ঢাকা ০৯:২৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ০৮ জুলাই ২০২৫, ২৪ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

নড়াইলে জমিতে ছিটানো কীটনাশকের বিষক্রিয়ায় ঘোড়ার মৃত্যু

সদর উপজেলা প্রতিনিধি। নড়াইল
  • প্রকাশঃ ০৭:১৯:৩২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৮ জুলাই ২০২৫
  • / 2

নড়াইল সদর উপজেলার বাহিরগ্রামে জমিতে ছিটানো কীটনাশকের বিষক্রিয়ায় একটি ঘোড়া মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে। বৃহস্পতিবার সকালে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী ঘোড়ার মালিক থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।

ভুক্তভোগী মো. ইলিয়াস মোল্যা জানান, গত বৃহস্পতিবার সকালে বাহিরগ্রামের জিহাদ মোল্যার জমিতে নিজের দুইটি ঘোড়া বেঁধে রেখে স্থানীয় তুলারামপুর হাটে যান তিনি। হাট থেকে ফিরে জানতে পারেন, যে জমিতে ঘোড়া বেঁধে রাখা হয়েছিল সেখানে কীটনাশক স্প্রে করা হয়েছে। দ্রুত ঘোড়া দুটিকে বাড়ি আনলে একটির অবস্থা আশঙ্কাজনক হয়ে পড়ে।

পরে সদর প্রাণিসম্পদ অফিস থেকে ডাক্তার এনে চিকিৎসা শুরু করা হয়। তিন দিন চিকিৎসাধীন থাকার পর একটি ঘোড়া মারা যায়। অপর ঘোড়াটির অবস্থাও গুরুতর বলে জানিয়েছেন ইলিয়াস।

মো. ইলিয়াস মোল্যা বলেন, দুইটি ঘোড়া দিয়েই সংসার চলত। মালামাল বহন করেই রোজগার করতাম। এখন সব শেষ। ডাক্তারের পিছনে ১০ হাজার টাকা খরচ হয়ে গেছে। কীভাবে সংসার চলবে বুঝতে পারছি না।

তিনি আরও জানান, প্রতিবেশীর কাছ থেকে জানতে পারেন, জিহাদ মোল্যা জমিতে কীটনাশক স্প্রে করেছেন। এ বিষয়ে তিনি নড়াইল সদর থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন।

সদর প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. তরিকুল ইসলাম বলেন, ঘোড়াটি বিষক্রিয়াজনিত কারণে মারা গেছে। ঘাসের সাথে কীটনাশক খাওয়ায় শরীরে ক্ষত তৈরি হয়। অভিযুক্ত মিজানুর মোল্যা মুঠোফোনে বলেন, মারা যাওয়া ঘোড়াটি বাচ্চা ঘোড়া। আগে থেকেই বসন্ত রোগে আক্রান্ত ছিল। তারপরও আমি তার বাড়িতে গিয়ে ঘোড়া দেখেছি, এমনকি ডাক্তার আনতেও বলেছি। প্রথমবার ডাক্তার দেখানোর জন্য ১৫ শ’ টাকা ঘোড়া মালিককে দিয়েছি।

নড়াইল সদর থানার ওসি সাজেদুল ইসলাম বলেন, এ ঘটনায় একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সর্বশেষ খবর পেতে অনুসরণ করুন- “প্রজন্ম কথা”

শেয়ার করুন

নড়াইলে জমিতে ছিটানো কীটনাশকের বিষক্রিয়ায় ঘোড়ার মৃত্যু

প্রকাশঃ ০৭:১৯:৩২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৮ জুলাই ২০২৫

নড়াইল সদর উপজেলার বাহিরগ্রামে জমিতে ছিটানো কীটনাশকের বিষক্রিয়ায় একটি ঘোড়া মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে। বৃহস্পতিবার সকালে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী ঘোড়ার মালিক থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।

ভুক্তভোগী মো. ইলিয়াস মোল্যা জানান, গত বৃহস্পতিবার সকালে বাহিরগ্রামের জিহাদ মোল্যার জমিতে নিজের দুইটি ঘোড়া বেঁধে রেখে স্থানীয় তুলারামপুর হাটে যান তিনি। হাট থেকে ফিরে জানতে পারেন, যে জমিতে ঘোড়া বেঁধে রাখা হয়েছিল সেখানে কীটনাশক স্প্রে করা হয়েছে। দ্রুত ঘোড়া দুটিকে বাড়ি আনলে একটির অবস্থা আশঙ্কাজনক হয়ে পড়ে।

পরে সদর প্রাণিসম্পদ অফিস থেকে ডাক্তার এনে চিকিৎসা শুরু করা হয়। তিন দিন চিকিৎসাধীন থাকার পর একটি ঘোড়া মারা যায়। অপর ঘোড়াটির অবস্থাও গুরুতর বলে জানিয়েছেন ইলিয়াস।

মো. ইলিয়াস মোল্যা বলেন, দুইটি ঘোড়া দিয়েই সংসার চলত। মালামাল বহন করেই রোজগার করতাম। এখন সব শেষ। ডাক্তারের পিছনে ১০ হাজার টাকা খরচ হয়ে গেছে। কীভাবে সংসার চলবে বুঝতে পারছি না।

তিনি আরও জানান, প্রতিবেশীর কাছ থেকে জানতে পারেন, জিহাদ মোল্যা জমিতে কীটনাশক স্প্রে করেছেন। এ বিষয়ে তিনি নড়াইল সদর থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন।

সদর প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. তরিকুল ইসলাম বলেন, ঘোড়াটি বিষক্রিয়াজনিত কারণে মারা গেছে। ঘাসের সাথে কীটনাশক খাওয়ায় শরীরে ক্ষত তৈরি হয়। অভিযুক্ত মিজানুর মোল্যা মুঠোফোনে বলেন, মারা যাওয়া ঘোড়াটি বাচ্চা ঘোড়া। আগে থেকেই বসন্ত রোগে আক্রান্ত ছিল। তারপরও আমি তার বাড়িতে গিয়ে ঘোড়া দেখেছি, এমনকি ডাক্তার আনতেও বলেছি। প্রথমবার ডাক্তার দেখানোর জন্য ১৫ শ’ টাকা ঘোড়া মালিককে দিয়েছি।

নড়াইল সদর থানার ওসি সাজেদুল ইসলাম বলেন, এ ঘটনায় একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সর্বশেষ খবর পেতে অনুসরণ করুন- “প্রজন্ম কথা”