ঢাকা ০৭:১৩ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৩ জুলাই ২০২৫, ৮ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ছেলের নিথর দেহ খুঁজে পেয়ে বাবার কান্নায় স্তব্ধ বার্ন ইউনিট

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশঃ ১২:০১:০৮ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২২ জুলাই ২০২৫
  • / 6

ছেলে হারানো মো. রুবেলের আহাজারি | ছবি: সংগৃহীত


আজ দুপুরে রাজধানীর উত্তরা মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের একটি ভবনে বিমানবাহিনীর একটি প্রশিক্ষণ বিমান বিধ্বস্ত হয়। এ ঘটনায় পুড়ে মারা গেছেন অন্তত ২০ জন, যাদের অধিকাংশই শিক্ষার্থী। নিহতদের তালিকায় রয়েছে অষ্টম শ্রেণির ছাত্র তানভীর আহমেদও।

দুপুরের পর থেকে নিখোঁজ ছিলেন তানভীর। পরিবারে একের পর এক হাসপাতালে খোঁজ, টানাটানি—অবশেষে সন্ধ্যার দিকে জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে খুঁজে পাওয়া যায় তার নিথর দেহ।

তানভীরের বাবা মো. রুবেল যখন নিশ্চিত হন তার বড় ছেলে আর বেঁচে নেই, তখন চোখের জলে ভেসে পড়েন হাসপাতালের নিচতলায় অবস্থিত তথ্যকেন্দ্রের সামনে। আহাজারিতে কেঁপে ওঠে চারপাশ—”বাবা রে, তোকে নিয়ে কত স্বপ্ন ছিল আমার…।”

তানভীরের চাচাতো ভাই তোফাজ্জল হোসেন জানান, “তার শরীরের প্রায় ৮০ শতাংশ পুড়ে গিয়েছিল। আমরা তাকে খুঁজে পাচ্ছিলাম না। কয়েকটি হাসপাতাল ঘুরে অবশেষে এখানে তার মরদেহ পাই।”

রুবেলের আহাজারিতে উপস্থিত অনেকেই চোখের পানি ধরে রাখতে পারেননি। একপর্যায়ে কাঁদতে কাঁদতে রুবেল প্রায় অজ্ঞান হয়ে পড়েন। তখন আশপাশের মানুষ তাঁকে ধরে রাখেন, পানি ছিটিয়ে জ্ঞান ফেরানোর চেষ্টা করেন।

তানভীর ছিল পরিবারের প্রথম সন্তান। তার বাবা একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করেন। ভেবেছিলেন, ছেলে লেখাপড়া করে ভালো কিছু হবে—সেই আশাতেই চলছিল দিন। কিন্তু একটি দুর্ঘটনা এক নিমিষেই শেষ করে দিলো সব।

সর্বশেষ খবর পেতে অনুসরণ করুন- “প্রজন্ম কথা”

শেয়ার করুন

ছেলের নিথর দেহ খুঁজে পেয়ে বাবার কান্নায় স্তব্ধ বার্ন ইউনিট

প্রকাশঃ ১২:০১:০৮ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২২ জুলাই ২০২৫

ছেলে হারানো মো. রুবেলের আহাজারি | ছবি: সংগৃহীত


আজ দুপুরে রাজধানীর উত্তরা মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের একটি ভবনে বিমানবাহিনীর একটি প্রশিক্ষণ বিমান বিধ্বস্ত হয়। এ ঘটনায় পুড়ে মারা গেছেন অন্তত ২০ জন, যাদের অধিকাংশই শিক্ষার্থী। নিহতদের তালিকায় রয়েছে অষ্টম শ্রেণির ছাত্র তানভীর আহমেদও।

দুপুরের পর থেকে নিখোঁজ ছিলেন তানভীর। পরিবারে একের পর এক হাসপাতালে খোঁজ, টানাটানি—অবশেষে সন্ধ্যার দিকে জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে খুঁজে পাওয়া যায় তার নিথর দেহ।

তানভীরের বাবা মো. রুবেল যখন নিশ্চিত হন তার বড় ছেলে আর বেঁচে নেই, তখন চোখের জলে ভেসে পড়েন হাসপাতালের নিচতলায় অবস্থিত তথ্যকেন্দ্রের সামনে। আহাজারিতে কেঁপে ওঠে চারপাশ—”বাবা রে, তোকে নিয়ে কত স্বপ্ন ছিল আমার…।”

তানভীরের চাচাতো ভাই তোফাজ্জল হোসেন জানান, “তার শরীরের প্রায় ৮০ শতাংশ পুড়ে গিয়েছিল। আমরা তাকে খুঁজে পাচ্ছিলাম না। কয়েকটি হাসপাতাল ঘুরে অবশেষে এখানে তার মরদেহ পাই।”

রুবেলের আহাজারিতে উপস্থিত অনেকেই চোখের পানি ধরে রাখতে পারেননি। একপর্যায়ে কাঁদতে কাঁদতে রুবেল প্রায় অজ্ঞান হয়ে পড়েন। তখন আশপাশের মানুষ তাঁকে ধরে রাখেন, পানি ছিটিয়ে জ্ঞান ফেরানোর চেষ্টা করেন।

তানভীর ছিল পরিবারের প্রথম সন্তান। তার বাবা একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করেন। ভেবেছিলেন, ছেলে লেখাপড়া করে ভালো কিছু হবে—সেই আশাতেই চলছিল দিন। কিন্তু একটি দুর্ঘটনা এক নিমিষেই শেষ করে দিলো সব।

সর্বশেষ খবর পেতে অনুসরণ করুন- “প্রজন্ম কথা”