দীর্ঘ কারাবাসের অবসান ঘটিয়ে মুক্তি পাওয়া এটিএম আজহারুল ইসলামকে কেন্দ্র করে আজ বৃহস্পতিবার (সকাল ৯টা) রাজধানীর শাহবাগ চত্বরে আয়োজিত হয়েছে এক ব্যতিক্রমধর্মী গণসংবর্ধনা। এই আয়োজনকে শুধুমাত্র একজন ব্যক্তির মুক্তির উৎসব নয়, বরং একটি দীর্ঘদিনের সংগ্রামের অর্জন এবং ন্যায়ের প্রতিফলন হিসেবে দেখা হচ্ছে।
আয়োজকদের পক্ষ থেকে জানানো হয়, এই গণসংবর্ধনার মূল উদ্দেশ্য হল একটি আদর্শ, একটি বিশ্বাস এবং জনগণের গভীর আকাঙ্ক্ষার সম্মান প্রদর্শন। এটিএম আজহারুল ইসলামের মুক্তিকে ঘিরে ইতোমধ্যে সমাজের সর্বস্তরে ব্যাপক উদ্দীপনা তৈরি হয়েছে।
রাজধানীর বিভিন্ন ওয়ার্ডের দায়িত্বপ্রাপ্তদের সকাল ৮টার মধ্যেই জনসমর্থকদের নিয়ে শাহবাগে উপস্থিত হতে বলা হয়। অনুষ্ঠানটি যেন শৃঙ্খলাবদ্ধ ও সময়ানুবর্তীভাবে সম্পন্ন হয়, সে লক্ষ্যে আয়োজক কমিটি বিস্তারিত প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে।
শাহবাগ চত্বরে এখন উৎসবমুখর পরিবেশ। রাস্তাঘাট ব্যানার, ফেস্টুন ও পোস্টারে ছেয়ে গেছে। অনুষ্ঠানে সাধারণ জনগণের পাশাপাশি রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ, ছাত্র-যুব সমাজ, পেশাজীবী প্রতিনিধি ও সমাজসেবীদের অংশগ্রহণ প্রত্যাশা করা হচ্ছে।
আয়োজনের অংশ হিসেবে এটিএম আজহারুল ইসলামের সংগ্রাম, তাঁর অবদান এবং সাম্প্রতিক প্রেক্ষাপটে তাঁর গুরুত্ব নিয়ে সংক্ষিপ্ত বক্তব্য প্রদান করা হবে। পাশাপাশি, দেশ ও জাতির কল্যাণ কামনায় একটি দোয়া মাহফিলও অনুষ্ঠিত হবে।
বহুল জনসমাগমের সম্ভাবনাকে কেন্দ্র করে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পক্ষ থেকেও নেওয়া হয়েছে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা। আয়োজকেরা বিশেষ স্বেচ্ছাসেবক দল গঠন করে জনস্রোত ব্যবস্থাপনায় সক্রিয়ভাবে নিয়োজিত রয়েছে।
অনুষ্ঠান নিয়ে এক স্থানীয় দায়িত্বশীল নেতা বলেন, “এই গণসংবর্ধনা শুধুমাত্র একজন মানুষের মুক্তিকে ঘিরে নয়, বরং এটি একটি জাতির চেতনাগত বিজয়ের প্রতীক। আমরা এখানে একটি ঐক্যবদ্ধ বার্তা দিতে চাই—ন্যায় ও আদর্শের পথে সংগ্রাম কখনো বৃথা যায় না।”
এই আয়োজন শুধুমাত্র একটি অনুষ্ঠান নয়, বরং একটি বার্তা—যেখানে জাতি তার ন্যায়বিচার, মূল্যবোধ ও সম্মিলিত আকাঙ্ক্ষাকে উদযাপন করছে।
প্রতিবেদকঃওমর ফারুক
