ঢাকা ০১:৫৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ২০ অক্টোবর ২০২৫, ৫ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বাড়িভাড়া ভাতার দাবিতে শহীদ মিনারে নির্ঘুম রাত কাটাচ্ছেন শিক্ষকরা

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশঃ ০২:৩১:৪২ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৩ অক্টোবর ২০২৫
  • / 15

হামলার পরও অনড় শিক্ষকরা, শহীদ মিনারে রাত কাটছে দাবির মিছিলে | ছবি: সংগৃহীত


মূল বেতনের ২০ শতাংশ বাড়িভাড়া ভাতা, ১ হাজার ৫০০ টাকা চিকিৎসা ভাতা এবং কর্মচারীদের ৭৫ শতাংশ উৎসব ভাতার প্রজ্ঞাপন জারির দাবিতে রাজধানীর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে রাত কাটাচ্ছেন এমপিওভুক্ত শিক্ষক–কর্মচারীরা।
রোববার (১২ অক্টোবর) প্রেসক্লাব এলাকায় আন্দোলন চলাকালে পুলিশি হামলা, সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ ও লাঠিচার্জের ঘটনার প্রতিবাদে তারা সোমবার (১৩ অক্টোবর) থেকে লাগাতার কর্মবিরতির ঘোষণা দিয়েছেন।

সরেজমিনে দেখা গেছে, শিক্ষকরা কেউ পলিথিন ও পাটি বিছিয়ে শহীদ মিনারে রাতযাপনের প্রস্তুতি নিচ্ছেন। কারও হাতে প্ল্যাকার্ড, কেউ স্লোগান তুলছেন দাবি আদায়ের প্রত্যয়ে।
অবস্থান কর্মসূচিতে এমপিওভুক্ত শিক্ষা জাতীয়করণ প্রত্যাশী জোটের সদস্যসচিব অধ্যক্ষ দেলাওয়ার হোসেন আজিজী বলেন, ২৪ ঘণ্টা আমরা এখানে থাকব। যতক্ষণ সরকারের পক্ষ থেকে প্রজ্ঞাপন জারি না হবে, ততক্ষণ শহীদ মিনার ছেড়ে যাব না, ইনশাআল্লাহ।

তিনি আরও বলেন, “রাতে আমরা বৈঠকে বসব। সরকারের পক্ষ থেকে যদি দাবি মেনে নেওয়ার সুনির্দিষ্ট ঘোষণা আসে, তবে বিষয়টি পুনর্বিবেচনা করা হবে।”

এর আগে রোববার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাব এলাকায় পুলিশের সঙ্গে শিক্ষকদের সংঘর্ষে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। পুলিশ লাঠিচার্জ, জলকামান ও সাউন্ড গ্রেনেড ব্যবহার করে আন্দোলনকারীদের ছত্রভঙ্গ করে। পরে একদল শিক্ষক শহীদ মিনারে এবং অন্যদল প্রেসক্লাবের সামনেই অবস্থান নেন।

অধ্যক্ষ দেলাওয়ার হোসেন আজিজী বলেন, প্রজ্ঞাপন না আসা পর্যন্ত শ্রেণি কার্যক্রম চলবে না। বারবার আশ্বাস দিয়ে দাবি বাস্তবায়ন হয়নি। এবার আমরা প্রজ্ঞাপন হাতে না পাওয়া পর্যন্ত ফিরব না।

শিক্ষক নেতাদের আহ্বানে অবস্থান কর্মসূচি শহীদ মিনারে সরিয়ে নেওয়া হলেও একাংশ সচিবালয় অভিমুখে লংমার্চের দাবি জানায়, ফলে আন্দোলনে বিভাজন দেখা দেয়।
তবে অধিকাংশ শিক্ষক শহীদ মিনারে অবস্থান নেওয়ার পক্ষেই মত দেন।

অবস্থানরত শিক্ষকরা বলেন, আমরা আন্দোলনে এসেছি ন্যায্য অধিকার আদায়ের জন্য। প্রজ্ঞাপন না আসা পর্যন্ত শহীদ মিনার ছাড়ব না।

অর্থ মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে আলোচনা শেষে শিক্ষকদের দাবির বিষয়ে আশ্বাস দেওয়া হলেও প্রজ্ঞাপন জারি না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন অব্যাহত রাখার ঘোষণা দেন শিক্ষকরা।

সর্বশেষ খবর পেতে অনুসরণ করুন- “প্রজন্ম কথা”

শেয়ার করুন

বাড়িভাড়া ভাতার দাবিতে শহীদ মিনারে নির্ঘুম রাত কাটাচ্ছেন শিক্ষকরা

প্রকাশঃ ০২:৩১:৪২ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৩ অক্টোবর ২০২৫

হামলার পরও অনড় শিক্ষকরা, শহীদ মিনারে রাত কাটছে দাবির মিছিলে | ছবি: সংগৃহীত


মূল বেতনের ২০ শতাংশ বাড়িভাড়া ভাতা, ১ হাজার ৫০০ টাকা চিকিৎসা ভাতা এবং কর্মচারীদের ৭৫ শতাংশ উৎসব ভাতার প্রজ্ঞাপন জারির দাবিতে রাজধানীর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে রাত কাটাচ্ছেন এমপিওভুক্ত শিক্ষক–কর্মচারীরা।
রোববার (১২ অক্টোবর) প্রেসক্লাব এলাকায় আন্দোলন চলাকালে পুলিশি হামলা, সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ ও লাঠিচার্জের ঘটনার প্রতিবাদে তারা সোমবার (১৩ অক্টোবর) থেকে লাগাতার কর্মবিরতির ঘোষণা দিয়েছেন।

সরেজমিনে দেখা গেছে, শিক্ষকরা কেউ পলিথিন ও পাটি বিছিয়ে শহীদ মিনারে রাতযাপনের প্রস্তুতি নিচ্ছেন। কারও হাতে প্ল্যাকার্ড, কেউ স্লোগান তুলছেন দাবি আদায়ের প্রত্যয়ে।
অবস্থান কর্মসূচিতে এমপিওভুক্ত শিক্ষা জাতীয়করণ প্রত্যাশী জোটের সদস্যসচিব অধ্যক্ষ দেলাওয়ার হোসেন আজিজী বলেন, ২৪ ঘণ্টা আমরা এখানে থাকব। যতক্ষণ সরকারের পক্ষ থেকে প্রজ্ঞাপন জারি না হবে, ততক্ষণ শহীদ মিনার ছেড়ে যাব না, ইনশাআল্লাহ।

তিনি আরও বলেন, “রাতে আমরা বৈঠকে বসব। সরকারের পক্ষ থেকে যদি দাবি মেনে নেওয়ার সুনির্দিষ্ট ঘোষণা আসে, তবে বিষয়টি পুনর্বিবেচনা করা হবে।”

এর আগে রোববার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাব এলাকায় পুলিশের সঙ্গে শিক্ষকদের সংঘর্ষে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। পুলিশ লাঠিচার্জ, জলকামান ও সাউন্ড গ্রেনেড ব্যবহার করে আন্দোলনকারীদের ছত্রভঙ্গ করে। পরে একদল শিক্ষক শহীদ মিনারে এবং অন্যদল প্রেসক্লাবের সামনেই অবস্থান নেন।

অধ্যক্ষ দেলাওয়ার হোসেন আজিজী বলেন, প্রজ্ঞাপন না আসা পর্যন্ত শ্রেণি কার্যক্রম চলবে না। বারবার আশ্বাস দিয়ে দাবি বাস্তবায়ন হয়নি। এবার আমরা প্রজ্ঞাপন হাতে না পাওয়া পর্যন্ত ফিরব না।

শিক্ষক নেতাদের আহ্বানে অবস্থান কর্মসূচি শহীদ মিনারে সরিয়ে নেওয়া হলেও একাংশ সচিবালয় অভিমুখে লংমার্চের দাবি জানায়, ফলে আন্দোলনে বিভাজন দেখা দেয়।
তবে অধিকাংশ শিক্ষক শহীদ মিনারে অবস্থান নেওয়ার পক্ষেই মত দেন।

অবস্থানরত শিক্ষকরা বলেন, আমরা আন্দোলনে এসেছি ন্যায্য অধিকার আদায়ের জন্য। প্রজ্ঞাপন না আসা পর্যন্ত শহীদ মিনার ছাড়ব না।

অর্থ মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে আলোচনা শেষে শিক্ষকদের দাবির বিষয়ে আশ্বাস দেওয়া হলেও প্রজ্ঞাপন জারি না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন অব্যাহত রাখার ঘোষণা দেন শিক্ষকরা।

সর্বশেষ খবর পেতে অনুসরণ করুন- “প্রজন্ম কথা”