রায়পুরে ইউনিয়ন বিএনপির কমিটি: খুনের মামলার আসামিরা শীর্ষ পদে

- প্রকাশঃ ০৬:৩৭:৫২ অপরাহ্ন, শনিবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৫
- / 25
ফারুক কবিরাজ, ইমাম হোসেন গাজী ও আরিফ মাহমুদ কবির মাতব্বর। ছবি: স্থানীয় নেতা–কর্মীদের কাছ থেকে সংগৃহীত
লক্ষ্মীপুরের রায়পুর উপজেলার উত্তর চরবংশী ইউনিয়ন বিএনপির নতুন কমিটিতে খুনের মামলার তিন আসামিকে সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক ও সাংগঠনিক সম্পাদক করা হয়েছে। এ নিয়ে তৃণমূল নেতা–কর্মীদের মধ্যে ক্ষোভ দেখা দিয়েছে।
গত ২৬ আগস্ট ঘোষিত কমিটিতে সভাপতি হয়েছেন মো. ফারুক কবিরাজ। তিনি সাইজুদ্দিন দেওয়ান হত্যা মামলার প্রধান আসামি। একই কমিটিতে সাধারণ সম্পাদক হয়েছেন ইমাম হোসেন গাজী ও সাংগঠনিক সম্পাদক হয়েছেন আরিফ মাহমুদ কবির মাতব্বর—দুজনের বিরুদ্ধেও হত্যা মামলার অভিযোগ রয়েছে।
এ বছরের ৭ এপ্রিল বিএনপির দুই পক্ষের সংঘর্ষে সাইজুদ্দিন দেওয়ান নিহত হন। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান আরেক কর্মী জসিম উদ্দিন ব্যাপারী। দুটি ঘটনার পর রায়পুর থানায় হত্যা মামলা হয়, যাতে নতুন কমিটির তিন নেতা আসামি হিসেবে রয়েছেন।
দলীয় সূত্রে জানা গেছে, শুরুতে ভোটের তফসিল ঘোষণা করা হলেও শেষ মুহূর্তে সমঝোতার মাধ্যমে কমিটি গঠন করা হয়। দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রিসাইডিং কর্মকর্তা ও উপজেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক ছালেহ আহাম্মদ বলেন, “দলের একজন নেতার নির্দেশে খুনের মামলার আসামিদের দিয়ে কমিটি করতে বাধ্য হয়েছি। তবে আমি মনে করি, এটি দলীয় সিদ্ধান্তের সঙ্গে সাংঘর্ষিক। এতে সাধারণ মানুষের কাছে বিএনপির ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হবে।”
স্থানীয় চারজন নেতা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, হত্যা মামলার আসামিদের শীর্ষ পদে রাখায় এবং ভোট ছাড়াই সমঝোতার মাধ্যমে কমিটি গঠন করায় নেতা–কর্মীরা ক্ষুব্ধ হয়েছেন।
অভিযোগ অস্বীকার করে সভাপতি ফারুক কবিরাজসহ অন্য দুই নেতা দাবি করেছেন, রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ তাঁদের ষড়যন্ত্রমূলকভাবে মামলায় জড়িয়েছে।
রায়পুর থানার ওসি নিজাম উদ্দিন ভূঁইয়া বলেন, বিএনপির দুই গ্রুপের সংঘর্ষে দুটি হত্যা মামলা হয়েছে। মামলাগুলো এখনো তদন্তাধীন। তদন্ত শেষে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করা হবে। স্থানীয়ভাবে এ ধরনের মামলা আপস–মীমাংসার সুযোগ নেই।