ঢাকা ১০:৪১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ০৭ নভেম্বর ২০২৫, ২৩ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

কুষ্টিয়ায় মর্মান্তিক ঘটনা: প্রতিবন্ধী সন্তানকে হত্যার পর মায়ের আত্মহত্যা

কুষ্টিয়া প্রতিনিধি
  • প্রকাশঃ ০২:৪৪:৪৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৭ নভেম্বর ২০২৫
  • / 3

কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলায় এক হৃদয়বিদারক ঘটনা ঘটেছে। আড়াই বছর বয়সী প্রতিবন্ধী কন্যা সন্তানকে গলায় রশি পেঁচিয়ে হত্যার পর আত্মহত্যা করেছেন এক গৃহবধূ।
বৃহস্পতিবার (৬ নভেম্বর) সন্ধ্যা ৭টার দিকে উপজেলার রামকৃষ্ণপুর ইউনিয়নের ইনসাফনগর গ্রামে এ মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে।

স্থানীয় সূত্র ও পুলিশ জানায়, সৌদি প্রবাসী রহিদুল ইসলামের স্ত্রী রেশমা খাতুন (২৫) দীর্ঘদিন ধরে পারিবারিক অশান্তি ও আর্থিক সংকটে ভুগছিলেন। মানসিক অশান্তির এক পর্যায়ে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় তিনি তার প্রতিবন্ধী মেয়ে লামিয়াকে (২) গলায় রশি পেঁচিয়ে হত্যা করেন। এরপর নিজেও ঘরের আড়ার সঙ্গে ফাঁস নিয়ে আত্মহত্যা করেন।

প্রতিবেশীরা জানায়, রেশমা খাতুনকে ডাকাডাকি করে সাড়া না পেয়ে তারা জানালা দিয়ে উঁকি দিয়ে দেখেন তিনি ঝুলন্ত অবস্থায় আছেন। পরে দরজা ভেঙে প্রবেশ করে মা ও মেয়ের নিথর দেহ দেখতে পান তারা এবং দ্রুত পুলিশে খবর দেন।

দৌলতপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি মো. সোলয়মান শেখ) জানান,

খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে মা ও মেয়ের মরদেহ উদ্ধার করে থানায় আনে। শুক্রবার সকালে তাদের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, প্রতিবন্ধী শিশুকে কেন্দ্র করে ও দীর্ঘদিনের পারিবারিক অশান্তির জেরে এ আত্মহত্যার ঘটনা ঘটেছে।

সর্বশেষ খবর পেতে অনুসরণ করুন- “প্রজন্ম কথা”

শেয়ার করুন

কুষ্টিয়ায় মর্মান্তিক ঘটনা: প্রতিবন্ধী সন্তানকে হত্যার পর মায়ের আত্মহত্যা

প্রকাশঃ ০২:৪৪:৪৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৭ নভেম্বর ২০২৫

কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলায় এক হৃদয়বিদারক ঘটনা ঘটেছে। আড়াই বছর বয়সী প্রতিবন্ধী কন্যা সন্তানকে গলায় রশি পেঁচিয়ে হত্যার পর আত্মহত্যা করেছেন এক গৃহবধূ।
বৃহস্পতিবার (৬ নভেম্বর) সন্ধ্যা ৭টার দিকে উপজেলার রামকৃষ্ণপুর ইউনিয়নের ইনসাফনগর গ্রামে এ মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে।

স্থানীয় সূত্র ও পুলিশ জানায়, সৌদি প্রবাসী রহিদুল ইসলামের স্ত্রী রেশমা খাতুন (২৫) দীর্ঘদিন ধরে পারিবারিক অশান্তি ও আর্থিক সংকটে ভুগছিলেন। মানসিক অশান্তির এক পর্যায়ে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় তিনি তার প্রতিবন্ধী মেয়ে লামিয়াকে (২) গলায় রশি পেঁচিয়ে হত্যা করেন। এরপর নিজেও ঘরের আড়ার সঙ্গে ফাঁস নিয়ে আত্মহত্যা করেন।

প্রতিবেশীরা জানায়, রেশমা খাতুনকে ডাকাডাকি করে সাড়া না পেয়ে তারা জানালা দিয়ে উঁকি দিয়ে দেখেন তিনি ঝুলন্ত অবস্থায় আছেন। পরে দরজা ভেঙে প্রবেশ করে মা ও মেয়ের নিথর দেহ দেখতে পান তারা এবং দ্রুত পুলিশে খবর দেন।

দৌলতপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি মো. সোলয়মান শেখ) জানান,

খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে মা ও মেয়ের মরদেহ উদ্ধার করে থানায় আনে। শুক্রবার সকালে তাদের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, প্রতিবন্ধী শিশুকে কেন্দ্র করে ও দীর্ঘদিনের পারিবারিক অশান্তির জেরে এ আত্মহত্যার ঘটনা ঘটেছে।

সর্বশেষ খবর পেতে অনুসরণ করুন- “প্রজন্ম কথা”