ঢাকা ০৯:১১ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৪ অগাস্ট ২০২৫, ৩০ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ফ্যাসিবাদবিরোধী আন্দোলনে লড়াই করেছেন তরুণ সাংবাদিকরা: মাহমুদুর রহমান

খুবি প্রতিনিধি
  • প্রকাশঃ ০৯:০৯:৩৯ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৪ অগাস্ট ২০২৫
  • / 1

খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত এক আলোচনা সভায় দৈনিক আমার দেশ  সম্পাদক মাহমুদুর রহমান | ছবি: প্রজন্ম কথা


জুলাই গণঅভ্যুত্থান দিবস উপলক্ষে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত এক আলোচনা সভায় দৈনিক আমার দেশ সম্পাদক মাহমুদুর রহমান বলেছেন, তরুণ সাংবাদিকরা ফ্যাসিবাদবিরোধী আন্দোলনে সাহসী ভূমিকা রেখেছেন, অথচ অনেক প্রবীণ সাংবাদিক পক্ষপাতিত্ব কিংবা আত্মনিয়ন্ত্রণের আশ্রয় নিয়েছেন।

আজ বুধবার (১৩ আগস্ট) বেলা ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিক লিয়াকত আলী মিলনায়তনে “ফ্যাসিবাদবিরোধী আন্দোলনে সাংবাদিকদের ভূমিকা” শীর্ষক এ আলোচনা সভার আয়োজন করে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতি (খুবিসাস) ও ছাত্র বিষয়ক পরিচালকের দপ্তর।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে মাহমুদুর রহমান বলেন, “তরুণ সমাজ কোনো অস্ত্র বা বিদেশি সাহায্য ছাড়াই হাসিনার ফ্যাসিবাদ ও ভারতীয় আধিপত্যবাদকে পরাজিত করেছে। এই প্রজন্ম ক্যান ডু এনিথিং। জুলাই আন্দোলনের মাধ্যমে তরুণরা দেশকে নতুনভাবে পথ দেখিয়েছে।

তিনি আরও বলেন, “ফ্যাসিবাদ নিজে নিজে তৈরি হয় না ব্যবসায়ী, আমলা, তথাকথিত বুদ্ধিজীবী ও কিছু সাংবাদিকও এর ন্যারেটিভ তৈরিতে ভূমিকা রাখে। কিন্তু গণঅভ্যুত্থান ছাড়া ফ্যাসিবাদ উৎখাত সম্ভব নয় যা জুলাই আন্দোলন প্রমাণ করেছে।”

সাংবাদিকদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, সৎ ও সাহসী হতে হবে। উভয় পক্ষের বক্তব্য নিয়ে নিরপেক্ষ সংবাদ প্রকাশ করতে হবে। চ্যালেঞ্জ নিতে না পারলে ভালো সাংবাদিক হওয়া যাবে না।

জ্ঞানচর্চার গুরুত্ব উল্লেখ করে তিনি বলেন, কিছু বলার আগে শিখতে হবে। তরুণদের স্পৃহা ধরে রাখতে হবে। জুলাই আন্দোলনের পর বাকস্বাধীনতা ফিরেছে কিনা, তার প্রমাণ মিলবে নির্বাচনের পর।

প্রধান পৃষ্ঠপোষক হিসেবে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মোঃ রেজাউল করিম বলেন, জুলাই আন্দোলন ফ্যাসিবাদী শাসনব্যবস্থাকে চ্যালেঞ্জ জানানোর ইতিহাস। গণমাধ্যম স্বাধীন সমাজের স্তম্ভ, কিন্তু ফ্যাসিবাদী শাসনে প্রথম আঘাত আসে গণমাধ্যম ও মতপ্রকাশের স্বাধীনতায়।

বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার প্রফেসর ড. মোঃ নূরুন্নবী, আইন স্কুলের ভারপ্রাপ্ত ডিন প্রফেসর শেখ মাহমুদুল হাসান এবং ছাত্র বিষয়ক পরিচালক প্রফেসর ড. মোঃ নাজমুস সাদাত।

এছাড়া বক্তব্য দেন জুলাই অভ্যুত্থান দিবস উদযাপন কমিটির সদস্য সচিব প্রফেসর শরিফ মোহাম্মদ খান, আমার দেশ খুলনা ব্যুরো প্রধান এহতেশামুল হক শাওন এবং জুলাই আন্দোলনের কর্মী আয়মান আহাদ।

সভাপতিত্ব করেন খুবিসাস সভাপতি আলকামা রমিন এবং স্বাগত বক্তব্য রাখেন সাধারণ সম্পাদক মিরাজুল ইসলাম। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন শিক্ষার্থী জারিন প্রভা ও মাহবুবুর রহমান আকাশ।

অনুষ্ঠানের শুরুতে জুলাই আন্দোলনের শহীদদের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, কর্মকর্তা, শিক্ষার্থী, জুলাই আন্দোলনের কর্মী এবং গণমাধ্যমের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।

সর্বশেষ খবর পেতে অনুসরণ করুন- “প্রজন্ম কথা”

শেয়ার করুন

ফ্যাসিবাদবিরোধী আন্দোলনে লড়াই করেছেন তরুণ সাংবাদিকরা: মাহমুদুর রহমান

প্রকাশঃ ০৯:০৯:৩৯ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৪ অগাস্ট ২০২৫

খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত এক আলোচনা সভায় দৈনিক আমার দেশ  সম্পাদক মাহমুদুর রহমান | ছবি: প্রজন্ম কথা


জুলাই গণঅভ্যুত্থান দিবস উপলক্ষে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত এক আলোচনা সভায় দৈনিক আমার দেশ সম্পাদক মাহমুদুর রহমান বলেছেন, তরুণ সাংবাদিকরা ফ্যাসিবাদবিরোধী আন্দোলনে সাহসী ভূমিকা রেখেছেন, অথচ অনেক প্রবীণ সাংবাদিক পক্ষপাতিত্ব কিংবা আত্মনিয়ন্ত্রণের আশ্রয় নিয়েছেন।

আজ বুধবার (১৩ আগস্ট) বেলা ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিক লিয়াকত আলী মিলনায়তনে “ফ্যাসিবাদবিরোধী আন্দোলনে সাংবাদিকদের ভূমিকা” শীর্ষক এ আলোচনা সভার আয়োজন করে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতি (খুবিসাস) ও ছাত্র বিষয়ক পরিচালকের দপ্তর।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে মাহমুদুর রহমান বলেন, “তরুণ সমাজ কোনো অস্ত্র বা বিদেশি সাহায্য ছাড়াই হাসিনার ফ্যাসিবাদ ও ভারতীয় আধিপত্যবাদকে পরাজিত করেছে। এই প্রজন্ম ক্যান ডু এনিথিং। জুলাই আন্দোলনের মাধ্যমে তরুণরা দেশকে নতুনভাবে পথ দেখিয়েছে।

তিনি আরও বলেন, “ফ্যাসিবাদ নিজে নিজে তৈরি হয় না ব্যবসায়ী, আমলা, তথাকথিত বুদ্ধিজীবী ও কিছু সাংবাদিকও এর ন্যারেটিভ তৈরিতে ভূমিকা রাখে। কিন্তু গণঅভ্যুত্থান ছাড়া ফ্যাসিবাদ উৎখাত সম্ভব নয় যা জুলাই আন্দোলন প্রমাণ করেছে।”

সাংবাদিকদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, সৎ ও সাহসী হতে হবে। উভয় পক্ষের বক্তব্য নিয়ে নিরপেক্ষ সংবাদ প্রকাশ করতে হবে। চ্যালেঞ্জ নিতে না পারলে ভালো সাংবাদিক হওয়া যাবে না।

জ্ঞানচর্চার গুরুত্ব উল্লেখ করে তিনি বলেন, কিছু বলার আগে শিখতে হবে। তরুণদের স্পৃহা ধরে রাখতে হবে। জুলাই আন্দোলনের পর বাকস্বাধীনতা ফিরেছে কিনা, তার প্রমাণ মিলবে নির্বাচনের পর।

প্রধান পৃষ্ঠপোষক হিসেবে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মোঃ রেজাউল করিম বলেন, জুলাই আন্দোলন ফ্যাসিবাদী শাসনব্যবস্থাকে চ্যালেঞ্জ জানানোর ইতিহাস। গণমাধ্যম স্বাধীন সমাজের স্তম্ভ, কিন্তু ফ্যাসিবাদী শাসনে প্রথম আঘাত আসে গণমাধ্যম ও মতপ্রকাশের স্বাধীনতায়।

বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার প্রফেসর ড. মোঃ নূরুন্নবী, আইন স্কুলের ভারপ্রাপ্ত ডিন প্রফেসর শেখ মাহমুদুল হাসান এবং ছাত্র বিষয়ক পরিচালক প্রফেসর ড. মোঃ নাজমুস সাদাত।

এছাড়া বক্তব্য দেন জুলাই অভ্যুত্থান দিবস উদযাপন কমিটির সদস্য সচিব প্রফেসর শরিফ মোহাম্মদ খান, আমার দেশ খুলনা ব্যুরো প্রধান এহতেশামুল হক শাওন এবং জুলাই আন্দোলনের কর্মী আয়মান আহাদ।

সভাপতিত্ব করেন খুবিসাস সভাপতি আলকামা রমিন এবং স্বাগত বক্তব্য রাখেন সাধারণ সম্পাদক মিরাজুল ইসলাম। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন শিক্ষার্থী জারিন প্রভা ও মাহবুবুর রহমান আকাশ।

অনুষ্ঠানের শুরুতে জুলাই আন্দোলনের শহীদদের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, কর্মকর্তা, শিক্ষার্থী, জুলাই আন্দোলনের কর্মী এবং গণমাধ্যমের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।

সর্বশেষ খবর পেতে অনুসরণ করুন- “প্রজন্ম কথা”