ঢাকা ০২:২১ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৭ জুলাই ২০২৫, ১১ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ফেসবুকে প্রেম, বিয়ে—দেড় মাস পর জানা গেল নববধূ আসলে পুরুষ

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশঃ ০৯:৪৯:০৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৬ জুলাই ২০২৫
  • / 2

সামিয়া’ ছদ্মনামে পরিচিত এই ব্যক্তির আসল নাম মো. শাহিনুর রহমান | ছবি: সংগৃহীত


রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলায় এক চাঞ্চল্যকর ঘটনার জন্ম দিয়েছে এক ভুয়া পরিচয়ে বিয়ে। ফেসবুকে পরিচয়, প্রেম এবং দেড় মাস সংসার করার পর অবশেষে প্রকাশ্যে আসে, মাহমুদুল হাসান শান্ত যার সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হয়েছিলেন—তিনিই প্রকৃতপক্ষে পুরুষ।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ‘সামিয়া’ ছদ্মনামে পরিচিত এই ব্যক্তির আসল নাম মো. শাহিনুর রহমান। তিনি চট্টগ্রামের আমতলা ঈদগাহ বৌবাজার এলাকার আবুল কাশেমের ছেলে। দীর্ঘদিন ধরে ফেসবুকে নারীর ছদ্মবেশে যোগাযোগ চালিয়ে আসছিলেন শাহিনুর।

গত ৭ জুন শাহিনুর ‘সামিয়া’ পরিচয়ে শান্তর বাড়িতে এসে ওঠেন। পরিবারের সম্মতিতে, স্থানীয়দের উপস্থিতিতে এবং মৌলভির মাধ্যমে সম্পন্ন হয় বিয়ে। তবে জাতীয় পরিচয়পত্র না থাকায় রেজিস্ট্রেশন হয়নি।

দাম্পত্য জীবনের এক পর্যায়ে শান্ত ও তার পরিবারের মধ্যে সন্দেহ জাগে সামিয়ার কিছু অস্বাভাবিক আচরণ দেখে। শান্ত জানান, “বিয়ের পর কাছাকাছি আসতে চাইলে সে বারবার বলত, সে অসুস্থ, ডাক্তার নিষেধ করেছে। এতে আমার সন্দেহ বাড়তে থাকে।”

অবশেষে শুক্রবার (২৫ জুলাই) সন্ধ্যায় নিশ্চিত হওয়া যায়, সামিয়া আসলে একজন পুরুষ। খবরটি মুহূর্তেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে এবং এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়।

শান্তর মা মোছা. সোহাগী বেগম বলেন, “একজন পুরুষ মানুষ আমাদের বাড়িতে নববধূ হয়ে ছিল, অথচ আমরা কিছুই টের পাইনি। সে এমন অভিনয় করেছে যে আমাদের পুরো পরিবারই তাকে মেনে নিয়েছিল।”

পরদিন শনিবার সকালে শান্তর পরিবার শাহিনুরকে তার নিজ বাড়িতে পাঠিয়ে দেয়।

ঘটনার বিষয়ে শাহিনুর বলেন, শান্তর সঙ্গে যা করেছি, সেটা আমার অন্যায়। আমার হরমোনজনিত সমস্যা আছে। তাই নিজেকে মেয়ে ভাবতেই ভালো লাগে। এ ঘটনায় আইনগত কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হবে কি না, তা এখনো নিশ্চিত নয়। তবে স্থানীয়দের অনেকে এর সুষ্ঠু তদন্ত ও প্রতারণার বিচার দাবি করেছেন।

সর্বশেষ খবর পেতে অনুসরণ করুন- “প্রজন্ম কথা”

শেয়ার করুন

ফেসবুকে প্রেম, বিয়ে—দেড় মাস পর জানা গেল নববধূ আসলে পুরুষ

প্রকাশঃ ০৯:৪৯:০৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৬ জুলাই ২০২৫

সামিয়া’ ছদ্মনামে পরিচিত এই ব্যক্তির আসল নাম মো. শাহিনুর রহমান | ছবি: সংগৃহীত


রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলায় এক চাঞ্চল্যকর ঘটনার জন্ম দিয়েছে এক ভুয়া পরিচয়ে বিয়ে। ফেসবুকে পরিচয়, প্রেম এবং দেড় মাস সংসার করার পর অবশেষে প্রকাশ্যে আসে, মাহমুদুল হাসান শান্ত যার সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হয়েছিলেন—তিনিই প্রকৃতপক্ষে পুরুষ।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ‘সামিয়া’ ছদ্মনামে পরিচিত এই ব্যক্তির আসল নাম মো. শাহিনুর রহমান। তিনি চট্টগ্রামের আমতলা ঈদগাহ বৌবাজার এলাকার আবুল কাশেমের ছেলে। দীর্ঘদিন ধরে ফেসবুকে নারীর ছদ্মবেশে যোগাযোগ চালিয়ে আসছিলেন শাহিনুর।

গত ৭ জুন শাহিনুর ‘সামিয়া’ পরিচয়ে শান্তর বাড়িতে এসে ওঠেন। পরিবারের সম্মতিতে, স্থানীয়দের উপস্থিতিতে এবং মৌলভির মাধ্যমে সম্পন্ন হয় বিয়ে। তবে জাতীয় পরিচয়পত্র না থাকায় রেজিস্ট্রেশন হয়নি।

দাম্পত্য জীবনের এক পর্যায়ে শান্ত ও তার পরিবারের মধ্যে সন্দেহ জাগে সামিয়ার কিছু অস্বাভাবিক আচরণ দেখে। শান্ত জানান, “বিয়ের পর কাছাকাছি আসতে চাইলে সে বারবার বলত, সে অসুস্থ, ডাক্তার নিষেধ করেছে। এতে আমার সন্দেহ বাড়তে থাকে।”

অবশেষে শুক্রবার (২৫ জুলাই) সন্ধ্যায় নিশ্চিত হওয়া যায়, সামিয়া আসলে একজন পুরুষ। খবরটি মুহূর্তেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে এবং এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়।

শান্তর মা মোছা. সোহাগী বেগম বলেন, “একজন পুরুষ মানুষ আমাদের বাড়িতে নববধূ হয়ে ছিল, অথচ আমরা কিছুই টের পাইনি। সে এমন অভিনয় করেছে যে আমাদের পুরো পরিবারই তাকে মেনে নিয়েছিল।”

পরদিন শনিবার সকালে শান্তর পরিবার শাহিনুরকে তার নিজ বাড়িতে পাঠিয়ে দেয়।

ঘটনার বিষয়ে শাহিনুর বলেন, শান্তর সঙ্গে যা করেছি, সেটা আমার অন্যায়। আমার হরমোনজনিত সমস্যা আছে। তাই নিজেকে মেয়ে ভাবতেই ভালো লাগে। এ ঘটনায় আইনগত কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হবে কি না, তা এখনো নিশ্চিত নয়। তবে স্থানীয়দের অনেকে এর সুষ্ঠু তদন্ত ও প্রতারণার বিচার দাবি করেছেন।

সর্বশেষ খবর পেতে অনুসরণ করুন- “প্রজন্ম কথা”