বলেন, চুক্তি অনুযায়ী আমি বিদ্যুৎ বিল দিতাম, যদি মুসা আমার ভাড়া পরিশোধ করতেন। তিনি এগারো মাস ধরে ভাড়া দেন না। আমি বিদ্যুৎ বিল দেব কী করে?

চলতি বছরের অক্টোবর পর্যন্ত চুক্তির মেয়াদ থাকার কথা স্বীকার করলেও ময়লা নিষ্কাশন, আইজ অন লাইফের অফিস কক্ষগুলোর সংস্কার এবং ভবনের নিরাপত্তা নিশ্চিতের বিষয়ে আইনি নোটিশ পাবার পরও কেন কোনো পদক্ষেপ না নিয়ে কেন মুসাকে হয়রানি করা হচ্ছে জানতে চাইলে তিনি কোনো সদুত্তর দিতে পারেননি।

পাশাপাশি, মুসাকে হয়রানি করার বিষয়াদিও অস্বীকার করে তিনি বলেন, আমার সঙ্গে ওনার শত্রুতা নাই। বাসার অন্য ভাড়াটিয়ারা মাঝে মাঝে ময়লা ফেলে। আমি তাদের নিষেধ করেছি। পরিষ্কারও করিয়েছি পরিচ্ছন্ন কর্মীকে দিয়ে। তারপরও অনেকে ময়লা ফেলে। আমাকে কর দিতে হয়। অন্যান্য খরচও আছে। এই সামান্য বিষয়ে এত কিছু করার কী আছে… তিনি ভাড়া দিলে দিক। না হলে চলে যাক্।

তবে বিষয়টি নিয়ে মামলা করার প্রসঙ্গে কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি তার।

ডিসেম্বরে আইজ অন লাইফ অফিসে হামলার ঘটনায় কলাবাগান থানার তদন্তকারী পুলিশ কর্মকর্তা এসআই মাহমুদ বলেন, তদন্তের কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে। অভিযুক্তরা বেশ কয়েকদিন পলাতক থাকায় তদন্ত কার্যক্রমে বিলম্ব ঘটছে। এ ছাড়া, কয়েকজন সাক্ষীর নাম-ঠিকানা পাইনি। সেগুলো পেলে দ্রুতই মামলা রুজু হয়ে যাবে।

এ প্রসঙ্গে কলাবাগান থানার অফিসার ইনচার্জের (ওসি) সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেও কোনো সংযোগ স্থাপন করা সম্ভব হয়নি।

প্রসঙ্গত, ‘আইজ অন লাইফ’ একটি বাংলাদেশী আন্তর্জাতিক তথ্য সরবরাহকারী মিডিয়া সংস্থা, যারা ২০১৯ সাল থেকে বিশ্বব্যাপী তথ্য সেবা প্রদান করে আসছে। ২০২৫ সালের ২৬ জুলাই পর্যন্ত বিশ্বের ২০৩টি দেশে তাদের গ্রাহক ছিলো এবং গুগলসহ বিশ্বের বিভিন্ন কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) প্রতিষ্ঠানগুলোও তাদের থেকে তথ্য সংগ্রহ করছে। নির্ভরযোগ্য ও মান সম্মত লেখা ও তথ্যচিত্র প্রকাশ করায় উইকিপিডিয়া, মেলপিডিয়াসহ বিশ্বের বিভিন্ন নামীদামী গবেষণা প্রতিষ্ঠানও রেফারেন্স হিসেবে ‘আইজ অন লাইফ’-কে ব্যবহার করতে শুরু করেছে।

সর্বশেষ খবর পেতে অনুসরণ করুন- “প্রজন্ম কথা”