ঢাকা ০৪:০৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ১০ অগাস্ট ২০২৫, ২৬ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে ক্লাস, সাত দফা দাবিতে নজরুল কলেজ শিক্ষার্থীদের রাস্তায় বিক্ষোভ

  • প্রকাশঃ ০৭:১৮:১৬ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৭ মে ২০২৫
  • / 58

‎রাজধানীর প্রাণকেন্দ্রে অবস্থিত কবি নজরুল সরকারি কলেজে আজ দিনভর উত্তেজনা। ‌ছাত্রাবাস সংস্কার, শ্রেণিকক্ষের সংকট ও নিরাপদ পরিবহন নিশ্চিতসহ সাত দফা দাবিতে আজ ক্লাস ফেলে রাস্তায় নেমেছেন এই ঐতিহ্যবাহী প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা। দাবি করছেন, বছরের পর বছর ধরে সমস্যাগুলো জানানো হলেও কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে কোনো কার্যকর পদক্ষেপ নেই। এজন্য আজ রাস্তায় বিক্ষোভ করছে কবি নজরুল কলেজের হাজারো শিক্ষার্থী।ক্যাম্পাসের সকল ক্রিয়াশীল সংগঠন গুলোও শিক্ষার্থীদের যোক্তিক দাবিগুলোর সাথে একাত্মতা ঘোষণা করে আন্দোলনে সামিল হয়েছেন।

‎শুধু দাবি নয়, কবি নজরুল কলেজের বাস্তবতা ভয়াবহ। রাজউক কর্তৃক ‘ঝুঁকিপূর্ণ’ হিসেবে চিহ্নিত একটি ছয়তলা ভবনে এখনও প্রতিদিন চলে ক্লাস। নিচতলায় রিডিং রুম, দ্বীতিয় তলায় পাঠাগার, উপরের তলায় শ্রেণিকক্ষ ও বিভাগীয় অফিস সবই বসে আছে অনিশ্চয়তার ছায়ায়। শিক্ষক-শিক্ষার্থী সবাই জানেন ভবনটি বিপজ্জনক, কিন্তু বিকল্প ব্যবস্থা নেই।
‎একজন শিক্ষার্থীর হতাশা কণ্ঠে বলেন,
‎”ক্লাস করতে এসে কেউ যদি প্রাণ হারায়, দায় কে নেবে?”

‎কলেজের একমাত্র ছাত্রাবাস শহীদ শামসুল আলম হল শত বছরের পুরনো পরিত্যক্ত ভবন। পলেস্তারা খসে পরা , বারন্দার রিলিং ভাঙ্গা,নেই নিরাপদ পানি, নেই শৌচাগার ব্যবস্থাও। এই জরাজীর্ণ ভবনে জীবন ঝুঁকি নিয়ে বসবাস বাধ্য হয়েই করছে বলছেন শিক্ষার্থীরা। জানা যায়, অস্বাস্থ্যকর পানি খেয়ে প্রায় সময় পেটের পীড়ায় ভুগে অনেক শিক্ষার্থী। কলেজ প্রশাসনকে বিভিন্ন সময় জানালেও উল্লেখযোগ্য কোনো উদ্যোগ নেয়নি বলছেন আবাসিক শিক্ষার্থীরা।

‎ছাত্রদলের নেতা রুমান আহমেদ বলেন,
‎“ দীর্ঘদিন ধরেই বলছি, হলটা বসবাসের উপযোগী নয়। মেরামত হয়নি। বিভিন্ন সময় হতাহতের ঘটনাও ঘটেছে। মাঝে মাঝেই সাদের ঢালায় খসে মাথায় আঘাত পায়,রেলিং ভেঙে পড়ে যায় কিন্তু প্রশাসন তেমন উদ্যোগ নেয়নি। কীভাবে থাকবে শিক্ষার্থীরা? আমরা চায় কলেজ প্রশাসন খুব তাড়াতাড়ি হল সংস্কার এর উদ্যোগ যেন নেয়।”

‎একাধিক বিভাগে দীর্ঘদিন ধরে শিক্ষক সংকট চলমান। শ্রেণীকক্ষের সংকট এতটাই ভয়াবহ যে অনেক সময় শিক্ষার্থীরা বারান্দায় দাঁড়িয়ে ক্লাস করেন। কোনো কোনো বিভাগে শিক্ষার্থীর তুলনায় ক্লাসরুমের সংখ্যা এক-চতুর্থাংশ মাত্র। বিজ্ঞানের চর্চা হয় ‘বারান্দা ল্যাব’, যন্ত্রপাতি রোদ-বৃষ্টির মধ্যে, কাচের আলমারিতে নয়, র‍্যাক বিহীন খোলা জায়গায়। কম্পিউটার ল্যাবের ছাদে সামান্য বৃষ্টি হলেই পানি পড়ে সরাসরি যন্ত্রে দেখলে মনে হবে, রুম নয়, ভগ্ন শিক্ষা ভবন।

‎শিক্ষক সংকট যেন প্রতিষ্ঠানের আরেক নীরব ব্যাধি। একজন শিক্ষককে একাধিক বিভাগের ক্লাস নিতে হয় ইন্টারমিডিয়েট, স্নাতক সব মিলিয়ে চাপ এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে, মানসম্মত পাঠদান অনেকাংশেই সম্ভব হচ্ছে না। শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, শিক্ষকের অভাবে অনেক কোর্স সময়মতো শেষ হয় না, আবার গবেষণামূলক কাজ বা সেমিনারও নিয়মিত ব্যাহত হচ্ছে।

‎যারা দূর-দূরান্ত থেকে কলেজে আসেন, তাদের প্রধান সমস্যা পরিবহন। সরকারি এই কলেজে শিক্ষার্থীদের জন্য রয়েছে ভাড়ায় চালিত মাত্র দুটি বাস। যা বেশিরভাগ সময় বন্ধ থাকতে দেখা যায়। গণপরিবহনে উঠে শিক্ষার্থীরা শুধু সময় হারান না, মানসিক ও শারীরিকভাবে ক্লান্ত হয়ে পড়েন। অথচ প্রত্যেক বছর পরিবহণ খরচ বাবদ শিক্ষার্থীদের কাছে নেওয়া হয় কোটি টাকা। ১৭ হাজার শিক্ষার্থীর জন্য মাত্র দুটি ভাড়ায় বাস। শিক্ষার্থীদের প্রশ্ন পরিবহন খাতের কোটি টাকা ব্যয় হয় কোথায়?

‎উত্তরা থেকে আসা প্রাণীবিদ্যা বিভাগের ছাত্রী জান্নাতুল ফেরদৌস বলেন,” আমাদের বাস নেই, ক্লাসরুম নেই, শান্তিপূর্ণ পড়ার পরিবেশ নেই। পরিবহন খরচ বাবদ প্রত্যেক বছর ৬০০ টাকা দেই।কিন্তু সেবার মান শূন্য। আমাদের টাকার হিসাব চাই।
‎কলেজটির অধ্যক্ষ মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান বলেন, শিক্ষার্থীদের কাছে যে খাতে টাকা নেওয়া হয়, সেই খাতেই ওই টাকা ব্যয় হয়।
‎মাঝে মাঝে শিক্ষার্থীদের ঝামেলার কারণে বাস বন্ধ রাখতে হয়। নতুন বাস ক্রয়ের ব্যাপারে জানতে চাইলে বলেন, মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্তই আমাদের মেনে চলতে হয়। আমরা চাইলেই একটা গাড়ি কিনতে পারি না, আমাদের অনেক বাধা বিপত্তি থাকে ।

‎এই প্রথম নয় ,২০২৯,২০২১,২০২৩ সালেও শিক্ষার্থীরা দশ দফা দাবিতে বিক্ষোভ করেছিলেন। সেই আন্দোলনেরও বেশিরভাগ দাবিই ছিল হল ও শ্রেণিকক্ষ ঘিরে। কর্তৃপক্ষ প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল, কিন্তু বাস্তবে কিছুই হয়নি।

‎ উল্লেখ্য, শিক্ষার্থীদের দাবি সমূহ:
‎১. হল সংস্কার ও হলের জন্য নতুন জায়গা বরাদ্দ করতে হবে।
‎২. ছাত্র এবং ছাত্রীদের জন্য নতুন হল নির্মাণ।
‎৩. শিক্ষার্থীদের জন্য পর্যাপ্ত পরিবহন ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে।
‎৪. শ্রেণীকক্ষের সংকট নিরসনে বহুতল ভবন নির্মাণ করতে হবে।
‎৫. ক্যাম্পাস সম্প্রসারণের জন্য নতুন জায়গা বরাদ্দ করতে হবে।
‎৬. কলেজের ঝুঁকিপূর্ণ ভবন ভেঙে নতুন ভবন নির্মাণ করতে হবে।
‎৭. দ্রুত সময়ের মধ্যে শিক্ষক সংকট নিরসন করতে হবে।

প্রতিবেদক : আব্দুল্লাহ্ খান

সর্বশেষ খবর পেতে অনুসরণ করুন-“প্রজন্ম কথা”

প্রাসঙ্গিক

শেয়ার করুন

ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে ক্লাস, সাত দফা দাবিতে নজরুল কলেজ শিক্ষার্থীদের রাস্তায় বিক্ষোভ

প্রকাশঃ ০৭:১৮:১৬ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৭ মে ২০২৫

‎রাজধানীর প্রাণকেন্দ্রে অবস্থিত কবি নজরুল সরকারি কলেজে আজ দিনভর উত্তেজনা। ‌ছাত্রাবাস সংস্কার, শ্রেণিকক্ষের সংকট ও নিরাপদ পরিবহন নিশ্চিতসহ সাত দফা দাবিতে আজ ক্লাস ফেলে রাস্তায় নেমেছেন এই ঐতিহ্যবাহী প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা। দাবি করছেন, বছরের পর বছর ধরে সমস্যাগুলো জানানো হলেও কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে কোনো কার্যকর পদক্ষেপ নেই। এজন্য আজ রাস্তায় বিক্ষোভ করছে কবি নজরুল কলেজের হাজারো শিক্ষার্থী।ক্যাম্পাসের সকল ক্রিয়াশীল সংগঠন গুলোও শিক্ষার্থীদের যোক্তিক দাবিগুলোর সাথে একাত্মতা ঘোষণা করে আন্দোলনে সামিল হয়েছেন।

‎শুধু দাবি নয়, কবি নজরুল কলেজের বাস্তবতা ভয়াবহ। রাজউক কর্তৃক ‘ঝুঁকিপূর্ণ’ হিসেবে চিহ্নিত একটি ছয়তলা ভবনে এখনও প্রতিদিন চলে ক্লাস। নিচতলায় রিডিং রুম, দ্বীতিয় তলায় পাঠাগার, উপরের তলায় শ্রেণিকক্ষ ও বিভাগীয় অফিস সবই বসে আছে অনিশ্চয়তার ছায়ায়। শিক্ষক-শিক্ষার্থী সবাই জানেন ভবনটি বিপজ্জনক, কিন্তু বিকল্প ব্যবস্থা নেই।
‎একজন শিক্ষার্থীর হতাশা কণ্ঠে বলেন,
‎”ক্লাস করতে এসে কেউ যদি প্রাণ হারায়, দায় কে নেবে?”

‎কলেজের একমাত্র ছাত্রাবাস শহীদ শামসুল আলম হল শত বছরের পুরনো পরিত্যক্ত ভবন। পলেস্তারা খসে পরা , বারন্দার রিলিং ভাঙ্গা,নেই নিরাপদ পানি, নেই শৌচাগার ব্যবস্থাও। এই জরাজীর্ণ ভবনে জীবন ঝুঁকি নিয়ে বসবাস বাধ্য হয়েই করছে বলছেন শিক্ষার্থীরা। জানা যায়, অস্বাস্থ্যকর পানি খেয়ে প্রায় সময় পেটের পীড়ায় ভুগে অনেক শিক্ষার্থী। কলেজ প্রশাসনকে বিভিন্ন সময় জানালেও উল্লেখযোগ্য কোনো উদ্যোগ নেয়নি বলছেন আবাসিক শিক্ষার্থীরা।

‎ছাত্রদলের নেতা রুমান আহমেদ বলেন,
‎“ দীর্ঘদিন ধরেই বলছি, হলটা বসবাসের উপযোগী নয়। মেরামত হয়নি। বিভিন্ন সময় হতাহতের ঘটনাও ঘটেছে। মাঝে মাঝেই সাদের ঢালায় খসে মাথায় আঘাত পায়,রেলিং ভেঙে পড়ে যায় কিন্তু প্রশাসন তেমন উদ্যোগ নেয়নি। কীভাবে থাকবে শিক্ষার্থীরা? আমরা চায় কলেজ প্রশাসন খুব তাড়াতাড়ি হল সংস্কার এর উদ্যোগ যেন নেয়।”

‎একাধিক বিভাগে দীর্ঘদিন ধরে শিক্ষক সংকট চলমান। শ্রেণীকক্ষের সংকট এতটাই ভয়াবহ যে অনেক সময় শিক্ষার্থীরা বারান্দায় দাঁড়িয়ে ক্লাস করেন। কোনো কোনো বিভাগে শিক্ষার্থীর তুলনায় ক্লাসরুমের সংখ্যা এক-চতুর্থাংশ মাত্র। বিজ্ঞানের চর্চা হয় ‘বারান্দা ল্যাব’, যন্ত্রপাতি রোদ-বৃষ্টির মধ্যে, কাচের আলমারিতে নয়, র‍্যাক বিহীন খোলা জায়গায়। কম্পিউটার ল্যাবের ছাদে সামান্য বৃষ্টি হলেই পানি পড়ে সরাসরি যন্ত্রে দেখলে মনে হবে, রুম নয়, ভগ্ন শিক্ষা ভবন।

‎শিক্ষক সংকট যেন প্রতিষ্ঠানের আরেক নীরব ব্যাধি। একজন শিক্ষককে একাধিক বিভাগের ক্লাস নিতে হয় ইন্টারমিডিয়েট, স্নাতক সব মিলিয়ে চাপ এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে, মানসম্মত পাঠদান অনেকাংশেই সম্ভব হচ্ছে না। শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, শিক্ষকের অভাবে অনেক কোর্স সময়মতো শেষ হয় না, আবার গবেষণামূলক কাজ বা সেমিনারও নিয়মিত ব্যাহত হচ্ছে।

‎যারা দূর-দূরান্ত থেকে কলেজে আসেন, তাদের প্রধান সমস্যা পরিবহন। সরকারি এই কলেজে শিক্ষার্থীদের জন্য রয়েছে ভাড়ায় চালিত মাত্র দুটি বাস। যা বেশিরভাগ সময় বন্ধ থাকতে দেখা যায়। গণপরিবহনে উঠে শিক্ষার্থীরা শুধু সময় হারান না, মানসিক ও শারীরিকভাবে ক্লান্ত হয়ে পড়েন। অথচ প্রত্যেক বছর পরিবহণ খরচ বাবদ শিক্ষার্থীদের কাছে নেওয়া হয় কোটি টাকা। ১৭ হাজার শিক্ষার্থীর জন্য মাত্র দুটি ভাড়ায় বাস। শিক্ষার্থীদের প্রশ্ন পরিবহন খাতের কোটি টাকা ব্যয় হয় কোথায়?

‎উত্তরা থেকে আসা প্রাণীবিদ্যা বিভাগের ছাত্রী জান্নাতুল ফেরদৌস বলেন,” আমাদের বাস নেই, ক্লাসরুম নেই, শান্তিপূর্ণ পড়ার পরিবেশ নেই। পরিবহন খরচ বাবদ প্রত্যেক বছর ৬০০ টাকা দেই।কিন্তু সেবার মান শূন্য। আমাদের টাকার হিসাব চাই।
‎কলেজটির অধ্যক্ষ মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান বলেন, শিক্ষার্থীদের কাছে যে খাতে টাকা নেওয়া হয়, সেই খাতেই ওই টাকা ব্যয় হয়।
‎মাঝে মাঝে শিক্ষার্থীদের ঝামেলার কারণে বাস বন্ধ রাখতে হয়। নতুন বাস ক্রয়ের ব্যাপারে জানতে চাইলে বলেন, মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্তই আমাদের মেনে চলতে হয়। আমরা চাইলেই একটা গাড়ি কিনতে পারি না, আমাদের অনেক বাধা বিপত্তি থাকে ।

‎এই প্রথম নয় ,২০২৯,২০২১,২০২৩ সালেও শিক্ষার্থীরা দশ দফা দাবিতে বিক্ষোভ করেছিলেন। সেই আন্দোলনেরও বেশিরভাগ দাবিই ছিল হল ও শ্রেণিকক্ষ ঘিরে। কর্তৃপক্ষ প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল, কিন্তু বাস্তবে কিছুই হয়নি।

‎ উল্লেখ্য, শিক্ষার্থীদের দাবি সমূহ:
‎১. হল সংস্কার ও হলের জন্য নতুন জায়গা বরাদ্দ করতে হবে।
‎২. ছাত্র এবং ছাত্রীদের জন্য নতুন হল নির্মাণ।
‎৩. শিক্ষার্থীদের জন্য পর্যাপ্ত পরিবহন ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে।
‎৪. শ্রেণীকক্ষের সংকট নিরসনে বহুতল ভবন নির্মাণ করতে হবে।
‎৫. ক্যাম্পাস সম্প্রসারণের জন্য নতুন জায়গা বরাদ্দ করতে হবে।
‎৬. কলেজের ঝুঁকিপূর্ণ ভবন ভেঙে নতুন ভবন নির্মাণ করতে হবে।
‎৭. দ্রুত সময়ের মধ্যে শিক্ষক সংকট নিরসন করতে হবে।

প্রতিবেদক : আব্দুল্লাহ্ খান

সর্বশেষ খবর পেতে অনুসরণ করুন-“প্রজন্ম কথা”