ঢাকা ০৮:২০ অপরাহ্ন, বুধবার, ০৫ নভেম্বর ২০২৫, ২১ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

পাকা কলা ঘুষ’ নেওয়া সেই আলমগীর সাময়িক বরখাস্ত

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশঃ ০৮:২০:০২ অপরাহ্ন, বুধবার, ৫ নভেম্বর ২০২৫
  • / 1

যশোর জেলা পরিষদের উচ্চমান সহকারী আলমগীর হোসেনকে ঘুষ হিসেবে পাকা কলা গ্রহণের ঘটনায় সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। বুধবার (৫ নভেম্বর) জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এস. এম. শাহীন স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশে এ সিদ্ধান্ত জানানো হয়।

এর আগে, দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) গত ২৬ অক্টোবর যশোর শিল্পকলা একাডেমিতে এক গণশুনানি আয়োজন করে। সেখানে জেলা পরিষদের জমি ইজারার বিষয়ে ঘুষ নেওয়ার অভিযোগের মুখোমুখি হন আলমগীর হোসেন। গণশুনানিতে তিনি নগদ অর্থ নেওয়ার কথা অস্বীকার করলেও ঘুষ হিসেবে “পাকা কলা” গ্রহণের কথা স্বীকার করেন।

দুদক কমিশনার (তদন্ত) মিঞা মুহাম্মদ আলি আকবার আজিজী ও চেয়ারম্যান ড. মোহাম্মদ আবদুল মোমেন তখনই তার বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেন। সেই নির্দেশের প্রেক্ষিতে জেলা পরিষদ থেকে আলমগীর হোসেনকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।

জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এস. এম. শাহীন বলেন, “উচ্চমান সহকারী আলমগীর হোসেনকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা করা হবে। তদন্তে অভিযোগ প্রমাণিত হলে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

প্রসঙ্গত, অভিযোগকারী রুস্তম আলী দাবি করেছেন, পাকা কলা ছাড়াও আলমগীর তার কাছ থেকে ১০ হাজার টাকা ঘুষ নিয়েছেন এবং পরবর্তীতে আরও ৬ লাখ টাকা দাবি করেছিলেন। টাকা না দেওয়ায় জেলা পরিষদের জমির ডিসিআর অন্য একজনকে প্রদান করেন বলে অভিযোগ রয়েছে।

এই ঘটনায় জেলা পরিষদের সুনাম ক্ষুণ্ণ হয়েছে বলে উল্লেখ করেছে প্রশাসন।

সর্বশেষ খবর পেতে অনুসরণ করুন- “প্রজন্ম কথা”

প্রাসঙ্গিক

শেয়ার করুন

পাকা কলা ঘুষ’ নেওয়া সেই আলমগীর সাময়িক বরখাস্ত

প্রকাশঃ ০৮:২০:০২ অপরাহ্ন, বুধবার, ৫ নভেম্বর ২০২৫

যশোর জেলা পরিষদের উচ্চমান সহকারী আলমগীর হোসেনকে ঘুষ হিসেবে পাকা কলা গ্রহণের ঘটনায় সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। বুধবার (৫ নভেম্বর) জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এস. এম. শাহীন স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশে এ সিদ্ধান্ত জানানো হয়।

এর আগে, দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) গত ২৬ অক্টোবর যশোর শিল্পকলা একাডেমিতে এক গণশুনানি আয়োজন করে। সেখানে জেলা পরিষদের জমি ইজারার বিষয়ে ঘুষ নেওয়ার অভিযোগের মুখোমুখি হন আলমগীর হোসেন। গণশুনানিতে তিনি নগদ অর্থ নেওয়ার কথা অস্বীকার করলেও ঘুষ হিসেবে “পাকা কলা” গ্রহণের কথা স্বীকার করেন।

দুদক কমিশনার (তদন্ত) মিঞা মুহাম্মদ আলি আকবার আজিজী ও চেয়ারম্যান ড. মোহাম্মদ আবদুল মোমেন তখনই তার বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেন। সেই নির্দেশের প্রেক্ষিতে জেলা পরিষদ থেকে আলমগীর হোসেনকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।

জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এস. এম. শাহীন বলেন, “উচ্চমান সহকারী আলমগীর হোসেনকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা করা হবে। তদন্তে অভিযোগ প্রমাণিত হলে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

প্রসঙ্গত, অভিযোগকারী রুস্তম আলী দাবি করেছেন, পাকা কলা ছাড়াও আলমগীর তার কাছ থেকে ১০ হাজার টাকা ঘুষ নিয়েছেন এবং পরবর্তীতে আরও ৬ লাখ টাকা দাবি করেছিলেন। টাকা না দেওয়ায় জেলা পরিষদের জমির ডিসিআর অন্য একজনকে প্রদান করেন বলে অভিযোগ রয়েছে।

এই ঘটনায় জেলা পরিষদের সুনাম ক্ষুণ্ণ হয়েছে বলে উল্লেখ করেছে প্রশাসন।

সর্বশেষ খবর পেতে অনুসরণ করুন- “প্রজন্ম কথা”