ভাড়া বাসা থেকে নোবিপ্রবি শিক্ষার্থীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার

- প্রকাশঃ ০১:৪১:৪২ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫
- / 39
নোয়াখালীর মাইজদীর ভাড়া বাসা থেকে ফাহিমা সুলতানা মারিয়ার মরদেহ উদ্ধার | প্রতিকী ছবি
নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (নোবিপ্রবি) এক শিক্ষার্থী গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। নিহতের নাম ফাহিমা সুলতানা মারিয়া (২৪)। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের ফলিত গণিত বিভাগের ২০২০-২১ সেশনের শিক্ষার্থী ও চতুর্থ বর্ষে অধ্যয়নরত ছিলেন।
শুক্রবার (২৬ সেপ্টেম্বর) নোয়াখালীর সুধারাম থানাধীন মাইজদী রশিদ কলোনি এলাকার হোসেন টাওয়ারের একটি ভাড়া বাসা থেকে তাঁর মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, পূজার ছুটিতে সহপাঠীরা বাড়ি চলে যাওয়ায় বাসায় একাই ছিলেন মারিয়া। বিকালে পরিবারের সদস্যরা বারবার ফোন দিলেও সাড়া না পাওয়ায় এক আত্মীয় ও বন্ধু-বান্ধবরা সন্ধ্যার দিকে বাসায় আসেন। দীর্ঘ ডাকাডাকির পর কোনো সাড়া না মেলায় দরজা ভেঙে ভেতরে ঢুকে তাঁরা জানালার গ্রিলে ওড়না পেঁচানো অবস্থায় ঝুলন্ত দেহ দেখতে পান। এরপর পুলিশকে খবর দেওয়া হয়।
পরিবার সূত্রে জানা যায়, সকালে ফোনে পরিবারের সঙ্গে কথা বলে মারিয়া জানিয়েছিলেন তিনি ঢাকায় চিকিৎসার জন্য যাবেন। বিকাল থেকে তাঁর ফোন বন্ধ থাকায় পরিবারের দুশ্চিন্তা বাড়ে। পরে বন্ধুদের সহায়তায় বাসায় খোঁজ নিতে গিয়ে মরদেহ পাওয়া যায়।
এদিকে ঘটনার কিছুক্ষণ আগে বিকাল তিনটার দিকে মারিয়ার এক ঘনিষ্ঠ বন্ধু ভিডিও কলে কথা বলেছিলেন। এরপর থেকে তাঁর ফোন আর রিসিভ হয়নি। মোবাইল ফোন পরীক্ষা করে এমন তথ্যই পাওয়া গেছে। জানা গেছে, ফেসবুক লাইভ অপশন চালু থাকলেও তা কার্যকর হয়নি। পরিবার আরও জানিয়েছে, মানসিক অসুস্থতার কারণে তিনি পূর্বেও চিকিৎসা নিয়েছিলেন।
সুধারাম মডেল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মোহাম্মদ মনির হোসেন বলেন, “আমরা এসে শিক্ষার্থীকে জানালার সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় পাই। প্রাথমিকভাবে আত্মহত্যা মনে হলেও, ময়নাতদন্তের পর বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া যাবে।”
শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত কোনো অভিযোগ দায়ের করা হয়নি। মরদেহ দাফনের জন্য স্বজনরা নিজ গ্রামে নিয়ে গেছেন।