ঢাকা ১২:৪৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৪ জুলাই ২০২৫, ৩০ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

শাহবাগে ভেঙে ফেলা হলো ‘প্রজন্ম চত্বর’ জায়গায় হবে জুলাই মনুমেন্ট

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশঃ ১২:৩৬:৫৫ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৪ জুলাই ২০২৫
  • / 4

রাজধানীর শাহবাগে ‘প্রজন্ম চত্বর’ নামে পরিচিত ত্রিকোণাকৃতির ইলেকট্রিক বিলবোর্ডের স্থাপনাটি ভেঙে ফেলেছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি)। শনিবার রাতে ডিএসসিসির উদ্যোগে এস্কাভাটরের মাধ্যমে স্থাপনাটি উচ্ছেদ করা হয়।

ডিএসসিসির উপ–রাজস্ব কর্মকর্তা শাহজাহান আলী সমকালকে জানান, ২০০৮ সালে সাবেক সংসদ সদস্য নুরুন্নবী চৌধুরী শাওনের উদ্যোগে ত্রিকোণাকৃতির এই বিজ্ঞাপন স্থাপনাটি নির্মিত হয়েছিল। তিনি বলেন, “করপোরেশনের বিভিন্ন স্থানে অনুমতি নিয়ে অনেক বিজ্ঞাপনী সংস্থা এ ধরনের স্থাপনা নির্মাণ করেছিল। মাঝখানে এটি একবার সংস্কারও করা হয়েছিল এবং এখান থেকে নিয়মিত রাজস্ব দেওয়া হতো।”

তবে সাবেক মেয়র সাঈদ খোকনের মেয়াদকালে ডিএসসিসি এলাকার সব বিলবোর্ড উচ্ছেদ অভিযানের সময় এই স্থাপনাটিও ভেঙে ফেলা হয়। সে সময় ক্ষতিপূরণ দাবি করে নুরুন্নবী চৌধুরী শাওন আদালতে মামলা করেন, যা এখনও বিচারাধীন রয়েছে। মামলার পর থেকে স্থাপনাটি দীর্ঘদিন পরিত্যক্ত অবস্থায় ছিল।

ডিএসসিসির অঞ্চল–১ এর নির্বাহী প্রকৌশলী সাইফুল ইসলাম জয় জানান, “স্থাপনাটির অফিসিয়াল কোনও নাম ছিল না। এটি মূলত একটি ত্রিকোণাকৃতির ইলেকট্রিক বিলবোর্ড ছিল, যা দীর্ঘদিন ধরে পরিত্যক্ত অবস্থায় ছিল। তাই এটিকে উচ্ছেদ করা হয়েছে।”

ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের প্রশাসক মো. শাহজাহান মিয়া বলেন, “পূর্ত মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে শুনেছি, দেশের ৬৪টি জেলায় ‘জুলাই মনুমেন্ট’ তৈরির সরকারি সিদ্ধান্ত রয়েছে। এর অংশ হিসেবে ঢাকায় শাহবাগের এই স্থাপনাটির স্থানে ‘জুলাই মনুমেন্ট’ তৈরি হবে।”

এ নিয়ে এলাকাবাসী ও পথচারীদের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে। অনেকে মনে করছেন, এই স্থাপনার মাধ্যমে শাহবাগ এলাকায় নতুনভাবে ইতিহাস ও প্রজন্মের চেতনা ফুটে উঠবে।

সর্বশেষ খবর পেতে অনুসরণ করুন- “প্রজন্ম কথা”

শেয়ার করুন

শাহবাগে ভেঙে ফেলা হলো ‘প্রজন্ম চত্বর’ জায়গায় হবে জুলাই মনুমেন্ট

প্রকাশঃ ১২:৩৬:৫৫ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৪ জুলাই ২০২৫

রাজধানীর শাহবাগে ‘প্রজন্ম চত্বর’ নামে পরিচিত ত্রিকোণাকৃতির ইলেকট্রিক বিলবোর্ডের স্থাপনাটি ভেঙে ফেলেছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি)। শনিবার রাতে ডিএসসিসির উদ্যোগে এস্কাভাটরের মাধ্যমে স্থাপনাটি উচ্ছেদ করা হয়।

ডিএসসিসির উপ–রাজস্ব কর্মকর্তা শাহজাহান আলী সমকালকে জানান, ২০০৮ সালে সাবেক সংসদ সদস্য নুরুন্নবী চৌধুরী শাওনের উদ্যোগে ত্রিকোণাকৃতির এই বিজ্ঞাপন স্থাপনাটি নির্মিত হয়েছিল। তিনি বলেন, “করপোরেশনের বিভিন্ন স্থানে অনুমতি নিয়ে অনেক বিজ্ঞাপনী সংস্থা এ ধরনের স্থাপনা নির্মাণ করেছিল। মাঝখানে এটি একবার সংস্কারও করা হয়েছিল এবং এখান থেকে নিয়মিত রাজস্ব দেওয়া হতো।”

তবে সাবেক মেয়র সাঈদ খোকনের মেয়াদকালে ডিএসসিসি এলাকার সব বিলবোর্ড উচ্ছেদ অভিযানের সময় এই স্থাপনাটিও ভেঙে ফেলা হয়। সে সময় ক্ষতিপূরণ দাবি করে নুরুন্নবী চৌধুরী শাওন আদালতে মামলা করেন, যা এখনও বিচারাধীন রয়েছে। মামলার পর থেকে স্থাপনাটি দীর্ঘদিন পরিত্যক্ত অবস্থায় ছিল।

ডিএসসিসির অঞ্চল–১ এর নির্বাহী প্রকৌশলী সাইফুল ইসলাম জয় জানান, “স্থাপনাটির অফিসিয়াল কোনও নাম ছিল না। এটি মূলত একটি ত্রিকোণাকৃতির ইলেকট্রিক বিলবোর্ড ছিল, যা দীর্ঘদিন ধরে পরিত্যক্ত অবস্থায় ছিল। তাই এটিকে উচ্ছেদ করা হয়েছে।”

ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের প্রশাসক মো. শাহজাহান মিয়া বলেন, “পূর্ত মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে শুনেছি, দেশের ৬৪টি জেলায় ‘জুলাই মনুমেন্ট’ তৈরির সরকারি সিদ্ধান্ত রয়েছে। এর অংশ হিসেবে ঢাকায় শাহবাগের এই স্থাপনাটির স্থানে ‘জুলাই মনুমেন্ট’ তৈরি হবে।”

এ নিয়ে এলাকাবাসী ও পথচারীদের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে। অনেকে মনে করছেন, এই স্থাপনার মাধ্যমে শাহবাগ এলাকায় নতুনভাবে ইতিহাস ও প্রজন্মের চেতনা ফুটে উঠবে।

সর্বশেষ খবর পেতে অনুসরণ করুন- “প্রজন্ম কথা”