ঢাকা ০৮:৫৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ০২ অগাস্ট ২০২৫, ১৮ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সুনামগঞ্জে অর্ধ-বার্ষিক বিচার বিভাগীয় সম্মেলন: ন্যায়বিচারে সমন্বয়ের ওপর গুরুত্বারোপ

তুর্য দাস। সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি
  • প্রকাশঃ ০৮:১২:২৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ২ অগাস্ট ২০২৫
  • / 3

সুনামগঞ্জ জেলা ও দায়রা জজ আদালতের অর্ধ-বার্ষিক বিচার বিভাগীয় সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার সকালে আদালতের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত এই সভায় সভাপতিত্ব করেন সুনামগঞ্জের সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ মো. হেমায়েত উদ্দিন।

সম্মেলনে অংশ নেন নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মুহাম্মদ হাবিবুল্লাহ, চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ রোকন উদ্দিন কবির, অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ তেহসিন ইফতেখার ও মোহাম্মদ কামাল খাঁন, ২৮ বিজিবির সিও লেফটেন্যান্ট কর্নেল একেএম জাকারিয়া কাদির, পুলিশ সুপার তোফায়েল আহাম্মেদ, সিভিল সার্জন ডা. মো. জসিম উদ্দিন, পিবিআই-এর পুলিশ সুপার মুহাম্মদ খালেদ-উজ-জামান এবং অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা) তাপস শীলসহ জেলা পর্যায়ের কর্মকর্তারা।

কোরআন তেলাওয়াত ও গীতা পাঠের মাধ্যমে সম্মেলনের সূচনা হয়। এরপর অতিথিদের পরিচিতি ও স্বাগত বক্তব্যে সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ মো. হেমায়েত উদ্দিন ১৯৫২, ১৯৭১ এবং ২০২৪ সালের আন্দোলনের শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান এবং বিচার বিভাগের কার্যকারিতা বাড়াতে সকলের সহযোগিতা প্রত্যাশা করেন।

সম্মেলনে জানুয়ারি-জুন ২০২৫ মেয়াদে মামলা দায়ের ও নিষ্পত্তির পরিসংখ্যান তুলে ধরেন যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ মুহাম্মদ আকবর হোসেন। ম্যাজিস্ট্রেসির পরিসংখ্যান উপস্থাপন করেন সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ আলমগীর। দেওয়ানি মামলার প্রতিবন্ধকতা বিষয়ে মূল প্রবন্ধ পাঠ করেন সিনিয়র সহকারী জজ মো. জুনাইদ এবং ফৌজদারি বিচার ব্যবস্থার চ্যালেঞ্জ নিয়ে আলোচনা করেন অতিরিক্ত চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ জসিম।

আলোচনায় মামলার দীর্ঘসূত্রতা, বিচারক সংকট, অবকাঠামোগত সীমাবদ্ধতা ইত্যাদি সমস্যা উঠে আসে। উন্মুক্ত আলোচনায় বিচারক, চিকিৎসক, সমাজসেবা কর্মকর্তা ও অন্যান্য বিভাগের প্রতিনিধিরা অংশগ্রহণ করেন। বক্তারা আন্তঃবিভাগীয় সমন্বয়ের মাধ্যমে ন্যায়বিচার নিশ্চিত করার আহ্বান জানান।

ধর্মপাশা চৌকি আদালতে এপিপি নিয়োগ, ট্রাইব্যুনালের কার্যক্রমের অগ্রগতি এবং সীমাবদ্ধতার মধ্যেও মামলার নিষ্পত্তি বৃদ্ধির বিষয়গুলো সম্মেলনে বিশেষভাবে আলোচিত হয়।

সমাপনী বক্তব্যে সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ মো. হেমায়েত উদ্দিন বলেন, “প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে সরকারি দপ্তরগুলোর সৌহার্দ্যপূর্ণ ও কার্যকর সমন্বয় অপরিহার্য।” শেষে তিনি সম্মেলনের সফল আয়োজনের জন্য সবাইকে ধন্যবাদ জানান।

সর্বশেষ খবর পেতে অনুসরণ করুন- “প্রজন্ম কথা”

শেয়ার করুন

সুনামগঞ্জে অর্ধ-বার্ষিক বিচার বিভাগীয় সম্মেলন: ন্যায়বিচারে সমন্বয়ের ওপর গুরুত্বারোপ

প্রকাশঃ ০৮:১২:২৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ২ অগাস্ট ২০২৫

সুনামগঞ্জ জেলা ও দায়রা জজ আদালতের অর্ধ-বার্ষিক বিচার বিভাগীয় সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার সকালে আদালতের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত এই সভায় সভাপতিত্ব করেন সুনামগঞ্জের সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ মো. হেমায়েত উদ্দিন।

সম্মেলনে অংশ নেন নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মুহাম্মদ হাবিবুল্লাহ, চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ রোকন উদ্দিন কবির, অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ তেহসিন ইফতেখার ও মোহাম্মদ কামাল খাঁন, ২৮ বিজিবির সিও লেফটেন্যান্ট কর্নেল একেএম জাকারিয়া কাদির, পুলিশ সুপার তোফায়েল আহাম্মেদ, সিভিল সার্জন ডা. মো. জসিম উদ্দিন, পিবিআই-এর পুলিশ সুপার মুহাম্মদ খালেদ-উজ-জামান এবং অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা) তাপস শীলসহ জেলা পর্যায়ের কর্মকর্তারা।

কোরআন তেলাওয়াত ও গীতা পাঠের মাধ্যমে সম্মেলনের সূচনা হয়। এরপর অতিথিদের পরিচিতি ও স্বাগত বক্তব্যে সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ মো. হেমায়েত উদ্দিন ১৯৫২, ১৯৭১ এবং ২০২৪ সালের আন্দোলনের শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান এবং বিচার বিভাগের কার্যকারিতা বাড়াতে সকলের সহযোগিতা প্রত্যাশা করেন।

সম্মেলনে জানুয়ারি-জুন ২০২৫ মেয়াদে মামলা দায়ের ও নিষ্পত্তির পরিসংখ্যান তুলে ধরেন যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ মুহাম্মদ আকবর হোসেন। ম্যাজিস্ট্রেসির পরিসংখ্যান উপস্থাপন করেন সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ আলমগীর। দেওয়ানি মামলার প্রতিবন্ধকতা বিষয়ে মূল প্রবন্ধ পাঠ করেন সিনিয়র সহকারী জজ মো. জুনাইদ এবং ফৌজদারি বিচার ব্যবস্থার চ্যালেঞ্জ নিয়ে আলোচনা করেন অতিরিক্ত চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ জসিম।

আলোচনায় মামলার দীর্ঘসূত্রতা, বিচারক সংকট, অবকাঠামোগত সীমাবদ্ধতা ইত্যাদি সমস্যা উঠে আসে। উন্মুক্ত আলোচনায় বিচারক, চিকিৎসক, সমাজসেবা কর্মকর্তা ও অন্যান্য বিভাগের প্রতিনিধিরা অংশগ্রহণ করেন। বক্তারা আন্তঃবিভাগীয় সমন্বয়ের মাধ্যমে ন্যায়বিচার নিশ্চিত করার আহ্বান জানান।

ধর্মপাশা চৌকি আদালতে এপিপি নিয়োগ, ট্রাইব্যুনালের কার্যক্রমের অগ্রগতি এবং সীমাবদ্ধতার মধ্যেও মামলার নিষ্পত্তি বৃদ্ধির বিষয়গুলো সম্মেলনে বিশেষভাবে আলোচিত হয়।

সমাপনী বক্তব্যে সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ মো. হেমায়েত উদ্দিন বলেন, “প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে সরকারি দপ্তরগুলোর সৌহার্দ্যপূর্ণ ও কার্যকর সমন্বয় অপরিহার্য।” শেষে তিনি সম্মেলনের সফল আয়োজনের জন্য সবাইকে ধন্যবাদ জানান।

সর্বশেষ খবর পেতে অনুসরণ করুন- “প্রজন্ম কথা”