সীমান্ত পেরিয়ে ভারতে ডাকাতির অভিযোগ: গ্রামবাসীর পিটুনিতে নিহত ১, মেঘালয়ে গ্রেফতার ৬ বাংলাদেশি

- প্রকাশঃ ০৭:৪৬:৪৯ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৪ অগাস্ট ২০২৫
- / 5
ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত | ছবি: সংগৃহীত
ভারতের মেঘালয় রাজ্যের পুলিশ জানিয়েছে, বাংলাদেশ থেকে সীমান্ত পেরিয়ে ডাকাতি করতে আসা ছয়জন বাংলাদেশি নাগরিককে গ্রেফতার করেছে তারা। একই ঘটনায় স্থানীয় গ্রামবাসীর পিটুনিতে আহত আরেকজনকে হাসপাতালে নেওয়ার পর চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। পুলিশ জানিয়েছে, অভিযুক্ত দলের আরও একজন সদস্য এখনো পলাতক এবং তাকে মূল হোতা বলে ধারণা করা হচ্ছে।
গ্রেফতার ব্যক্তিদের কাছ থেকে একটি বাংলাদেশি পুলিশের পরিচয়পত্র, তিনটি ওয়্যারলেস সেট, কিছু বিস্ফোরক, চাকু এবং কাঁটাতারের বেড়া কাটার যন্ত্রসহ মোট ২১টি সামগ্রী উদ্ধার করা হয়েছে। তবে উদ্ধারকৃত পরিচয়পত্রটি আসল কি না, তা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ পুলিশ।
মেঘালয়ের সাউথ ওয়েস্ট খাসি হিলস জেলার পুলিশ সুপার বি. জেরোয়া জানিয়েছেন, গত ৮ আগস্ট ভোরে রঙ্গডাঙ্গাই গ্রামের একটি দোকানে হানা দেয় ৮-৯ জন দুষ্কৃতকারী। তারা দোকানের কর্মচারী বালস্রাং মারাককে হাত বেঁধে অপহরণ করে এবং মারধর করে দোকান মালিকের ব্যাপারে জিজ্ঞাসাবাদ করে। পরে তিনি পালিয়ে এক বাড়িতে আশ্রয় নিলে দুষ্কৃতকারীরা দরজা ভেঙে প্রবেশ করে গুলি ছোড়ে এবং আবারও মারধর করে পালিয়ে যায়।
পুলিশ খবর পেয়ে এলাকায় তল্লাশি চালায় এবং একটি পাথর খনি এলাকায় কুঠার, কাঁটাতার কাটার যন্ত্র, পিস্তলের খোল, চাকু ও বাংলাদেশ পুলিশের পরিচয়পত্র উদ্ধার করে। এর পরদিন বিএসএফ ও মেঘালয় পুলিশের যৌথ অভিযানে গ্রামবাসীর সহায়তায় কুমিল্লা, জামালপুর, নারায়ণগঞ্জ ও সুনামগঞ্জ জেলার ছয়জনকে গ্রেফতার করা হয়।
গত ১১ আগস্ট কাইঠাকোনা গ্রামের বাসিন্দারা শেরপুর জেলার বাসিন্দা আক্রাম নামে একজনকে ধরে মারধর করে বিএসএফের হাতে তুলে দেয়। পরে হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
নেত্রকোনা ও শেরপুর জেলার পুলিশ কর্মকর্তা এবং বিজিবি জানিয়েছে, তারা বিষয়টি সংবাদমাধ্যম থেকেই জেনেছেন; ভারতীয় কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে এখনো আনুষ্ঠানিক কোনো তথ্য পায়নি। উদ্ধার করা পুলিশ পরিচয়পত্রে নম্বর ও জন্মতারিখে অসঙ্গতি থাকায় এটি জাল হতে পারে বলেও সন্দেহ প্রকাশ করা হয়েছে।
মেঘালয় পুলিশ জানিয়েছে, অভিযুক্তরা গত ৬ আগস্ট মহেশখোলা সীমান্ত দিয়ে ভারতে প্রবেশ করে এবং অপহরণ ও ডাকাতির উদ্দেশ্যে এসেছিল বলে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করেছে। তবে সীমান্ত থেকে এত দূরে গিয়ে তারা নির্দিষ্ট ব্যবসায়ীকে টার্গেট করল কীভাবে, তা এখনো তদন্তাধীন।