চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) দীর্ঘ ৯ বছর পর আগামী ১৪ মে আয়োজন করতে যাচ্ছে পঞ্চম সমাবর্তন। কেন্দ্রীয় খেলার মাঠে অনুষ্ঠিতব্য এই আয়োজনে অংশ নিচ্ছেন ২২,৫৯৭ জন গ্র্যাজুয়েট। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন নোবেল বিজয়ী ও অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের মাননীয় প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূস, যিনি সমাবর্তনে ‘ডক্টর অফ লেটার্স (ডি.লিট)’ সম্মাননা গ্রহণ করবেন।
সমাবর্তনকে ঘিরে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন দিনরাত কাজ করে চলেছে। পরিচ্ছন্নতা অভিযান, সৌন্দর্য বর্ধন, আলোকসজ্জা ও অবকাঠামোগত উন্নয়নসহ চলছে নানামুখী প্রস্তুতি। ক্যাম্পাসের চারপাশ জুড়ে ফুটে আছে জারুল, সোনালু, কৃষ্ণচূড়ার বাহারি রঙ, যা সমাবর্তনের উৎসবকে আরও বর্ণিল করে তুলেছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগে সমাবর্তনের সরঞ্জাম বিতরণ কার্যক্রম চলছে। অংশগ্রহণকারীরা পাবেন মানিব্যাগ, কলম, ম্যাগাজিন, চবির লোগো সংবলিত কোট পিন, গাউন ও টুপি, এবং উপাচার্যের স্বাক্ষরযুক্ত সনদপত্র।
চবি উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মো. কামাল উদ্দিন বলেন, “সমাবর্তনের এই উদ্দীপনা শুধু শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের জন্য নয়, বরং পুরো জাতির জন্য গর্বের বিষয়। ড. ইউনূস স্যারকে আনতে পারা আমাদের বড় অর্জন।”
নিরাপত্তা ব্যবস্থাও গ্রহণ করা হয়েছে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে। প্রধান উপদেষ্টার নিরাপত্তা সহকারী, এসএসএফ ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী থাকবেন দায়িত্বে।
কমিটির সদস্য সচিব ও চবি পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক (ভারপ্রাপ্ত) এনায়েত উল্যা পাটোয়ারী বলেন, “এক লক্ষ বর্গফুট এলাকা জুড়ে তৈরি হচ্ছে প্যান্ডেল। সমাবর্তনের দিন শহর থেকে শিক্ষার্থীদের যাতায়াতে থাকবে ১০০টি বাস এবং চলবে শাটল ট্রেন।”
২০১৬ সালের পর এই প্রথম এমন আয়োজন—যা ঘিরে ক্যাম্পাসজুড়ে তৈরি হয়েছে উদ্দীপনা, ব্যস্ততা আর স্মৃতিময় এক আবহ। শিক্ষার্থীদের জন্য এটি কেবল একটি সমাবর্তন নয়, বরং তাদের দীর্ঘ শিক্ষাজীবনের স্বীকৃতির এক গর্বিত মুহূর্ত।
